Goodinsee
৩. হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid cloud):- হাইব্রিড ক্লাউড হল পাবলিক এবং
প্রাইভেট উভয় ধরনের ক্লাউড
ব্যবস্থার সংমিশ্রণ। বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে কোম্পানিগুলো এই
ধরনের ক্লাউড সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। কেননা
এখানে প্রাইভেট ক্লাউডের মত নিরাপত্তার সাথে
ডেটা সংরক্ষণ করা যায়, আবার
পাবলিক ক্লাউডের কিছু সুবিধা যেমন
ফাইল শেয়ারিং, ডেটা আদান-প্রদান
ইত্যাদিও গ্রহণ করা সম্ভব। এছাড়া,
প্রাইভেট ক্লাউডে ডেটা ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত
হয়ে গেলে পাবলিক ক্লাউডের
সাহায্যে স্টোরেজ বাড়িয়ে নেওয়া হয়
৪. কমিউনিটি ক্লাউড (Community cloud):- কমিউনিটি ক্লাউড একটি সংস্থার একাধিক
মানুষের মাঝে শেয়ার করা
হয়। এই সংস্থা বা
কমিউনিটির লোকজনই শুধুমাত্র এখানে সংরক্ষিত ডেটা অ্যাক্সেস করার
সুবিধা পেয়ে থাকে। সাধারণত
কমিউনিটির এক বা একাধিক
ব্যক্তি অথবা তৃতীয় কোনো
পক্ষ এই ক্লাউড সিস্টেম
নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, একটি
স্কুলের জন্য ব্যবহৃত কমিউনিটি
ক্লাউড শুধুমাত্র ঐ স্কুলের শিক্ষক
এবং শিক্ষার্থীরাই ব্যবহার করতে পারবে। এই
ক্লাউডের ব্যবহার একটি কমিউনিটির মধ্যেই
সীমাবদ্ধ থাকে বলে এতে
নিরাপত্তা ঝুঁকি কম থাকে। তবে
পাবলিক ক্লাউডের তুলনায় এতে খরচের পরিমাণ
বেশি হয়ে থাকে
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি (Resource
Scalability):- ছোট
বা বড় যেকোন ক্রেতার
সকল ধরণের চাহিদাই মেটাতে হবে
২. অন-ডিমান্ড (On-demand):- ক্রেতা যখন চাইবে, তখনই
সেবা দিতে হবে। ক্রেতা
তার ইচ্ছা অনুযায়ী যখন খুশি তার
চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে
১. যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড সেবা গ্রহণ করা যায়
২. বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স (হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইত্যাদি) শেয়ার করে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির খরচ কমানো যায়
৩. কোম্পানির অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম
৪. ক্লাউডে সংরক্ষিত তথ্য যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় এক্সেস করা যায় এবং তথ্য কীভাবে প্রসেস বা সংরক্ষিত হয় তা জানার প্রয়োজন হয় না
৫. সহজে কাজকর্ম মনিটরিং এর কাজ করা যায় ফলে বাজেট ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায়
৬. অধিক নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ সিস্টেম
৭. একসাথে অনেক ডাটা সংরক্ষণ করা সম্ভব। সেই ডাটা কখনই হারিয়ে যাবে না বা নষ্ট হয়ে যাবে না। ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি গুলোর অনেক ডাটা সেন্টার থাকে। তাই আপনার ডাটা নিয়ে আপনাকে কনো চিন্তা করতে হবে না
৮. ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে অনেক উচ্চমান সম্পন্ন কাজ করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা সম্ভব যা হয়তো আলাদা টাকা দিয়ে কিনতে হতে পারত
১. ডেটা, তথ্য অথবা প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না
২. এটি দ্রুতগতি সম্পন্ন নয়
৩. আবহাওয়া খারাপ জনিত কারণে বা ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হলে সার্ভিস বিঘ্নিত হয়
৪. ক্লাউড সাইটটিতে সমস্যা দেখা দিলে ব্যবহারকারীরা তার সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হন
৫. তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের এবং তথ্য পাল্টে যাওয়ার অর্থাৎ হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
৬. তথ্য ক্লাউডে পাঠিয়ে
দেওয়ার পর তা কোথায়
সংরক্ষিত হচ্ছে বা কিভাবে প্রসেস
হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার
উপায় থাকে না
১. ফাইল স্টোরেজঃ- যেকোনো
ফাইল বা ডেটা সংরক্ষণ
করে রাখার অন্যতম মাধ্যম হল এই ক্লাউড
কম্পিউটিং। যেমন গুগল ড্রাইভে
ডেটা আপলোড করে রাখা, গুগল
ফটোস এ ছবি আপলোড
করে রাখা যায়। আবার,
ফেসবুক, ইউটিউব এ বিভিন্ন ছবি,
ভিডিও আপলোড করে রাখা যায়
এবং সহজেই এসব ডেটা অ্যাক্সেস
করা সম্ভব
২. সফটওয়্যার সার্ভিসঃ- অনেক সময় ক্লাউড
কম্পিউটিং এর মধ্যে থাকা
সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারে না থাকলেও এটি
ব্যবহার করা যায়। এজন্য
আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার প্রয়োজন পড়ে
না। বরং ক্লাউডের মধ্যে
থেকেই তা ব্যবহার করা
সম্ভব
৩. ডেটা অ্যানালাইসিসঃ- বর্তমানে কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কাজে বড় বড় ডেটা সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে। এসব ডেটা সাধারণত বেশ জটিল এবং আকারে বড় হয়ে থাকে। সাধারণ কোনো ডেটা ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস সহজে এসব বড় ডেটা সংগ্রহ অথবা সংরক্ষণ করতে পারে না। ক্লাউড কম্পিউটিং এই ধরনের ডেটা কম খরচে দক্ষতার সাথে খুব সহজেই সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে
৪. ডেটা ব্যাকআপঃ- ডেটা ব্যাকআপের পুরানো অনেক প্রক্রিয়া আজও ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজ করে আসছে। কিন্তু এসব পদ্ধতি সাধারণত ভাইরাস প্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এভাবে ডেটা ব্যাকআপের কারণে অনেক ডেটা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এই ধরনের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে ক্লাউড ভিত্তিক ডেটা ব্যাকআপ সিস্টেম। এখানে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার যেকোনো ধরনের ফাইল বা তথ্য ব্যাকআপ করতে পারেন। এটি ব্যবহার করা সহজ এবং সর্বোচ্চ ডেটা নিরাপত্তা প্রদান করে
৫. সফটওয়্যার টেস্টিং এবং ডেভেলপমেন্টঃ- কোনো সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন টুল অফার করে যা ডেভেলপমেন্ট এবং নেটওয়ার্ক টেস্টিংকে দ্রুত, সহজ এবং সস্তা করে তুলতে সাহায্য করে। এই ক্লাউড ব্যবহার করে কোনো সফটওয়্যার এর ত্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়
৬. কমিউনিকেশনঃ- একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার বিভিন্ন মাধ্যম যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপ, ইমেইল ইত্যাদি সবই ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেমের অবদান। এসব অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো এবং গ্রহণ করা সকল মেসেজ, ছবি এবং ফাইল আপনার ডিভাইসের সাথে সাথে ক্লাউড সিস্টেমেও সংরক্ষিত হয়ে থাকে। আবার, যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় এসব ফাইল দেখাও যায়
৭. সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংঃ- ক্লাউড স্টোরেজের পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হলো একটি বহুল ব্যবহৃত ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি আপনার পরিচিত- অপরিচিত সকলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনার নিজেদের বার্তা, মনোভাব এবং তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন
ইন্টারনেট
এর এই যুগে ক্লাউড
কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা তাদের নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজে ক্লাউডের সুবিধা
নিয়ে থাকে। ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তির কিছু উল্লেখ্যযোগ্য উদাহরণ
হল-
Google Docs, Google Drive, Microsoft 365:- ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে Google Docs, Google
Drive, Microsoft 365 ইত্যাদি
ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো
অবস্থান থেকে যেকোনো সময়
সকল প্রকার ডিভাইস থেকে তারা ক্লাউডে
সংরক্ষিত প্রেজেন্টেশান অথবা ফাইল অ্যাক্সেস
করতে পারেন
YouTube:- ভিডিও
শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব এখন জনপ্রিয় ক্লাউড
কম্পিউটিং প্রযুক্তি। এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিডিও
আপলোড করা হয় যেগুলো
এই প্লাটফর্মে সংরক্ষিত থাকে
Facebook:- ফেসবুক
একটি বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেখানে কোটি কোটি মানুষের
তথ্য পাওয়া যায়। এখানে ব্যবহারকারীরা
তাদের নিজেদের মনোভাব, তথ্য, ছবি, ভিডিও অন্যের
সাথে শেয়ার করার সুযোগ পায়
Email, Skype, WhatsApp:- ইমেইল,
স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ ক্লাউডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের যেকোনো ডিভাইস থেকে যেকোনো সময়
চাহিদামত তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করার
সুবিধা দিয়ে থাকে
Zoom:- জুম
অডিও এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের
জন্য একটি ক্লাউড ভিত্তিক
সফটওয়্যার প্লাটফর্ম যা এখানকার অনলাইন
মিটিংগুলো রেকর্ড করে এবং সেগুলো
ক্লাউডে সংরক্ষণ করে রাখে। ব্যবহারকারীরা
যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময়
সেগুলো অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়