Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Computer Generations

Description

কম্পিউটার জেনারেশন - Computer Generations


কম্পিউটার জেনারেশন - Computer Generations

কম্পিউটারের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস পুরনো হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় হতে কম্পিউটার প্রজন্ম ধরা হয়। এর আগে কম্পিউটারের ধারণা ভিন্নভাবে গণনার কার্যে ব্যবহৃত হতো। আধুনিক কম্পিউটারের অগ্রযাত্রা মূলতঃ বিগত পঞ্চাশ বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কম্পিউটার প্রজন্মঃ প্রজন্মগত এবং ঐতিহাসিক উন্নতি অনুসারে কম্পিউটারের অগ্রযাত্রাকে যে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তাকেই কম্পিউটার প্রজন্ম (Generation of Computer) বলা হয়। কম্পিউটার প্রজন্মের হিসেব ১৯৪৬ তথা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হতেই ধরা হয়ে থাকে। কারণ তখন থেকেই কম্পিটারের আধুনিকীকরণের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। কম্পিউটারের ব্যবহারও সম্প্রসারিত হয়েছে

কম্পিউটারের বিবর্তনের  ইতিহাসকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়  এর এক একটি ধাপকে কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম বলে


কম্পিউটার প্রজন্মের শ্রেণীবিভাগ

আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানীগণ কম্পিউটার প্রজন্মকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। যাদেরকে এক একটি কম্পিউটার প্রজন্ম বলা হয়। যেমন

. প্রথম প্রজন্ম  - 1 st Generation

. দ্বিতীয় প্রজন্ম  - 2 nd Generation)

. তৃতীয় প্রজন্ম  - 3 rd Generation

. চতুর্থ প্রজন্ম  - 4 th Generation

. পঞ্চম প্রজন্ম  - 5 th Generation


কম্পিউটারের প্রথম প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

১৯৪৬ সাল হতে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কম্পিউটারের সময় সীমাকে কম্পিউটারের প্রথম প্রজন্ম বলা হয়। কারো কারো মতে সময়সীমা ১৯৩৭ সাল হতে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। টিউব বিশিষ্ট ইলেক্ট্রোনিক বত্তর্নীর বহুল ব্যবহার, চুম্বকীয় ড্রাম বা ঢোলক, স্মৃতি, সীমিত তথ্য, ধারণ ক্ষমতা, পাঞ্চকার্ড, ইনপুট এবং আউটপুট সরঞ্জাম এবং কোডের ব্যবহার ইত্যাদি প্রজন্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রথম প্রজন্মে উদ্ভাবিত কম্পিউটার গুলোর মধ্যে নিম্নোক্তগুলো অন্যতম। যেমন IBM 650, MARK- ii, ENIAC, EDVAC, EDSAC ইত্যাদি

প্রথম প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যঃ

. কম্পিউটারগুলো বিশাল আকৃতির ছিল

. ডায়োড, ট্রায়োড, ভালভ, রেজিস্টার, ম্যাপসিটার ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হতো

. মেশিনের ভাষায় প্রোগ্রাম রচিত হতো

. ভ্যাকুয়াম টিউবের আয়ু কাল ক্ষণস্থায়ী

. রক্ষণাবেক্ষণ উত্তাপ সমস্যা প্রখর ছিল

. সীমিত প্রোগ্রাম ধারণ ক্ষমতা


কম্পিউটারের দ্বিতীয়  প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

১৯৫৯ সাল হতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সময়সীমাকে কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয়। কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্ম ইনট্রিগ্রেটেড সার্কিডের যথার্থ ব্যবহার, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, কম্পিউটারের আকার হ্রাস এবং নির্ভরযোগ্যতা ইত্যাদি সাফল্য ভরপুর। এ প্রজন্মে ASC ii পদ্ধতির উদ্ভাবিত হয়। এ সময় হার্ডওয়ারের পাশাপাশি সফট্ওয়্যারের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের মডেল গুলোর মধ্যে IBM 1400, ACA 501, NCR 300 ইত্যাদি অন্যতম

দ্বিতীয় প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যঃ

. কম্পিউটারের আকৃতির সংকোচন

. ভ্যাকুয়াম টিউবের পরিবর্তে ট্রান্সজিস্টারের ব্যবহার 

 . মডিউলার ডিজাইনের ব্যবহার

. চৌম্বক কোরের ব্যবাহর  

. তাপ সমস্যার অবসান, অডিও ভিডিওর যোগ্য উন্নয়ন

. উচ্চ গতি সম্পন্ন ইনপুট এবং আউটপুট সরঞ্জাম


কম্পিউটারের তৃতীয়  প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

১৯৬৬ সাল হতে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়সীমাকে বিশ্বের কম্পিউটারের তৃতীয় প্রজন্ম বলা হয়। প্রজন্মে কম্পিউটারে Small Scale Integrated Circuit এবং Medium Scale Integrated Circuit ব্যবহার হয়। তখন কম্পিউটার আউটপুট হিসেবে Video Display Unit এবং উচ্চ গতির প্রিন্টারের প্রচলন হয়। তখন হতেই BASIC ভাষার ব্যবহার হয় এবং মাউসের ব্যবহারিক কার্যকারিতা আরম্ভ হয়। কম্পিউটারের তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোর মধ্যে IBM-360, IBM-370, PDP-8 ইত্যাদি অন্যতম

তৃতীয় প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যঃ

. কম্পিউটারের আকৃতির আরো সংকোচন 

. মুদ্রিত আকারে আউটপুট পাওয়ার জন্য লাইন প্রিন্টারের ব্যবহার 

. কম্পিউটার প্রসেসরে বিস্তৃত নির্দেশমালা বিল্টইন ব্যবহার

. সমন্বিত সার্কিট ব্যবহার নির্বাহী পদ্ধতির উন্নয়ন

. মিনি কম্পিউটার, উচ্চতর ভাষার ব্যবহার


কম্পিউটারের চতুর্থ  প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

১৯৭১ সাল হতে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত সময়সীমাকে কম্পিউটারে চতুর্থ প্রজন্ম বলা হয়। সময়ে কম্পিউটার বিশ্বের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রজন্মে LSI এবং VLSI মাইক্রোপ্রসেসর এবং Some Conductor Memory দিয়ে কম্পিউটার তৈরি হয়েছে। প্রজন্মে RAM, ROM, PROM, EPROM আবিস্কৃত হয়েছে। উইন্ডোজ, ডস, এবং অপারেটিং সিস্টেম প্রজন্মে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রজন্মে মাইক্রো কম্পিউটার পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেছে। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার মডেলগুলোর মধ্যে IBM-3030, IBM-4300, IBMS/36, Sharp PC-1211, Apple II ইত্যাদি অন্যতম

চতুর্থ  প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যঃ

. বৃহৎ আকারের একীভূত বর্তনী 

. ব্যাপক তথ্য ধারণ ক্ষমতা   

. প্রোগ্রাম প্যাকেজের ব্যাপক উন্নতি প্রচলণ 

. প্রোগ্রাম প্যাকেজ উচ্চতর ভাষার ব্যবহার  

. মাইক্রো কম্পিউটারের প্রভৃত উন্নতি 

. টেবিলে বসিয়ে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি


কম্পিউটারের পঞ্চম  প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

জাপানে কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের বৃহৎ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৯৯৫ সাল হতে পরবর্তী সময়সীমাকে কম্পিউটারের পঞ্চম প্রজন্ম হিসেবে ধরা হয়েছে। তবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এখনও চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার চালু আছে। বর্তমান প্রজন্মে অত্যাধুনিক কম্পিউটার উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চিপস এবং অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার সৃষ্টি হয়েছে। এটি অত্যান্ত শক্তিশালী মাইক্রো প্রসেসর প্রচুর ডাটা ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার প্রজন্মে উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রজন্মের কম্পিউটারকে Knowledge Information, Processing system = IPS বা এক্সপার্ট সিস্টেম বলা হয়

পঞ্চম প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যঃ

. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোজন 

. স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ কার্যক্রম

. মানুষের কণ্ঠস্বর সনাক্ত করার ক্ষমতা

. বিপুল ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের উদ্ভাবন

. বিম্ময়কর স্মৃতি শক্তি


 কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম 


কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম বলতে কী বুঝ

কম্পিউটারের বিবর্তনের  ইতিহাসকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়   এর এক একটি ধাপকে কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম বলে


কম্পিউটারের বিভিন্ন  জেনারেশন বা প্রজন্ম সম্পর্কে আলোচনা কর 

কম্পিউটারের বিবর্তনের  ইতিহাসকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়  এর এক একটি ধাপকে কম্পিউটারের জেনারেশন বা প্রজন্ম বলে  নিম্নে কম্পিউটারের বিভিন্ন  জেনারেশন বা প্রজন্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো 


প্রথম প্রজন্ম - First Generations 

প্রথম প্রজন্ম 1937-1959 : - 1937 সাল থেকে 1959 সাল পর্যন্ত সময় কালকে কম্পিউটারের প্রথম প্রজন্ম হিসেবে গণ্য করা হয় বায়ুশূন্য টিউব দ্বরা সময়ের কম্পিউটার তৈরি হতো হাজার হাজার ডায়োট ট্রায়োড ভালভ, রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর  ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হতো বলে এরা আকারে অনেক বড় ছিল কয়েকটি ঘর জুড়ে ছিল এসব কম্পিউটার টিউব ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ খরচও পড়তো অনেক বেশি কম্পিউটার চালু অবস্থায় খুব গরম হয়ে যেত তাই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হতো 

বৈশিষ্ট্য: আকার আয়তনের দিক থেকে বিশাল সহজে বহন অযোগ্য, তুলনামূলক ধীর গতি সম্পন্ন প্রসেসিং ক্ষমতা, মেমোরির হিসেবে ইলেকট্রনিক বর্তনীর চুম্বকীয় ড্রামের ব্যবহার, ভ্যাকুয়াম টিউববিশিষ্ট ইলেকট্রনিক বর্তনীর বহুল ব্যবহার, ইনপুট আউটপুটের জন্য পাঞ্চ কার্ড ম্যাগনেটিক টেপের ব্যবহার, সীমিত তথ্য ধারণ ক্ষমতা, মেশিনের ভাষার মাধ্যমে প্রোগ্রামিং কোডের ব্যবহার, অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় উত্তাপ সমস্যা, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ 

উদাহরন : IBM-704, IBM-709, Mark-11, ENIAC, EDSAC, BINAC, UNIVAC-1 ইত্যাদি


দ্বিতীয় প্রজন্ম - Second Generations 

দ্বিতীয় প্রজন্ম 1958-1962 : - 1958 সাল থেকে 1962 সাল পর্যন্ত সময় কালকে কম্পিউটারের দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয়   কম্পিউটারে ভালভের  পরিবর্তে ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত হতে থাকে 1948 সালে আমেরিকার বেল গবেষণাগারে ট্রানজিস্টর প্রথম আবিষ্কৃত হয় 1958 সালে ট্রানজিস্টর রেজিস্টার ক্যাপাসিটরের  সমন্বয়ে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি IC-Integrated Circuit এর উদ্ভব ঘটে এর সাথে সাথে বিজ্ঞান জগতে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয় 

বৈশিষ্ট্য: ট্রানজিস্টর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ব্যবহার , আকারে ছোট , কম বিদ্যুৎ খরচ , চুম্বকীয় কোর স্মৃতি ব্যবহার ম্যাগনেটিক ডিস্কের ব্যাপক ব্যবহার , ইনপুট আউটপুট  ডিভাইস উন্নয়ন , হাই-লেভেল ভাষার উদ্ভব ব্যবহার , কেবলের মাধ্যমে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা , গতিসম্পন্ন , কার্য সম্পাদন গতির উন্নয়ন , তাপমাত্রা সমস্যার সমাধান  

উদাহরন : IBM-1400, IBM-1401, IBM-1600, IBM-1620, CDC-1604, RCA-501, NCR-300,IBM-1620, GE-200


তৃতীয় প্রজন্ম -Third Generations 

তৃতীয় প্রজন্ম 1963-1972 :- 1963   সাল থেকে 1972 সাল পর্যন্ত সময় কালকে কম্পিউটারের  তৃতীয় প্রজন্ম বলা হয়   প্রজন্মের কম্পিউটারে IC-Integrated Circuit এর ব্যবহারে কম্পিউটারের আকার আরও কমে যায় , দাম কমে যায় , বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়, কাজের গতি নির্ভরশীলতা বহুগুনে বেড়ে যায়
আউটপুট ডিভাইস হিসেবে ভিডিও ডিসপ্লে ইউনিট ,উচ্চ গতির প্রিন্টারের প্রচলন সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি ব্যবহারের প্রচলন ঘটে 

বৈশিষ্ট্য: IC এর ব্যাপক প্রচলন , অর্ধপরিবাহি স্মৃতির উদ্ভব বিকাশ, কম্পিউটারের আকৃতির সংকোচন মিনি কম্পিউটারের প্রচলন, প্রসেসিং স্পিডের ব্যাপক বৃদ্ধি, উন্নত কার্যকারিতা নির্ভরযোগ্যতা, উচ্চতর ভাষার বহুল প্রচলন, উচ্চতর ভাষার বহুল প্রচলন, ভিডিও মনিটর লাইন প্রিন্টারের প্রচলন মাইসের ব্যবহার 

উদাহরন : IBM 360, IBM-370, PDF-8, PDP-11, GE600


চতুর্থ প্রজন্ম -Fourth Generations 

চতুর্থ প্রজন্ম 1973 - বর্তমান কাল :- চতুর্থ প্রজন্ম 1973 সাল থেকে বর্তমান সময়কাল ডর্যন্ত তৈরিকৃত কম্পিউটারসমূহ চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার হিসেবে অবিহিত Large Scale Integration এবং Very Large Scale Integration মাইক্রোপ্রসেসর সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি দিয়ে প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরি করা হয় ফলে কম্পিউটার উচ্চ গতিসম্পন্ন, বৃহৎ ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং মাইক্রোপ্রসেসর মাইক্রো কম্পিউটাররে ব্যাপক প্রচলন  

বৈশিষ্ট্য: বৃহদাকার একীভূত বর্তনী, বর্ধিত ডেটা ধারনক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতার উন্নতি, ক্যাশ মেমোরির ব্যবহার, প্যাকেজ প্রোগ্রামের ব্যাপক প্রচলন , মাইক্রোকম্পিউটারের ব্যাপক প্রচলন, প্যারালাল প্রসেসিং নিয়ে গবেষণা শুরু, বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার

উদাহরন : IBM-3033, IBM 4341, IBMPC


পঞ্চম প্রজন্ম -Fifth Generations 

পঞ্চম প্রজন্ম-ভবিষ্যৎ প্রজন্ম : 1981 সালের অক্টোবর মাসে জাপানে 4 টি দেশের 300 কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রকৌশলীর একটি কনফারেন্সে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় Super VLSI ( Very Large Scale Integration ) পিচ অপটিক্যাল ফাইবারের সমন্বয়ে প্রজন্মের কম্পিউটারের অবতারণা করা হয় হয়েছে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর প্রচুর ডেটা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার 

বৈশিষ্ট্য: বহু মাইক্রোপ্রসেসর বিশিষ্ট একীভূত বর্তনী , কৃত্রিম বুদ্ধির ব্যবহার , প্রোগ্রাম সামগ্র্রীর উন্নতি , প্যারালাল প্রসেসরের ব্যবহার, ওপেন সোর্সভিত্তিক বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবহার , মৌখিক ভাষা নির্দেশ ব্যবহার করে কম্পিউটার পরিচালনা, অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার, প্রোগ্রামিংয়ের উন্নতি , মেমোরি ডেটা ধারণ ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি, সুপার কম্পিউটারের ব্যাপক উন্নয়ন


কম্পিউটারের বিভিন্ন  জেনারেশন বা প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কর

First Generation-1946-59 

. প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো হলো সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার

. প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারে বায়ুশূণ্য ভাল্ব ব্যবহার করা হত

. বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার-এনিয়াক এটি দশমিক পদ্ধতিতে কাজ করত

. এনিয়াক কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয়িত হতো ১৫০ কিলোওয়াট, এটি দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ যোগ অথবা ৩৫০ টি গুণ করা যেত 

. জন মশলি প্রেসপার একার্ট ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে একটি কোম্পানি গঠন করেন এবং ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইউনিভ্যাক- UNIVAC-1 কম্পিউটার তৈরি করেন 

. ইউনিভ্যাকই ছিল প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার 

. ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে IBM-701 এবং IBM-650 কম্পিউটার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি বাজারজাত হয়


Second Generation-1959-65 

. ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে জন বারডিন উইলিয়াম শকলে ওয়াল্টার ব্রাটেইন ট্রানজিস্টার -Transistor আবিষ্কার করেন

. ট্রানজিস্টার ব্যবহৃত কম্পিউটার দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার

. ট্রানজিস্টার আকারে অনেক ছোট হওয়ায় দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার প্রথম প্রজন্ম থেকে দ্রুত কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন

. হাই লেভেল ভাষার ব্যবহার শুরু হয় - দ্বিতীয় প্রজন্মে থেকে FORTRAN,COBOL ভাষার প্রচলন শুরু হয়


Third Generation-1965-71 

. Integrated Circuit-IC দিয়ে তৈরি কম্পিউটারকে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয় 

. ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের পর IC আবিষ্কার হয় 

. অনেকগুলো ডায়োড ট্রানজিস্টারের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ দিয়ে যে সার্কিট তৈরি করা হয় তাকে IC বলা হয় এটি আকারে ছোট এবং দ্রুতগতিতে কাজ করা যায় 

. অর্ধপরিবাহী পদার্থের টুকরো সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিমে অভিহিত প্রথম আইসি তৈরি হয়েছিল একটি সরু লম্বা জার্মেনিয়াম অর্ধপরিবাহী চিপের ওপর 

. একটি আইসি চিপ প্রস্থে-৬মিলিমিটার লম্বায়-১৮ মিলিমিটার এবং উচ্চতায় - মিলিমিটার

উদাহরন:-IBM-370, PDP-8,IBM-360,IBM-350,GE-600 ইত্যাদি

প্রজন্মের কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট-স্মৃতি ব্যবস্থার জন্য Magnetic tab, Hard Disk Drive উদ্ভাবন, আউটপুট হিসেবে ভিডিও ডিসপ্লে ইউনিট এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন, লাইন প্রিন্টারের ব্যবহার, উচ্চতর ভাষার বহুল ব্যবহার ইত্যাদি


Fourth Generation-1971-বর্তমান প্রজন্ম 

. VLSI-Very Large Scale Integration চিপ সন্নিবেশিত কম্পিউটারকে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয় এতে লাখের বেশি ট্রানজিস্টার সংযুক্ত থাকে 

. আইসির দ্রুত উন্নয়নের ফলে কম্পিউটারের পুরো কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন অংশকে একটি আইসি চিপ আকারে রাখা সম্ভব হয় এই চিপকেই মাইক্রোপ্রসেসর বলে 

. মাইক্রোপ্রসেসর একটি ছোট সিলিকন পদার্থের চিপে তৈরি 

. উন্নত ধরনের High Level প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উদ্ভব


Fifth Generation-ভবিষ্যৎ প্রজন্ম 

. পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার হবে কৃত্রিম বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন 

. পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের চিন্তাভাবনা বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকবে 

. নতুন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা এরা নিজেরাই বুদ্ধি দিয়ে ঠিক করে নেবে 

. কম্পিউটারে মানুষের কন্ঠস্বর শনাক্ত করার ক্ষমতা থাকবে 

. পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের কাজের গতি, স্মৃতির ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পাবে 

. স্বয়ক্রিয় অনুবাদ করার ক্ষমতা থাকবে 

. অধিক শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর থাকবে