Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Desktop Screen

Description

Desktop Screen - ডেস্কটপ স্ক্রীন পরিচিতি


ডেস্কটপ স্ক্রীন পরিচিতি - Desktop Screen

কম্পিউটারটিকে চালু করলে সূচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কম্পিউটারের পর্দায় বিভিন্ন আইকনগুলিকে দেখা যায়তেমনই পর্দার একেবারে নীচে একটি অনুভূমিক স্তম্ভও দেখতে পাওয়া যায়। এটিকে বলা হয় টাস্ক বার। এটির বাঁ দিকে স্টার্ট কথাটি থাকে এবং ডান দিকে থাকে ঘড়ি। সামগ্রিক ভাবে এই সব আইকন এবং স্টার্ট বোতাম সহ যে চিত্র কম্পিউটারের পর্দায় প্রাথমিক ভাবে দেখতে পাওয়া যায়তাকেই বলে ডেস্কটপ (Desk Top) সুতরাং ডেস্কটপ হলো একটি কম্পিউটারের পর্দার সামগ্রিক কাজের জায়গা।

কেউ যখন কোনও ডেস্ক বা টেবিলে বসে কাজ করেনতখন তিনি সেটির সম্পূর্ণ উপরিতলকে ব্যবহার করেনইংরেজিতে যাকে বলা যায় টপ অফ দ্য ডেস্ক (Top of the desk) কম্পিউটারের ক্ষেত্রে যদি তার পর্দাটিকে  ডেস্কের উপরিতলের সঙ্গে তুলনা করা হয়তা হলে উইন্ডোজ সিস্টেম তাকে একটি টেবিল বা ডেস্কের উপরিতলের মতোই ব্যবহার করে বলে ধরে নেওয়া যায়। ঠিক সেই কারণেই উইন্ডোজ xp/7/.. এর প্রাথমিক যে চিত্র আমরা দেখতে পাইতাকে কম্পিউটারের পরিভাষায় বলা হয় ডেস্কটপ। প্রকৃতপক্ষে এটিও একটি উইন্ডো। উইন্ডোজ সিস্টেমযুক্ত কম্পিউটারকে চালু করলে এই উইন্ডোটিই প্রথম খোলে।


ওয়ালপেপার - Wallpaper 

কম্পিউটারের ডেস্কটপ এর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সুন্দর একটি ওয়ালপেপার দারুন ভুমিকা রাখতে পারে। এটি মুলত পিকচার বা ইমেজ


আইকন - Icon 

আইকন শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রতিক বা চিত্র  উইন্ডোজ চালু হওয়ার পরে স্ক্রিনে বিভিন্ন ধরনের আইকন প্রদর্শিতহয়  কোন আইকনে ডাবল-ক্লিক করে তা ওপেন করা যায়  উইন্ডোজ চালু হওয়ার পরে ডেস্কটপে সাধারণত আইকনসমূহের মধ্যে My Computer, My Documents, Recycle Bin, Connect to Internet, Internet Explorer, Microsoft Outlook ইত্যাদি আইকনগুলো থাকে

ফাইলকে আপনি যেভাবে দেখেন তাই হচ্ছে আইকন  কম্পিউটার স্ক্রীনের আইকন একটি প্রোগ্রাম বা অবজেক্টকে নির্দেশ করে  যেমন : ডেক্সটপের উইন্ডোতে আপনি যে ফোল্ডার দেখেন তাই হচ্ছে আইকন  ফোল্ডারের ভিতরে যে ফাইলগুলো দেখেন সেগুলোও আইকন  1984 সালে ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে আইকনের সূচনা হয়েছিল  আইকনকে ক্লিক এবং ড্রেগিং করলে এর ফাইলগুলো নাড়াচাড়া করা যায়  এছাড়া ডাবল ক্লিক করে প্রোগ্রাম ওপেন করা যায়  গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসে আইকন হচ্ছে মৌলিক ফিচার যা টেক্সট কমান্ড থেকে ব্যবহার করা সহজ


ফোল্ডার - Folder 

ফোল্ডার প্রকৃতপক্ষে একটি আইকন,যার ভিতরে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফাইল, তাছাড়াও ফোল্ডারের মধ্যে ফোল্ডারও রাখা যায়একে সাব ফোল্ডার বলে  ফোল্ডার মানে যার ভিতর এক বা একাধিক ফাইল রেখে দেওয়া যায়, মনে করুণ আপনার কিছু ছবি  কিছু ভিডিও আছে তো আপনি চান এগুলো আলাদা আলাদা করে রাখবেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফোল্ডার বানাতে হবে, যেমন ছবির জন্য একটা আর ভিডিওর জন্য আরেকটা, উল্লেখ্য একটি ফোল্ডারের ভিতর আরও অনেক সাবফোল্ডার বানানো যায়


নতুন ফোল্ডার তৈরী করা - New Folder 

নতুন ফোল্ডার তৈরী করার জন্য কম্পিউটারের ডেস্কটপের যেকোন খালি জায়গায় গিয়ে মাউস এর ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুণ,  একটা উইন্ডো আসবে এখানে New লেখার উপর মাউস কার্সর নিয়ে যান ডান পাশে দেখেন Folder নামে একটা আইকন দেখবেন সেখানে মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করুন,তাহলে ডেস্কটপে একটা ফোল্ডার তৈরী হবে


ফোল্ডারের নাম করন করা 

তৈরী করা ফোল্ডারের উপর মাউসের  right বোতামে ক্লিক করুণএখানে Rename  ক্লিক করুণবাম পাশের বোতাম দিয়ে ক্লিক করার সাথে সাথে মাউস থেকে হাত উঠিয়ে ফেলুন। তারপর কীবোর্ড  গিয়ে যে নাম দিতে চান সে নাম দিয়ে এন্টার(Enter) চাপুন বা মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে যে কোন খালি জায়গাই ক্লিক করুণদেখবেন আপনার ফোল্ডারের নাম করা হয়ে গেছে। পুরান ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার পদ্ধতি একি রকম


মাই কম্পিউটার 

মাই কম্পিউটার এর মধ্যে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভফোল্ডারকন্টোল প্যানেল  অন্যান্য আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যারের তথ্যসমূহ সংরক্ষিত থাকে  হার্ডওয়্যার বা সফটওয়ার Access করার জন্যও My Computer ব্যবহার করা হয়


ড্রাইভ ফোল্ডার - Drive Folder 

মাই কম্পিউটারের মধ্যে এক বা একাধিক ড্রাইভ ফোল্ডার থাকতে পারে। ড্রাইভের নাম অনুসারে ফোল্ডারগুলির নাম হয়। যেমন, ‘সি’ ড্রাইভ, ‘ডি’ ড্রাইভ, ‘এ’ ড্রাইভ ইত্যাদি। যদি কম্পিউটারের সঙ্গে ফ্লপি ড্রাইভ যুক্ত থাকে, তা হলে সেটি ‘এ’ ড্রাইভ নাম নিয়ে কম্পিউটারের মধ্যে থাকবে। সাধারণত হার্ড ডিস্কে এক বা একাধিক ভাগ (Partition) থাকে। এ রকম প্রতিটি ভাগই একেকটি আইকনের আকৃতি নিয়ে থাকবে। যদি কম্পিউটারে ‘সি ডি রম’ যুক্ত থাকে, তা হলে সেটিও একটি ড্রাইভ ফোল্ডার হিসাবে মাই কম্পিউটারে থাকবে


কন্ট্রোল প্যানেল ফোল্ডার - Control Panel Folder 

মাই কম্পিউটারের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেল ফোল্ডারে যে সব কাজ সম্পাদনের সুযোগ থাকেসেগুলির মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাউসের সাহায্যে এই ফোল্ডারটি খোলা হলে যে সব কাজ সম্পাদনের সুযোগ পাওয়া যায়কম্পিউটারের পরিভাষায় সেগুলির নাম হলোঅ্যাড রিমুভ হার্ডওয়্যার (এর সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে নতুন হার্ডওয়্যার যুক্ত করা যায় অথবা ইতিমধ্যেই যুক্ত কোনও হার্ডওয়্যারকে কম্পিউটার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়), অ্যাড রিমুভ প্রোগ্রামস (এর সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে কোনও সফটওয়্যার যুক্ত করা যায় অথবা কম্পিউটার থেকে কোনও সফটওয়্যারকে বিযুক্ত করে ফেলা যায়), ডিসপ্লে (কম্পিউটারের পর্দায় যা দেখা যায়এর সাহায্যে সেগুলির ধরন পরিবর্তন করা যেতে পারে), ডেটটাইম (কম্পিউটার যে তারিখ  সময় দেখায়এর সাহায্যে তাকে বদলানো যায়), মাউস (এর সাহায্যে মাউসের বোতাম দুটির কাজকে অদল বদল করা যেতে পারেমাউস পয়েন্টারের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং মাউস পয়েন্টারের চেহারা বদলে দেওয়া সম্ভব), কি বোর্ড  - এর সাহায্যে কি বোর্ডটিকে নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়


প্রিন্টারস ফোল্ডার - Printer Folder 

এটি থেকে জানা যায়কম্পিউটারের সঙ্গে কতগুলি প্রিন্টার যুক্ত আছেসেগুলির ধরন  প্রকৃতি কী


ডায়াল আপ নেটওয়ার্কিং ফোল্ডার - Dial-Up Network Folder 

কম্পিউটার টেলিফোন নম্বর ডায়াল করতে পারে এই ফোল্ডারটির সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে দেয় নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বর ডায়ালের মাধ্যমে


রিসাইকেল বিন - Recycle Bin 

Recycle Bin হচ্ছে উইন্ডোজ এর একটি স্থায়ী অবজেক্ট  কোন ফাইলফোল্ডারবা অন্য কোন আইটেম মছে ফেলা হলে তা Recycle Bin  জমা থাকে  Recycle Bin থেকে আবার সে ফাইলগুলো স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলা যায় কিংবা আগের ডাইরেকটরিতে ফিরিয়ে আনা যায়


ফাইল পুনরুদ্ধার 

যে ফাইলটি পুনরুদ্ধার করা দরকারসেটিকে রিসাইকেল বিন নামক আইকন থেকে বের করে যেখানে দরকারসেই আইকনে ঢুকিয়ে দিলেই হলো। তার জন্য ড্র্যাগিং নামক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।  অথবা যে ফাইলটি পুনরুদ্ধার করতে চাওয়া হচ্ছেসেটির উপরে মাউস পয়েন্টারটিকে নিয়ে গিয়ে প্রথম মাউসের বাঁ দিকের বোতামটি এক বার ক্লিক করতে হবে। তার পর পয়েন্টারটিকে একই অবস্থানে রেখে মাউসের ডান দিকের বোতামটিকে এক বার ক্লিক করতে হবে। তা হলে একটি তালিকা দেখা যাবে কম্পিউটারের পর্দায়

সেই তালিকায় রেস্টোর (Restore) নামক নির্দেশের উপর পয়েন্টারটি নিয়ে গিয়ে ফের মাউসের বাঁ দিকের বোতামটি এক বার ক্লিক করলেই যেখান থেকে ফাইলটিকে মুছে ফেলা হয়েছিলকম্পিউটার নিজেই সেখানে ফাইলটিকে ফেরত পাঠিয়ে দেবে


ফাইল ডিলিট 

Recycle Bin হচ্ছে উইন্ডোজ এর একটি স্থায়ী অবজেক্ট  কোন ফাইলফোল্ডারবা অন্য কোন আইটেম মছে ফেলা হলে তা Recycle Bin  জমা থাকে  Recycle Bin থেকে আবার সে ফাইলগুলো স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলা যায় কিংবা আগের ডাইরেকটরিতে ফিরিয়ে আনা যায়

আবার সত্যিই যদি কোনও ফাইলকে স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলতে হয়তা হলে রিসাইকেল বিনে গিয়ে  ফাইলটিকে মাউসের সাহায্যে পয়েন্টার দিয়ে নির্দেশ করে পাকাপোক্ত ভাবে মুছে ফেলতে হবে ডিলিট বাটন টিপে

মনে রাখতে হবেরিসাইকেল বিন থেকে কোনও ফাইলকে মুছে ফেললে তাকে আর ফেরত পাওয়া যায় নানতুন করে  ফাইলটি তৈরি করতে হয়। আর কোনও ফাইলকে মুছে ফেলতে চাইলেই তা কম্পিউটারের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যায় নাপ্রাথমিক ভাবে গিয়ে জমা হয় রিসাইকেল বিনে


মাই ডকুমেন্টস - My Document 

My Document: ডিফল্ট সেটিং হিসেবে এই আইকনটি স্ক্রিনের My Computer এর নিচেই অবস্থান করে। এর মধ্যে আমরা যে সব Document জনিত কার্যাবলী সম্পাদন করি তা এসে সংরক্ষন হয়  My Document- ডাবল-ক্লিক করে ফোল্ডারটি ওপেন করা যায়সেখান থেকে  সকল ডকুমেন্টসমূহ ব্যবহার করা যায়

এই নামের আইকনটি খুললে যে উইন্ডোটি দেখতে পাওয়া যায়তাতে ব্যবহারকারী তাঁর ইচ্ছে মতো তথ্য বা নথিকে ফোল্ডার বা ফাইল আকারে সঞ্চিত রাখতে পারেন

এর মধ্যে কোনও তথ্য বা নথি সংবলিত নতুন ফাইল যেমন তৈরি করা যায়তেমনই ইতিমধ্যেই রয়েছে এমন কোনও ফাইলের মধ্যেও তথ্য বা নথি সংযোজন করা যায়। প্রয়োজনে কোনও ফাইল থেকে কোনও তথ্য বা নথি বাদ দেওয়া যেতে পারে


My Network places 

বর্তমান ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে  My Network places আইকনটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট এবং LAN, WAN নেটওয়ার্ক সেটআপ করা যায়


স্টার্ট বোতামের কাজ - Start Button 

Windows Taskbar এর বাম দিকে ‘‘START’’ লেখা একটি বাটন পাবেন। এর দ্বারা Operating System এর যেকোন কার্য সম্পাদন করা যায়। কম্পিউটারে ইনস্টল করা প্রোগ্রামও এর দ্বারা চালু করা যায়। Start Button থেকে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করাকম্পিউটার বন্ধ করাবিভিন্ন প্রকার কনফিগারেশন করাসহ উইন্ডোজ প্রোগ্রামের বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদান করা যায়