Description
ই-মেইল - E-mail
ই-মেইল এর ইংরেজি
প্রতিশব্দ হচ্ছে Electronic Mail. যাকে সংক্ষেপে E-mail (ই-মেইল) বলে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
ব্যবহার করে ই-মেইল
এর মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে
অন্য কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য ও ফাইল
প্রেরণ করা যায়। বিশ্বের
যেকোন স্থানে কোন তথ্য প্রেরণ
করতে হলে ইন্টারনেটের প্রয়োজন
হয়। ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যেকোন স্থানে ই-মেইলের মাধ্যমে
তথ্য আদান প্রদান করা
যায়
ই-মেইল এড্রেস কি
- What is E-mail Address
ই-মেইল এড্রেস হলো
কোন ব্যক্তির সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
যোগাযোগ করার একটি পরিচয়।
একটি চিঠি পাঠাতে হলে
প্রাপক ও প্রেরকের যেমন
একটি ঠিকানা বা এড্রেস প্রয়োজন
তেমনি ই-মেইল পাঠানোর
জন্যও একটি ঠিকানা বা
E-mail এড্রেস প্রয়োজন। E-mail Address সাধারণত User name@Domain ফরমেটে গঠিত হয়। যেমন: mysajjad2018@gmail.com একটি E-mail ঠিকানা। এখানে E-mail Address টি @ চিহ্ন দ্বারা
দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম
ভাগে অর্থাৎ @ চিহ্নের আগের অংশে ব্যক্তির
User name বা ব্যবহারকারীর নাম থাকে। @ চিহ্নের
পরের অংশে Domain name থাকে। mysajjad2018@gmail.com
এই ইমেইল এর মাধ্যমে আমরা
বুঝতে পারলাম "mysajjad2018" হলো ব্যবহারকারীর নাম
আর "gmail.com" হলো কম্পানির নাম
ই-মেইল সার্ভার কি
- What is E-mail server
ই-মেইল সার্ভার হলো
এক ধরনের নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার যা
ভার্চুয়াল পোস্ট অফিস (Post office) হিসেবে কাজ করে। ই-মেইল সার্ভারকে সংক্ষেপে
মেইল সার্ভার বলে। মেইল সার্ভারে
POP বা IMAP এবং STMP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
1.POP এর
পূর্ণরূপ হচ্ছে Post Office Protocol. যে সকল ই-মেইল user বা ব্যবহারকারীর কাছে
আসে সেগুলোকে অন্তর্মুখী ই-মেইল বা
ইনকামিং ই-মেইল বলা
হয়। মেইল সার্ভার থেকে
ইনকামিং ই-মেইল গ্রহণ
করার জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয়
প্রোটোকল POP3 ।
2.SMTP এর
পূর্ণরূপ হচ্ছে Simple Mail Transfer
Protocol । যে সকল ই-মেইল বাহিরে পাঠানো
হয়, সেগুলোকে বহির্মুখী বা আউটগোয়িং ই-মেইল (outgoing mail) বলা হয়। outgoing mail পাঠানোর জন্য
SMTP প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়
ই-মেইল পাঠানো
Cc: ই-মেইল পাঠানোর সময়
Cc নমাক একটি অফশন থাকে।
ব্যবহারকারী এই অফশনে বা
খালি ঘরে একাধিক ব্যক্তির
E-mail Address বসিয়ে একসাথে অনেককে মেইল পাঠাতে পারেন।
তবে, এখানে E-mail Address গুলো পরপর কমা
দিয়ে লিখতে হয়। Cc দিয়ে Carbon copy বুঝায়। অর্থ্যাৎ Cc এর মাধমে একই
মেইল একসাথে অনেককে পাঠানো যায় এবং কাকে
কাকে এই মেইল পাঠানো
হয়েছে পাঠানোর পর প্রাপক এটি
দেখতে পারে।
Bcc: Bcc এর
পূর্ণরূপ হচ্ছে Blind carbon
copy. Cc এবং Bcc এর কাজ একই্
। অর্থ্যাৎ একসাথে অনেককে একই মেইল পাঠানো
যায়। তবে, Cc এর ঘরে প্রাপকদের
নাম টাইপ করলে যাদের
কাছে মেইল পাঠানো হয়েছে
তারা সবাই বুঝাতে পারবে
এই মেইল কাকে কাকে
পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, Bcc এর ঘরে প্রাপকদের
নাম টাইপ করে ইমেইল
পাঠালে প্রাপক বুঝতে পারবে না কাকে কাকে
এই মেইল পাঠানো হয়েছে
অ্যাটাচমেন্ট
কি - What is
Attachment
কোন
আলাদা ফাইল ই-মেইলের
সাথে সংযুক্ত করে পাঠানোকে অ্যাটাচমেন্ট
বলে। Attachment file বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন-
ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, ওয়ার্কসিট, ছবি, পাওয়ারপয়েন্ট ফাইল,
PDF ফাইল প্রভূতি
ই-মেইল সার্ভিস প্রোভাইডার
- E-mail Service Provider
বর্তমান
সময়ে অনেক কম্পানি E-mail Service Provide করে। তার মধ্যে,
উল্লেখযোগ্য হলো- Gmail, yahoo! mail,
Zoho Mail, Outlook.com, Hushmail. AOLmail, GMX, Fastmail ইত্যাদি
জিমেইল
কি - What is gmail
বর্তমান
সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবমেইল সেবা হলো gmail. Gmail ফি
সেবা প্রদান করে। ব্যবহারকারী Gmail এর ওয়েবসাইটে
গিয়ে নিজের নামে ইমেইল খুলতে
পারে। ২০০৪ সালের ১
এপ্রিল গুগল জিমেইল সেবা
চালু করে
Outlook.com কি
- What is Outlook.com
১৯৯৬
সালের ৪ জুলাই সাবীর
ভাটিয়া ও জ্যাক স্মিথ
যৌথভাবে হটমেইল (Hotmail) নামে একটি ওয়েবমেইল
সেবা চালু করেন। পরে
১৯৯৭ সালে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠানটির
মালিকানা পেলে Hotmail এর নামকরণ করে
MSN Hotmail। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে
Hotmail কে Outlook.com
দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়
ই- মেইলের সুবিধা - Advantages of E-mail
1.ই-
মেইল ব্যবহার করা সহজ। যে
কোন তথ্য আদান-প্রদান
করা যায় এবং কম্পিউটারে
সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
2.মুহূর্তেই
বিশ্বের যে কোন জায়গায়
তথ্য পাঠানো যায়।
3.ই-মেইলের সাথে এটাচ করে
লেখা, অডিও, ভিডিও ইত্যিাদি পাঠানো যায়।
4.একই
মেইল একসাথে অনেকের কাছে পাঠানো যায়।
5.ই-মেইলের মাধ্যমে কম খরচে ও
সহজে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা যায়।
6.ই-মেইল ব্যবস্থায় কোন
কাগজের ব্যবহার না থাকায় এটি
পরিবেশ বান্ধব। ইত্যাদি
E-mail এর
পূর্ণরূপ কি
E-mail এর
পূর্ণরূপ হল Electronic mail
E-mail কত
সালে আবিষ্কার হয়
ই-মেইল ১৯৭১ সালে
আবিষ্কার হয়
ই-মেইল এর জনক
কে
ই-মেইল এর জনক
– রেই তোমলিনসন
ই-মেইল এর প্রধান
দুটি অংশের নাম কি
ই-মেইল এর প্রধান
দুটি অংশ হলো – ইউজারনেম - User name এবং ডোমেইন নেম - Domain name
To:- যার কাছে ই-মেইল
পাঠানো হবে তার ই-মেইল ID লিখতে
হয়
From:- এখানে প্রেরকের ঠিকানা লিখতে হবে
CC / কার্বন কপি :- একই মেসেজ বিভিন্ন
গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে
এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা
আলাদা করে টাইপ করতে
হবে। তাহলে গ্রাহক তার মেইলটি গ্রহণ
করার পর এখানে প্রদর্শিত
ঠিকানাসমূহ দেখে জানতে পারবে
একই মেইল আর কার
কার কাছে পাঠানো হয়েছে।
BCC / ব্লাইড কার্বন কপি :- একই মেসেজ বিভিন্ন
গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে
এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা
আলাদা করে টাইপ করতে
হবে। CC এর মতো প্রাপকের
নিকট এখানে ঠিকানাসমূহ প্রদর্শিত হবে না ফলে
প্রাপক জানতে পারবে না একই মেইল
আর কার কার কাছে
পাঠানো হয়েছে।
Subject:- ই-মেইলের বিষয়। গ্রাহক যাতে সহজেই বুঝতে
পারে সেজন্য ই-মেইলের সাথে
সম্পর্কিত কোনো বিষয় এখানে
লেখা হয়।
Attach:- সাধারণভাবে
ই-মেইল করে নরমাল
টেক্সট পাঠানো যায়। কিন্তু ই-মেইলের এটাচ
কমান্ড ব্যবহার করে অন্য কোনো
প্রোগ্রামে করা ফাইলকে ই-মেইলের সাথে অ্যাটাচ করে
পাঠানো যায়।
ই-মেইলে Cc-এর অর্থ কি
Carbon copy
ই-মেইল অর্থ কি
Electronic mail
ই-মেইলে Bcc-এর অর্থ কি
Blind
carbon copy
E-mail শব্দের
E কী নির্দেশ করে
Electronic
কোন
প্রটোকল ব্যবহার করে ই-মেইল
ক্লায়েন্টরা কারো কম্পিউটারে ই-মেইল ডাউনলোড করে
POP
ই-মেইল গ্রহণ করার
অধিক ব্যবহৃত প্রোটকল কোনটি
SMTP
ই-মেইল আদান প্রদানে
ব্যবহৃত SMTP এর পূর্ণরূপ কি
Simple Mail Transfer Protocol
কোন
সালে “@” কে ই-মেইল
ঠিকানায় ব্যবহারের জন্য বেছে নেওয়া
হয়
1972