Description
Wireless Communication
কোনো
প্রকার ক্যাবল বা তার বিহীন
তথ্য আদান-প্রদান তথা
যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন
সিস্টেম এর মাধ্যমে এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায়
খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেম কত প্রকার ও
কী কী (Different types of
Wireless Communication System)
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেম সাধারণত ৪ প্রকার। যথা-
১. ওয়্যারলেস প্যান (Wireless Personal
Area Network)
২. ওয়্যারলেস ল্যান (Wireless Local Area
Network)
৩. ওয়্যারলেস ম্যান (Wireless Metropolitan
Area Network)
৪. ওয়্যারলেস ওয়ান (Wireless Wide Area
Network)
ওয়্যারলেস
প্যান - Wireless
Personal Area Network
অপেক্ষাকৃত
কম দূরত্বে অর্থ্যাৎ একজন ব্যক্তির হাতের
কাছে অবস্থিত বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে ক্যাবল বা তারহীন নেটওয়ার্ক
ব্যবস্থাকে ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WPAN বলে। Mobile Phone, Pad, Note
Book, Laptop, Printer, Mouse, Projector ইত্যাদি
ডিভাইস নিয়ে গঠিত কমিউনিকেশন ব্যবস্থাই
হল WPAN এর উদাহরণ
ওয়্যারলেস
ল্যান - Wireless Local
Area Network
একটি
নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত দুই বা ততোধিক
ডিভাইসের মধ্যে ক্যাবল বা তারবিহীন নেটওয়ার্ক
ব্যবস্থাকে ওয়্যারলেস ল্যান বা ওয়্যারলেস লোকাল
এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। ওয়্যারলেস ল্যান
সংযোগের জন্য সংযোগকারী ডিভাইসগুলোর
মধ্যে ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। বর্তমান সময়ে
মানুষের বাসা বাড়িতে ও
ছোট প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যান ব্যবহৃত হচ্ছে
ওয়্যারলেস
ম্যান - Wireless
Metropolitan Area Network
সাধারণত
কোন শহরের নির্দিষ্ট কোন এলাকার মধ্যে
বিস্তৃত ক্যাবল বা তারহীন নেটওয়ার্ক
ব্যবস্থাকে ওয়্যারলেস ম্যান বা ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন
এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। যেমন: ওয়াইম্যাক্স
(WiMAX) প্রযুক্তি
ওয়্যারলেস
ওয়ান - Wireless Wide
Area Network
কোন
বৃহৎ বিস্তৃত এরিয়ার মধ্যে ক্যাবল বা তারহীন নেটওয়ার্ক
ব্যবস্থাকে ওয়্যারলেস ওয়ান বা ওয়্যারলেস ওয়াইড
এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে । এ
ধরনের নেটওয়ার্ক প্রধানত বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বা
পাবলিক ইন্টারনেট অ্যাকসেস সিস্টেমে ব্যবহার হয়
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন প্রযুক্তির উদাহরণ
১. টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচার
২. মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম
৩. কর্ডলেস টেলিফোন।
৪. রিমোট কন্ট্রোল।
৫. ওয়্যারলেস সেন্সর নেটওয়ার্ক।
৬. ওয়্যারলেস ইউএসবি।
৭. ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন।
৮. ব্লু-টুথ ( Bluetooth )
৯. ওয়াই-ফাই ( Wi-Fi )
১০.
ওয়াইম্যাক্স ( WiMAX )
১১.
স্যাটেলাইট যোগাযোগ
১২.
রাডার
১৩.
ইনফ্রারেড যোগাযোগ
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেমের সুবিধা
১. গতিশীলতা(Mobility) ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রধান সুবিধা। এটি নেটওয়ার্কের সাথে
সংযুক্ত থাকা অবস্থায় ঘোরাফেরা
করার স্বাধীনতা দেয়
২. ব্যবহারকারীরা পোর্ট বা ক্যাবল ব্যবহার
না করেও নেটওয়ার্কে সংযুক্ত
অন্যান্য ডিভাইসের সাথে ফাইল এবং
অন্যান্য রিসোর্স শেয়ার করতে পারে
৩. ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে সংযোগের ক্ষেত্রে কোন পোর্ট ব্যবহৃত
হয় না। তাই অধিক
সংখ্যক ব্যবহারকারীর সাথে সংযুক্ত থাকা
যায়
৪. ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের অবকাঠামো সেটআপ এবং ইনস্টলেশন খুব
সহজ কারণ আমাদের ক্যাবলের
ঝামেলা সম্পর্কে চিন্তা করার দরকার নেই
৫. ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে ক্যাবল এবং অন্যান্য অবকাঠামো
স্থাপনের ব্যয় কমানো যায়। তাই তারযুক্ত
কমিউনিকেশন সিস্টেমের তুলনায় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের সামগ্রিক ব্যয় হ্রাস করা হয়
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেমের অসুবিধা
১. অনেক সময় ডেটা
চলাচলের ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে
২. ডেটা চলাচলে কোন
প্রতিবন্ধকতা বা বাঁধা থাকলে
নেটওয়ার্কের দক্ষতা কমে যায়
৩. অনাকাঙ্খিত ব্যবহারকারী কর্তৃক আক্রমনের শঙ্কা থাকে
৪. ক্যাবল বা তারযুক্ত নেটওয়ার্কের
তুলনায় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের গতি কম
৫. জীববৈচিত্রের জন্য ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হুমকিস্বরূপ
ওয়্যারলেস
কমিউনিকেশন সিস্টেম এর প্রয়োজনীয়তা
১. যে সকল জায়গায়
ক্যাবলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়
সেসব জায়গায় যোগাযোগ স্থাপনে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়
২. নেটওয়ার্ক কভারেজের মধ্যে চলমান কোন ব্যক্তির ডেটা
কমিউনিকেশন করার দরকার হলে
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমেই যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়
৩. যে সকল জায়গায়
দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন দরকার হয় (দুর্যোগ, যুদ্ধক্ষেত্র
ইত্যাদি) সেসকল জায়গায় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন বেশি উপযোগী
৪. যে কোন দেশের
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ব্যবহার করা হয়
৫. রেডিও, টেলিভিশনের ব্রডকাস্টিং করতে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন
ব্যবহৃত হয়
৬. যে কোন জায়গা
থেকে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার
করতে এবং ইন্টারনেট সুবিধা
পেতে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়
৭. ওয়্যারলেস এনার্জি ট্রান্সফারে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়
৮. ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের বড় উদাহরণ হচ্ছে
সেলুলার টেলিফোন ও মডেমসমূহ
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে দুই ধরণের অ্যাকসেস পয়েন্ট ব্যবহৃত হয়
১. মোবাইল নেটওয়ার্ক (Mobile Network)
২. হটস্পট (Hotspot)
হটস্পট
কী? (What is Hotspot?)
হটস্পট
হলো এমন একটি নির্ধারিত
জায়গা যেখানে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট
সেবা দেওয়া হয়। হটস্পট তৈরির
জন্য জনপ্রিয় তিনটি প্রযুক্তি-
১. ব্লু-টুথ ( Bluetooth )
২. ওয়াই-ফাই ( Wi-Fi )
৩. ওয়াইম্যাক্স ( WiMAX )
ব্লু-টুথ কী? (What is Bluetooth?)
ব্লুটুথ
হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি
যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল
এরিয়া নেটওয়ার্ক (WPAN) তৈরি করা যায়।
এর কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ থেকে ১০০
মিটার হয়ে থাকে। বর্তমানে
প্রায় সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইসে
ব্লুটুথ বিল্ট-ইন থাকে। তবে
বিভিন্ন ডিভাইসে USB পোর্টের মাধ্যমেও ব্লুটুথ সংযোগ দেওয়া যায়। ১৯৯৪ সালে
টেলিকম ভেন্ডর এরিকসন ব্লুটুথ উদ্ভাবন করে। দশম শতাব্দির
ডেনমার্কের রাজা হারাল্ড ব্লুটুথ
এর নামানুসারে এ প্রযুক্তিটির নাম
রাখা হয়েছে ব্লুটুথ
ব্লুটুথের
বৈশিষ্ট্য
১. ব্লুটুথ IEEE 802.15.1 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তি
২. স্বল্প দূরত্বে দুটি ডিভাইসের মধ্যে
ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ২.৪ গিগাহার্টজ
(GHz) ফ্রিকুয়েন্সির রেডিও ওয়েব ব্যবহার করে
৩. এর ডেটা ট্রান্সমিশন
রেট প্রায় 1Mbps বা তারচেয়ে বেশি
৪. ব্লুটুথ একটি পিকোনেট এর
আওতায় সর্বোচ্চ ৮টি যন্ত্রের সাথে
সিগন্যাল আদান-প্রদান করতে
পারে। এর মধ্যে একটি
মাস্টার ডিভাইস এবং বাকিগুলো স্লেভ
ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। অনেকগুলো
পিকোনেট মিলে আবার স্ক্যাটারনেট
গঠিত হতে পারে
৫. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড
হাফ-ডুপ্লেক্স
যখন
দুটির বেশি ব্লুটুথ ডিভাইস
একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে,
তখন তাকে পিকনেট বলা
হয়। একটি পিকোনেটে একটি
মাস্টার ডিভাইস এবং বাকিগুলো স্লেভ
ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। যে
ডিভাইস পিকোনেট স্থাপনের সূচনা করে সেটি মাস্টার
ডিভাইস হয়ে যায়। প্রতিটি
ডিভাইস একক পিকনেটের মধ্যে
আরও সাতটি ডিভাইসের সাথে একই সাথে
যোগাযোগ করতে পারে
ব্লুটুথের
সুবিধা
১. এটি ওয়্যারলেস
২. এটি দামে সস্তা
৩. এটি ইনস্টল করা
সহজ
৪. ডিভাইসের সাথে Bluetooth ইনস্টল করা থাকলে এটি
বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়
ব্লুটুথের
অসুবিধা
১. এটি একটি স্বল্প
পরিসীমা যোগাযোগের নেটওয়ার্ক
২. এটি একইসময় মাত্র
দুটি ডিভাইস সংযুক্ত করে
ব্লুটুথের
ব্যবহার
১.
Bluetooth ব্যবহার
করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা যেকোন
bluetooth সাপোর্টেড ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো যায় এবং তথ্য
আদান-প্রদান করা যায়
২. কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা যেকোন
bluetooth সাপোর্টেড ডিভাইসের সাথে ইনপুট ও
আউটপুট ডিভাইসগুলোর তারবিহীন যোগাযোগে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
৩. জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ও ট্রাফিক কন্ট্রোল
ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
৪. ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর
শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
৫. প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় এমন স্থানে
নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়
ওয়াই ফাই কী? (What is WiFi?)
Wi-Fi শব্দটি
Wireless Fidelity শব্দের
সংক্ষিপ্ত রূপ। Wi-Fi একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি
যার মাধ্যমে একটি ওয়্যারলেস লোকাল
এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) তৈরি করা যায়। এর এরিয়া একটি
কক্ষ, একটি ভবন কিংবা
সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে দূরত্ব ৩২ মিটার এবং
আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মতো
এলাকা জুড়ে হতে পারে।
ওয়াই-ফাই এনাবল্ড কোনো
ডিভাইস যেমন- একটি পার্সোনাল কম্পিউটার,
ভিডিও গেম কনসোল, স্মার্টফোন
কিংবা ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার প্রভৃতি
একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে
পারে
ওয়াই
ফাই এর বৈশিষ্ট্য
১. ওয়াই-ফাই IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তি
২. ওয়াই-ফাই রেডিও
ওয়েভ ব্যবহার করে থাকে
৩. ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হাফ-ডুপ্লেক্স
ওয়াই
ফাই এর সুবিধা
১.
Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে
একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়
২. নেটওয়ার্কের জন্য কোনো লাইসেন্স
বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না
৩. নেটওয়ার্ক সহজে নতুন ব্যবহারকারী
যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি
বাড়ানো যায়
৪. ওয়াই-ফাই লোকাল
এরিয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং খুব সহজেই
ব্যবহার করা যায়
ওয়াই
ফাই এর অসুবিধা
১.
Wi-Fi নেটওয়ার্কের সীমানা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে
২. নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি তুলনামূলকভাবে
কম
৩. বিদ্যুৎ খরচ অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ডের
তুলনায় বেশি
৪. অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যাল জ্যাম বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
হতে পারে
৫. ডেটা ও নেটওয়ার্কের
নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায়
৬. দূরত্ব বেশি হলে নেটওয়ার্কের
গতি ও সিগন্যালের গুণগত
মান উল্লেখযোগ্যহারে কমে যেতে পারে
৭. অজ্ঞাত বা অনুমোদিত ব্যক্তি
কর্তৃক অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে
ওয়াইম্যাক্স কী? (What is WiMAX?)
WiMAX এর
পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability
for Microwave Access।
WiMAX একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি যার মাধ্যমে একটি
ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) তৈরি করা যায়। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড সেবা,
তারবিহীন ব্যবস্থায় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার সুযোগ পাওয়া
যায়
WiMAX এর
দুটি প্রধান অংশ রয়েছে। একটি
হচ্ছে WiMAX এর বেস স্টেশন
যা ইনডোর ও আউটডোর টাওয়ার
নিয়ে গঠিত। অন্যটি হচ্ছে এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার
বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে। একটি WiMAX বেস স্টেশন সাধারণত
১০ কিমি হতে শুরু
করে ৬০ কিমি পর্যন্ত
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সুবিধা দিয়ে থাকে
ওয়াইম্যাক্স
এর বৈশিষ্ট্য
১. ওয়াইম্যাক্স IEEE 802.16
স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তি
২. এই প্রযুক্তিতে ডেটা
ট্রান্সমিশন রেট 70Mbps
৩. এই প্রযুক্তিতে মাইক্রোওয়েব
ব্যবহৃত হয়
৪. ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ডেটা ট্রান্সমিশন মোড
ফুল-ডুপ্লেক্স
ওয়াইম্যাক্স
এর সুবিধা
১. কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কিমি হতে
শুরু করে ৬০ কিমি
পর্যন্ত হয়ে থাকে
২. একক একটি স্টেশনের
মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়
৩. ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন উভয়ই
হতে পারে
৪. প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পাওয়া যায়;
এমনকি যেখানে ফোনের সংযোগ পৌঁছেনি সেখানেও
৫. কোয়ালিটি অব সার্ভিসের নিশ্চয়তা
দেয়
৬. তথ্য ও টেলিযোগাযোগ
প্রযুক্তির সেবাগুলো প্রদান করা যায়
৭. এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার
বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে। ফলে পোর্টেবিলিটি সুবিধা
পাওয়া যায়
ওয়াইম্যাক্স
এর অসুবিধা
১. দূরত্ব বেশি হলে একাধিক
বেজ স্টেশনের প্রয়োজন হয়
২. নেটওয়ার্কের অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে
৩. সংস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
বেশি
৪. অনেক ব্যবহারকারী একই
টাওয়ার অ্যাক্সেস করায় সার্ভিসের সঠিক
গুণগত মান বজায় রাখা
অনেক ক্ষেত্রে কঠিন
৫. অন্যান্য নেটওয়ার্ক যেমন- ফাইবার অপটিক, স্যাটেলাইট, ক্যাবল ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে
ওয়াইম্যাক্স এর ডেটা রেট
অত্যন্ত ধীরগতির
৬. খারাপ আবহাওয়া যেমন বৃষ্টির কারণে
এর সিগন্যালে বিঘ্ন ঘটতে পারে
৭. বেশি বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহারকারী
প্রযুক্তি যার ফলে সার্বিক
নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুতের
সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়