Category Filters
Description
Motherboard
মাদারবোর্ড
হল প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাংশের সংযোগস্থল।
কম্পিউটার সিস্টেমের সকল উপাদান প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে যে সবচেয়ে বড়
সার্কিটবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে ,
তাকে মাদারবোর্ড বলে।
একে
সিস্টেম বোর্ড (System Board) ও বলা হয়ে
থাকে। মাদারবোর্ড মূলত একটি প্রিন্টেড
সার্কিট বোর্ড বা পিসিবি (Printed Circuit Board) যাতে বিভিন্ন ধরনের
কানেক্টর এবং এক্সপানশন স্লট
থাকে।
মাদারবোর্ডের
মাধ্যমে প্রসেসরের সাথে কম্পিউটারের অন্যান্য
উপাদানসমূহ যেমনঃ মেমোরি ও স্টোরেজ , পাওয়ার
সাপ্লাই ইউনিট , ভিডিও কার্ড , হার্ডডিস্ক ড্রাইভ , ডিভিডি ড্রাইভ , সাউন্ড কার্ডসহ অন্যান্য ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসসমূহ
সংযুক্ত থাকে ।
মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের ভেতরে অবস্থিত সার্কিট বোর্ড যাতে সিস্টেম এর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ডিভাইস পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নতুন ডিভাইস সংযুক্ত করার ব্যাবস্থা থাকে মাদারবোর্ড
হলো কেন্দ্রীয় সার্কিট বোর্ড যার সাথে কম্পিউটারের
অন্যান্য যন্ত্রাংশ যেমন পাওয়ার সাপ্লাই
ইউনিট, প্রসেসর, মেমরী, ডিস্ক ড্রাইভ, ডিভিডি ড্রাইভ, এ্যাডাপ্টার কার্ড ইত্যাদি সংযোগ দেয়া হয়। কম্পিউটার
সিস্টেমের সকল উপাদান পরোক্ষ
বা প্রত্যক্ষভাবে যে বৃহৎ সার্কিট
বোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে
তাকে মাদারবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ড
বলে।
মাদারবোর্ড
কত প্রকার ও কি কি? মাদারবোর্ড
গঠন এবং কাজের উপর
নির্ভর করে মূলত ৫
প্রকারের হয়ে থাকে যেমনঃ -
১ . মাইক্রো এটিএক্স মাদারবোর্ড (Micro ATX
Motherboard)
২ . স্ট্যান্ডার্ড এটিএক্স মাদারবোর্ড (Standard ATX
Motherboard)
৩ . মিনি আইটিএক্স মাদারবোর্ড
(Mini ATX Motherboard)
৪ . পিকো আইটিএক্স মাদারবোর্ড
(Pico ITX Motherboard)
৫ . ন্যানো আইটিএক্স মাদারবোর্ড (Nano ITX
Motherboard)
মাদারবোর্ডের
বিভিন্ন অংশ? 1. CPU বা Processor Socket 2. RAM Slots 3. ATX Power Connectors 4. IDE Connectors 5. AGP Slots 6. PCI Slots 7. ISA Slots 8. CMOS Backup Battery 9. Northbridge - নর্থ - ব্রিজ 10. Southbridge - সাউথ - ব্রিজ 11. BIOS 12. CPU Power 13. Switches and Jumper 14. Chip-Sets 15. Expansion Bus 16. Cache Memory 17. CPU Clock/System clock
মাদারবোর্ডের
বিভিন্ন পোর্ট ( Port ) 1. USB Port 2. PS/2 Port 3. VGA Port 4. RJ-45 Port / LAN Port 5. DVI Port 6. Rear Speaker 7. Subwoofer 8. Side Speaker 9. Game
Port 10. SATA Port 11. Parallel Port 12. Serial Port
মাদারবোর্ড
তৈরি করার জনপ্রিয় কোম্পানির
নাম বর্তমান
সময়ে এমন অনেক কোম্পানি
আছে, যারা দীর্ঘদিন থেকে
মাদারবোর্ড তৈরি করে আসছে।
তবে এর মধ্যে কিছু
কিছু কোম্পানি আছে, যারা আজকের
দিনে মাদারবোর্ড তৈরিতে অন্যান্য কোম্পানি গুলোর থেকে শীর্ষে অবস্থান
করে আছে। যেমনঃ
Gigabyte, AMD, ASUS, MSI, Intel, AOpen, Biostar, ABIT
মাদারবোর্ড এ কী কী থাকে? ১ . প্রসেসর সকেট ২ . চিপসেট ৩ . ভোলাটাইল মেমোরি ৪ . ননভোলাটাইল মেমোরি ৫ . সিস্টেম ক্লক ৬ . এক্সপেনশান স্লট ৭ . পাওয়ার কানেক্টর
প্রসেসর সকেট :- মাদারবোর্ডে সংযুক্ত থাকা একটি সকেট যাতে প্রসেসর বসানো থাকে । প্রয়োজনে খোলা যায় ও পরিবর্তনও করা যায় । বিভিন্ন মডেলের প্রসেসরের জন্য বিভিন্ন সকেট রয়েছে । দুই ধরণের সকেট রয়েছে যথা :-
১ . LGA - Land Grid Array ২ . ZIF - Zero Insertion Force চিপসেট :- চিপসেট হল পেরিফেরালস প্রসেসর এবং অন্যান্য ডিভাইস এর সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে । আধুনিক আর্কিটেকচার অনুযায়ী মাদারবোর্ড চিপকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়েছে । যথা :- ১ . নর্থব্রিজ :- এটা মাদারবোর্ড এর হাই - স্পীড ডিভাইসগুলোকে কন্ট্রোল করে । অর্থাৎ প্রসেসর , র্যাম, ভিডিও এর সাথে যুক্ত থাকে । মাদারবোর্ডে যে হিটসিঙ্ক থাকে তার নিচের চিপটাই হল নর্থব্রিজ । এটা একই সাথে প্রসেসর , ভিডিও , আর র্যামকে কন্ট্রোল করে । বিল্ট - ইন গ্রাফিক্স কার্ডে ভিডিও প্রসেসর হিসেবে কাজ করে ।
২ . সাউথব্রিজ :- মাদারবোর্ড এর অন্যান্য ডিভাইস যেমন বায়োস , পিসিআই বাস , ইউএসবি , স্টোরেজ ডিভাইস , ক্লক , অডিও ডিভাইস , এনআইসি ইত্যাদি কন্ট্রোল করে । মাদারবোর্ড এ হিটসিঙ্ক ছাড়া আরেকটি যে বড় চিপ দেখা যায় সেটাই হল সাউথব্রিজ ।
মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন মডেলের চিপসেট লাগানো থাকে যেমন :- 910, 915, 945, 965, 975, P31, P35, G31, G33, G35, X38, X48, P43, P45, G31, G33, G41, G43, G45, H55, H57, H61, H67, X79 ইত্যাদি হল বিভিন্ন চিপসেট । আলাদা আলাদা চিপসেটের বাস , পোর্ট , পিসিআই স্লট ইত্যাদি এর ধরণক্ষমতা আলাদা আলাদা হয় । ভোলাটাইল মেমোরি :- ভোলাটাইল মেমরি হল যে মেমরি পাওয়ার চলে গেলে মছে যায় । র্যাম হল ভোলাটাইল মেমরি । র্যাম দুই ধরণের হয়ে থাকে । ডি - র্যাম বা ডাইনামিক র্যাম মেমরি বেশি ব্যবহৃত হয় । এটা প্রসেসর এর কার্যক্ষেত্র বা ড্রাফট পেপারের মত কাজ করে । মেমরি লাগানোর জন্য যে স্লট থাকে তাকে বলে DIMM বা Dual In-line Memory Module. মেমরি মডিউলে সার্কিট বোর্ডের দুপাশে মেমরি চিপ বসানো থাকে । ননভোলাটাইল মেমোরি :- পাওয়ার চলে গেলেও যেসব ডিভাইস স্থায়ীভাবে ডাটা রেখে দিতে পারে তাদেরকে নন - ভোলাটাইল মেমরি বলে । যেমন :- হার্ডডিস্ক , অপ্টিকাল ড্রাইভ , ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি হল এরকম মেমরির উদাহরণ । সিস্টেম ক্লক :- মাদারবোর্ড এ একটা আইসি থাকে যেটা থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর সিগনাল উৎপন্ন হয় এক্সপেনশান স্লট :- মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন পেরিফেরালস যুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি পিসিআই বা পিসিআই - ই স্লট থাকে । এগুলোতে ল্যান কার্ড , সাউন্ড কার্ড , ভিডিও কার্ড , টিভি কার্ড , মডেম , ওয়াই - ফাই কার্ড ইত্যাদি লাগানো যায় । পাওয়ার কানেক্টর :- সমস্ত সিস্টেম চালু রাখতে শক্তির প্রয়োজন । পাওয়ার কানেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থেকে মাদারবোর্ড ও এর বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎ পায় । সাধারণত ২০ পিন বা ২৪ পিন বিশিষ্ট সকেটের মাধ্যমে মাদারবোর্ড পাওয়ার পায় ।
মাদারবোর্ড এ কী কী পোর্ট থাকে? 1. IDE - Integrated Drive Electronics 2. SATA - 3. USB - Universal Serial Bus 4. PS/2 - Personal System/2 5. Serial/Parallel বায়োস - BIOS-Basic Input Output System কী?
বায়োস ব্যাটারি
বর্তমানে বিভিন্নি মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের মাদারবোর্ড তৈরী করছে । এর মধ্যে জনপ্রিয় মাদারবোর্ড হচ্ছে AMI BIOS, AWARD BIOS, PHONEMIX BIOS ইত্যাদি । বায়োসের মধ্যে সাধারনত তারিখ , সময় , সিষ্টেম কনফিগারেশন তথ্য জমা থাকে । যখন আমাদের কম্পিউটার এ কোন হার্ডওয়ার সমস্যা হয় তখন বায়োস ১টি ত্রুটি কোড প্রদর্শন করে যার মাধ্যমে আমরা বুজতে পারি কোন হার্ডওয়ার সেকশন এ প্রবলেম হয়েছে । বায়োস অ্যাকসেস করার সমর কম্পিউটার বুট করার জন্য সাদারনত F1,F2,F10,DEL,ESC কী গুলো চাপতে হয় । যেমন - গিগাবাইট মাদারবোর্ড এর জন্য DEL চাপতে হয় , ইন্টেল মাদারবোর্ড এর জন্য F2 চাপতে হয় , এইচপি মাদারবোর্ড এর জন্য F10 চাপতে হয়।
মাদারবোর্ড টাইপ - Motherboard Type মাদারবোর্ডকে ফর্ম ফ্যাক্টর এবং প্রসেসরের ইন্টারফেস এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় ফর্ম ফ্যাক্টর :- মাদারবোর্ড এর আকার আকৃতি ও বিভিন্ন অংশের জন্য উপযুক্ত স্থান পাওয়ার সাপ্লাই কুলিং সিস্টেম ইত্যাদির ভিন্নতার কারণে এর ডিজাইন প্রক্রিয়াকে কিছু নির্দিষ্ট ফরম্যাটে চিহ্নিত করা হয়েছে যা ফর্ম ফ্যাক্টর নামে পরিচিত । বিভিন্ন কার্ড সহ মাদারবোর্ড এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব ডিভাইসের সামাঞ্জস্যতা বজায় রাখতেই ফর্ম ফ্যাক্টর ধারণার উদ্ভব । ফর্ম ফ্যাক্টর সচরাচর ছয় ধরণের হয়ে থাকে যথা - ১ . ব্যাক প্লেইন সিন্টেম , ২ . ফুল সাইজ এটি [ Full size AT ] , ৩ . বেবী এটি [ Baby AT ] , ৪ . এলপি এক্স [ LPX ] , ৫ . এটি এক্স [ ATX ] , ৬ . এনএলএক্স [ NLX ] . এর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় মাদারবোর্ড এর ফর্ম ফ্যাক্টর সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো ।
মাদারবোর্ড একটা কেসিংএর মাঝে লাগানো থাকে । একারণে মাদারবোর্ড নির্মানকারী কোম্পানীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সাইজ এর বোর্ড তৈরি করতে হয় । নাতো সেগুলো কেসিংএ লাগানো সম্ভব হবেনা । এই কারণে পিসিবি বোর্ড যে সাইজ বা নিয়ম মেনে তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় ফর্ম ফ্যাক্টর । বিভিন্ন সাইজ এর ফর্ম ফ্যাক্টর রয়েছে । তার মাঝে সবচেয়ে পরিচিত হল AT, ATX আর microATX. ১ . এটি - AT:- ১৯৮৪ সালে আইবিএম এই সাইজের মডেল তৈরি করে । এই ফ্যাক্টরে পিবিসি এর সাইজ হয় দৈঘ্যে ১২ ইঞ্চি আর প্রস্থে ১১ - ১৩ ইঞ্চি । ২ . এটি এক্স - ATX:- এই মডেলের প্রতিষ্ঠাতা ইনটেল । ১৯৯৬ সালের এই ফ্যাক্টর অনুযায়ী এখনও বোর্ড তৈরি হচ্ছে । দৈর্ঘ্য - ১২ ইঞ্চি প্রস্থ - ৯ . ৬ ইঞ্চি ৩ . microATX:- মাত্র ৯ . ৬ বর্গইঞ্চি ক্ষেত্রফলের এই বোর্ড ২৫ % ছোট হওয়ায় খুব কম জায়গা দখল করে । এটা ২০০৭ সালের পর থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এছাড়াও mini-ITX, mobile-ITX, pico-ITX, DTX, mini-DTX ইত্যাদি বিভিন্ন সাইজের ফর্ম ফ্যাক্টর রয়েছে ।
মাদার বোর্ড এর চিপস গুলো 1.Intel, 2. VIA, 3. SIS,
মাদার বোর্ড এর ব্রেন্ড এর নাম:
1. Intel MB, 2. Giga Byte MB, 3. BIOSTER MB, 4. SOYO MB, 5. ASUS MB,