Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Concepts of Computer

Description

Concepts Of Computer


কম্পিউটার কি

কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ হিসেবকারী বা গণনাযন্ত্র কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক মেশিন যা লক্ষ কোটি গানিতিক সিদ্ধান্তমূলক যুক্তিমূলক সমস্যার নির্ভুল সমাধান দিতে সক্ষম মানুষের প্রদানকৃত নির্দেশসমূহ থেকেই সে বিশ্লেষণ করে , হিসাব করে ফলাফল প্রদান করে নির্দেশের উপরেই নির্ভর করে ফলাফল


Computer শব্দটির সাধারণ অর্থ হচ্ছে গণক যন্ত্র। ল্যাটিন শব্দ Compute থেকে ইংরেজী Computer শব্দের উৎপত্তি। Compute শব্দটির অর্থ গণনা বা হিসাব নিকাশ করা। কম্পিউটারের সাহায্যে মূলতঃ যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পাদন করা যায়। কিন্তু বর্তমান যুগে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের সংঙ্গা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে। কোন সীমিত সংঙ্গা দিয়ে আর কম্পিউটারকে গন্ডীবদ্ধ করা যায় না


কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক কম্পিউট শব্দ থেকে এসেছে কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনা করা কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র ।পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধু হিসাব-নিকাসের কাজই করা হতো বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে ।কম্পিউটার হচ্ছে এমন এক ধরনের যন্ত্র যা মানুষের দেয়া যুক্তিসঙ্গত তথ্যের ভিত্তিতে অতি দ্রূত সঠিকভাবে কোনো নির্ণয় কার্য সম্পাদন করতে পারে এবং এটার ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে ।বর্তমান যুগে কম্পিউটাররের বহুমুখী ব্যবহারের ফলে এর সংজ্ঞা অনেক ব্যাপকতা লাভ করেছে কাজের অনেক নির্দেশ কম্পিউটাররের স্মুতিতে সংরক্ষণ করা সম্ভব এবং প্রয়োজনে এটি একটির পর একটি করে যেসব নির্দেশ নির্ভুলভাবে ত্বরিত গতিতে নির্বাহ করতে পারে হিসাব সিদ্ধান্ত যুক্তিমূলক সমস্যার দ্রুত নির্ভুল সমাধান দিয়ে মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি কার্য কারিতা বারাতে সাহায্য করে কম্পিউটার এর গতি বিশ্বস্ততা নির্ভরতা মানুষের অনুরূপ ক্ষমতার তুলনায় অনেক উন্নত


মানব সভ্যতার চুড়ান্ত পর্বে  তথ্য প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান আশীর্বাদ হল কম্পিউটার এটি একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রবিশেষ অর্থাৎ কম্পিউটার হল বহুমুখী কাজের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে উপাত্ত গ্রহণ, বিন্যাস বিশ্লেষণ করার পর উপাত্তকে ডিস্কে বা স্মৃতিতে জমা রাখা হয় , প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় -মেইল এবং ইন্টারনেট কার্যাবলি সম্পন্ন করা হয়
কম্পিউটার বা Computer একটি ইংরেজি শব্দ এটি গ্রিক শব্দ বা ল্যাটিন শব্দ Compute হতে উদ্ভব হয়েছে ল্যাটিন  Computer শব্দের অর্থ হল গণনাকারী ইলেকট্রনিক যন্ত্র সুতরাং অর্থগতভাবে বলা যায় সুশৃঙ্খল এবং সুসংবদ্ধ তথ্য সম্বলিত হিসাব নিকাশের যন্ত্রকেই Computer বলে
Computer is a automatic problem solving machine whose main purposes is data processing or processing information and which has needed electric. Jhon Bair.
 পরিশেষে বলা যায় কম্পিউটার হল বিদ্যুৎ চালিত একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে বিশাল তথ্য ভান্ডার সংগ্রহ করে তার বিন্যাস, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা, সংযোজন, বিয়োজন করে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সুসম্পন্ন করা হয়


কম্পিউটার এর মূল গঠন প্রনালী আলোচনা কর - Computer Structure

Computer মূলতঃ তিনটি অংশে বিভক্ত। যেমনঃ-

1. Input Device. উদাহরণঃ কী বোর্ড, মাউস, জয়স্টিক, গ্রাফিক্স প্যাড, স্কানার ইত্যাদি

2. Central Processing Unit (CPU)

3. Output Device. উদাহরণঃ মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার প্রভৃতি।


কম্পিউটার ও মানুষের মধ্যে পার্থক্য কী - Deference Between Computer & Human Being

কম্পিউটার মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো কম্পিউটার যে কোন কাজের ফলাফল অতি দ্রুত গতিতে প্রদর্শন করে। কিন্তু মানুষ তা পারে না। তা সত্ত্বেও মানুষ কম্পিউটারের চেয়ে বুদ্ধিমান। কারন কম্পিউটার মানুষের হাতে গড়া একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। তার চেয়ে বড় কারণ হলো কম্পিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই। মানুষ যদি তার স্মৃতি বা মেমোরীতে সফটওয়্যার সেট করে দেয় তাহলে সে ঐ সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে আমাদের সামনে তথ্য প্রদান করবে। তার বেশী বা কম করবে না।


কম্পিউটার এর কয়টি অংশ ও কি কি - How Many Parts Of A Computer?

কম্পিউটারের প্রধান অংশ দুইটি যেমন:-
1.Hardware

2.Software 

Hardware :- কম্পিউটারের যে কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকেই হার্ডওয়্যার বলে হার্ডওয়্যারকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় হার্ডওয়্যারকে পরিচালনার জন্য উপযুক্ত সফ্টওয়্যার বা প্রোগ্রাম সামগ্রীর প্রয়োজন হয় হার্ডওয়্যার সফ্টওয়্যারের সম্মিলিত কার্যকলাপের মাধ্যমে কম্পিউটার তার কাজ সম্পন্ন করে থাকে হার্ডওয়্যারের প্রধান ডিভাইস- ইনপুট ডিভাইস, সিপিইউ, বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং আউটপুট ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত

Software :- কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারের ভাষায় যে সারিবদ্ধ সুশৃঙ্খল নির্দেশ দেয়া হয়, তাকে সফটওয়্যার বলা হয়


How To Start A Computer

প্রথমে কম্পিউটারের বিদ্যুৎ সরবরাহের যাবতীয় লাইন ঠিক আছে কিনা তা দেখে সুইচ অন করতে হবে। এখন Casing Box এর Power Switch বাটনে টিপ দিয়ে কম্পিউটার ON করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর কতগুলো Folder/Icon সহ Windows Desktop Screen প্রদর্শিত হবে।


কম্পিউটারের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি আলোচনা কর?

কম্পিউটারের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো

1. দ্রুতগতি - High speet :- দ্রুতগতি কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি কম্পিউটার একটি নির্দেশ সম্পন্ন করতে ন্যানো সেকেন্ড সময় ব্যবহার করে সেকেন্ডর ১০০ কোটি ভাগের ভাগ হচ্ছে ন্যানো সেকেন্ড


2. নির্ভুলতা - Correctness :- কম্পিউটার একটি মেশিন মানুষের দেয়া তথ্য যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে মানুষ তার নিজের আবিষ্কার করা সূত্র ব্যবহার করতে যেয়ে ভুল করতে পারে কিন্তু কম্পিউটার কখনও ভুল করে না কম্পিউটারের নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ  


3. সূক্ষ্মতা - Accuracy : - কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুলভাবে গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারে এই কারনে কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়  


4. বিশ্বাসযোগ্যতা - Reliability :- কম্পিউটার নির্ভুল সূক্ষ্মভাবে কাজ করে কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের আবিষ্কার করা সূত্র মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে তবে মানুষ যদি ভুল সূত্র ব্যবহার করে ভুল নির্দেশ দেয় তবে কম্পিউটার সেটা বলে দিবে কোন তথ্যটি ভুল


5. ক্লান্তিহীনতা
Diligence : - কম্পিউটার একটি যন্ত্র আর যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজে বা সাধারণ কোন নিয়মিত কাজে কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন , বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে  


6. স্মৃতিশক্তি - Memory : - কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি আছে একে ইংরেজিতে মেমোরি বলে প্রোগ্রামারগণ কম্পিউটার কি ধরনের কাজ করবে তার নির্দেশ কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে দেয় কাজ করার সময় এখান থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্দেশ অনুসারে কাজ করে কম্পিউটারের স্মৃতিতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রোগ্রাম ডেটা সংরক্ষণ করা যায় এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায়  


7. স্বয়ংক্রিয়তা - Automation:-  কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে এটি কম্পিউটারের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এই কারনে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়  


8. যুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত - Logical Decision : - কম্পিউটারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থা বিচার করে কি কাজ করতে হবে তার আগাম নির্দেশ দিয়ে রাখলে যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিভিন্ন কাজ নিজে নিজে করতে পারে তবে নিজে থেকে কম্পিউটার কোন মৌলিক চিন্তাশক্তির অধিকারী নয় মানুষের দেয়া উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে  


9. বহুমুখী ব্যবহার  - Versatility :-  বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায় এর কারন হচ্ছে কম্পিউটার একটি প্রোগ্রামনির্ভর যন্ত্র যখন যেই প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লোড করা থাকে সেই প্রোগ্রাম অনুসরন করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে এই কারনে একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব নিকাশের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শোনা যায় এরকম বিবিধ কাজ কম্পিউটার করতে পারে  


10. অসীম জীবনীশক্তি - Endless Life : - দীর্ঘদিন কাজ করার পরেও প্রোগ্রামে কোন মারের ক্ষতি হয় না একটি প্রোগ্রাম তৈরি করে তাকে হাজার হাজার কপি করে হাজার হাজার লোকে ব্যবহার করলেও মানের কোন ক্ষতি হয় না হার্ডওয়্যারের একটি নির্দিষ্ট জীবন সীমা আছে কিন্তু সফটওয়্যারের জীবন অসীম


            

শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বর্ণনা কর

1. বইপত্রের বিকল্প হিসেবে কম্পিউটারে তথ্যাবলি ধারণ করে রাখা যায়  2. বিভিন্ন অনলাইন লাইব্রেরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়  3. পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয়া উত্তর পত্র যাচাই করা 4. শিশুদেরকে কম্পিউটার ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয় 5. শিশু শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা পর্যন্ত যেকোন পর্যায়ে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় 6. বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম কার্টুন চিত্রের সাহায্যে বর্ণ পরিচয় , প্রশ্ন উত্তরের মধ্যমে বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দান করে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলা যায় . শিক্ষামূলক সিডি ব্যবহার করে স্থির চিত্র কিংবা চলমান চিত্রের সাহায্যে শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় পাঠদান করা যায়         

শিল্প ও কলকারখানায় কম্পিউটারের ব্যবহার বর্ণনা কর

1. কলকারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান যথাযথ হচ্ছে কি না তা কম্পিউটার দিয়ে যাচাই করা যায় 2. উৎপাদন কাজে যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হচ্ছে তা ঠিকমতো কাজ করছে কি না তার সুষ্ঠু তদারকিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায় 3. বিভিন্ন রকম রাসায়নিক কারখানা , ইস্পাত কারখানা , বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে কম্পিউটারের সাহায্যে যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় 4. অল্প সময়ে পণ্যের নকশা তৈরি করা যায় 5. কলকারখানায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ , বিপজ্জনক শ্রমসাধ্য কাজে কম্পিউটারচালিত রোবট ব্যবহার করা হয় 


বিনোদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বর্ণনা কর

1. টেলিভিশন , সিনেমা , ক্যাসেট প্লেয়ার ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে কম্পিউটারের ব্যবহার 2. কম্পিউটারের গেম খেলার জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার 3. কম্পিউটারের মাধ্যমে গান শোনা ছবি দেখা ভিডিও চিত্র ধারন করা যায় 4. কম্পিউটারে টিভি কার্ড যুক্ত করে টেলিভিশন দেখা যায়   


কম্পিউটারের মৌলিক সীমাবদ্ধতা কি

কম্পিউটার একটি যন্ত্র মাত্র এর নিজস্ব কোন চিন্তাশক্তি নেই , নেই কোন উপস্থিত বুদ্ধি বুদ্ধিমত্তা বা বিচার-বিশ্লেষণ এবং বিবেচনার মাধ্যমে কম্পিউটার নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনা এটি কেবল মানুষের দেয়া বুদ্ধি নির্দেশ অনুসারে দ্রুত নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে তবে বর্তমানে কম্পিউটারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে


কম্পিউটার কোন নীতিতে কাজ করে

কম্পিউটার একটি অতি উন্নতমানের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র সংখ্যার ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হিসাব-নিকাশসহ যাবতীয় কার্যসম্পাদন করে থাকে এজন্য ডেটা প্রোগ্রাম এই দুটি জিনিসের প্রয়োজন হয় প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রোগ্রামে দেয়া ডেটা নির্দেশগুলো বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত হয় সেগুলো অভ্যন্তরীন স্মৃতি অংশে সংরক্ষিত হয় বিশাল  পরিমান উপাত্ত দীর্ঘসময় ধরে সংরক্ষণের জন্য সহায়ক স্মৃতি ব্যবহৃত হয়


সামাজিক জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে আর সামাজিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে পরেছে যেমন ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি ভাগাভাগি করার জন্য কম্পিউটারনির্ভর বিনোদন ব্যবস্থা, লেখালেখি করা যোগাযোগের জন্য সহজলভ্য সুলভ মাধ্যম তৈরি করে দিয়েছে কম্পিউটার মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার ইন্টারনেট নির্ভর চ্যাটিং ব্যবস্থা সামাজিক সম্পর্ক বিকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে  কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন এত বিস্তৃত হচ্ছে যে ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনের যেকোন কর্মকান্ডে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ফেইসবুক মাইস্পেস টুইটার ইউটিউব অরকুট  এর মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো মানুষের সামাজিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে 


কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহার নিম্নে আলোচনা করা হলো-

1. ওয়াড প্রসেসিং বা লেখা-লেখির কাজে টাইপ রাইটারের বিকল্প হিসেবে অফিস আদালতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় 

2. ব্যাংকিং শেয়ার বাজার ইন্সুরেন্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের হিসেব তৈরি সংরক্ষণের কাজে গতানুগতিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে আজকাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় 

3. অফিসের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার কাজে আজকাল কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে

4. শিল্পক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের কাজেও কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে

5. যন্ত্রপাতি মোটরগাড়ি জাহাজ অ্যারোপ্লেন ঘরবাড়ী ব্রিজ ইত্যাদি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে

6. বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজে  কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে

7. একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ প্রেরণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবস্থাগুলোতে ব্যাপকভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়

8. শিক্ষাক্ষেত্রে পরীক্ষা কার্যক্রম ফলাফল প্রকাশ ভর্তি কার্যক্রমে সরাসরি কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয় এছাড়া পাঠদান পদ্ধতিতেও কম্পিউটার মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়

9. বিনোদনের ক্ষেত্রে যেমন টিভি দেখা ভিডিও দেখা গান বাজানো ইত্যাদি

10. মুদ্রণশিল্পে প্রকাশনামূলক যে কোন কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

11. যোগাযোগ ব্যবস্থার টিকেট বিক্রি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সপোর্টের ডিরেকশন গতি নির্ণয়ের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়

12. আধুনিক সামরিক বাহিনীতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়

13. আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণের কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়


মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর

কম্পিউটার মানুষের তৈরি কিন্তু কম্পিউটারের এমন কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে যার কারনে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা সুবিধাজনক এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য  পাঁচটি বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেয়া হলো

1. ক্লান্তিহীনতা Restless

2. ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা  Taking Risk Ability

3. স্মৃতিশক্তি  Memory

4. আবেগ অনুভূতি  Passionless

5. অনুগত  Obedient

1.  ক্লান্তিহীনতা Restless :- কম্পিউটার ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করতে পারে একজন মানুষ কিছুক্ষণ সময় কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তার বিশ্রামের প্রয়োজন হয় কিন্তু কম্পিউটারের বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না

2. ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা  Taking Risk Ability :- ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয় যেমন মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মানুষের পা পড়ে নি , পড়েছে মানুষের তৈরি রোবটের

3. স্মৃতিশক্তি  Memory :- কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিতে যা সংরক্ষিত থাকে তাকে যখন প্রয়োজন চাহিদামতো পড়ে নিয়ে কাজে ব্যবহার করা যায় মানুষ অনেক কিছু ভলে যেতে পারে কিন্তু কম্পিউটারে তা হয় না

4. আবেগ অনুভূতি  Passionless :- কম্পিউটারের কোন আবেগ বা অনুভূতি নেই মানুষের আবেগ অনুভূতি আছে

5.  অনুগত  Obedient :- কম্পিউটারকে যেভাবে নির্দেশ দেয়া হয় কম্পিউটার সেভাবেই কাজ করে কারনে কম্পিউটার অনুগত কম্পিউটারের কোন চিন্তা করার দরকার হয় না কিন্তু মানুষের অনুগত থাকতেও পারে , নাও পারে


কম্পিউটারের গুরুত্ব ও ব্যবহার  লিখ

আধুনিক সভ্যতায় কম্পিউটারের অবদান অনেক আর দিন দিন এর প্রয়োগ পরিধি বেড়ে চলেছে দূর আকাশে নভোচারীর গতিপথ নির্দেশে সহায়তা করে কম্পিউটার টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস কর ইত্যাদির বিল তৈরি করা যায় কম্পিউটার দিয়ে নির্মান পরিকল্পনার সূক্ষ্ম সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবহার করা যায় কম্পিউটার উড়োজাহাজ , কৃত্রিম উপগ্রহ , বিশাল ইমারত প্রভৃতি নির্মাণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা- নিরীক্ষা তার ফল বিশ্লেষণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় বড় বড় কারখানা নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার শেখাতে পারে আমাদের নতুন কোন ভাষা , নতুন কোন বিষয় কম্পিউটারের পর্দায় ভূলত্রুটি শুদ্ধ করে পছন্দসই চিঠি , নিমন্ত্রণপত্র এবং রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব কম্পিউটার দিয়ে চলচ্চিত্র পদর্শনসহ চিত্তবিনোদনের অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যায় অনেক সংখ্যা, অনেক নাম ঠিকানা , অনেক সন-তারিখ, অর্থাৎ এককথায় অনেক তথ্য কম্পিউটার মেমোরিতে সংরক্ষণ করা সম্ভব এবং প্রয়োজনে নিমিষে সে সব তথ্য লিখে দিতে পারে অথবা পর্দায় তুলে ধরতে পারে কম্পিউটার বড় কম্পিউটারের গানিতিক ক্ষমতা মানুষের অনুরূপ ক্ষমতার তুলনায় কয়েক কোটি গুন বেশি অর্থাৎ আমরা সেকেন্ডে একটি যোগ করলে কম্পিউটার করবে কয়েক কোটি একজন মানুষ দুই / এক দশকে যে রুটিন বা নিয়ম - মাফিক হিসাবপত্র করবে কম্পিউটার দিয়ে তা মাত্র কয়েক সেকেন্ডে করা সম্ভব বস্তুত কম্পিউটার ছাড়া বর্তমান সভ্যতার এত দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব হত না প্রশিক্ষণ , ব্যবসা , ব্যবস্থাপনা প্রশাসনে আমল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কম্পিউটার শিক্ষা, গবেষণা , বিজ্ঞান, প্রকৌশল , চিকিৎসা , যোগাযোগ ইন্টারনেট প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে কম্পিউটার এমনকি চিত্রকলাও বাদ পড়ে নি মোটকথা আধুনিক বিশ্বে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম আধুনিক সভ্যতা কম্পিউটারকে এখন আর আলাদাভাবে চিন্তা করা যায় না


বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার আলোচনা কর

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ধরনের লেনদেন  সংরক্ষণ, হিসাব-নিকাশ সম্পাদন, পারস্পরিক  যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি যাবতীয় কাজকর্ম অনায়াসেই কম্পিউটার দিয়ে সম্পাদন করা যায় যে সকল ব্যবসায়িক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় নিম্নে তার কতিপয় ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো


1. হিসাব-নিকাশ তৈরি Business Calculation

2. -কমার্স E-Commerce

3. বার কোড Bar Code

4. ওয়ার্ড প্রসেসিং Word Processing

5. বীমা ব্যাংকিং সেক্টর Insurance and Banking Sector

6. স্টক এক্সচেঞ্জ Stock Exchange

1.  হিসাব-নিকাশ তৈরি Business Calculation :-  সঠিকভাবে ব্যবসায় বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন , আয়-ব্যয় হিসাব , ইনভেন্টরি , কর্মচারিদের বেতন , বিভিন্ন প্রকার ভাতা , ওভারটাইম , আয়কর , প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি হিসাব তৈরি করতে কম্পিউটার  ব্যবহার করা হয় এছাড়া কম্পিউটারের সাহায্যে প্রত্যেক কর্মীর জন্যও বেতনের চেক তৈরি করা হয়ে থাকে

2. -কমার্স E-Commerce :-  আজকাল ব্যবসায়-বাণিজ্যের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পিউটার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজকাল ঘরে বসেই ব্যবসায়-বাণিজ্যের সকল কাজকর্ম করা যায় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের যেকোন শপিং সেন্টারে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় ঘরে বসেই ক্রয় করা জিনিসের দাম পরিশোধ করা যায় ব্যবস্থাকে বলে -কমার্স কেবল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলেই এত কিছু সম্ভব হয়েছে

3. বার কোড Bar Code :-  বার কোড বলতে কম-বেশি চওড়াবিশিষ্ট পর্যায়ক্রমে কতগুলো বার বা রেখার সমাহারকে বুঝায় একে ইউনিভার্সেল প্রোডাক্ট কোড বলা হয় দোকান থেকে বিক্রিত জিনিসের প্যাকেটের উপর বার কোডের সাহায্যে জিনিসের নাম এবং নির্মাণকারীর নাম এবং মূল্য ইত্যাদি তথ্য লেখা হয় একটি কম্পিউটার বার কোড রিডারের সাহায্যে বার কোডটি পড়ে তা কোন সংখ্যা বোঝায় তা সহজে জেনে নিতে পারে কম্পিউটারের স্মৃতিতে প্রতিটি জিনিসের বার কোড নম্বর দাম রক্ষিত থাকে থেকে কম্পিউটার বিক্রিত জিনিসের নাম দাম লিখে বিল তৈরি করে এবং সাথে সাথে বিক্রিত জিনিসের স্টক আপডেট করে

4. ওয়ার্ড প্রসেসিং Word Processing :-  চিঠিপত্র , দলিল বিভিন্ন ধরনের লেখা-লেখির কাজ করার জন্য কম্পিউটারের ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের জন্য -মেইল , কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ফ্যাক্স, টেলিফোন, ভয়েস মেইল ইত্যাদির ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়

5.  বীমা ব্যাংকিং সেক্টর Insurance and Banking Sector :-  ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ কম্পিউটারের সাহায্যে সম্পাদিত হয় বলে স্বল্পসময়ে লেনদেন সম্পাদন করা যায় এবং গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা যায়, কম্পিউটারের সাহায্যে ব্যাংকের হিসাব দ্রুতগতিতে নির্ভুলভাবে করা যায় ব্যাংক থেকে যেকোন সময় টাকা তোলার জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মানি লিংক মেশিনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়
6. স্টক এক্সচেঞ্জ Stock Exchange :-  কম্পিউটারে নেটওয়ার্কিং ব্যবহার করে বর্তমানে ঘরে বসেই স্টক এক্সচেঞ্জের কাজ বা শেয়ার কেনাবেচা করা যায় শেয়ারের দাম কমিশন কম্পিউটারের সাহায্যে হিসেব করা যায় কম্পিউটারের সাহায্যে শেয়ার সংক্রান্ত সব তথ্য বিশ্লেষণ করে কোন শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করা উচিত তা সহজেই নির্ধারন করা যায়


কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী

কম্পিউটার নিম্নলিখিত চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যথা:-

1. সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি প্রোগ্রাম কম্পিউটার গ্রহণ করে মেমোরিতে সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশে  কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্বাহ করে

2. কী-বোর্ড, মাউস, জয়স্টিক, ডিস্ক ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার ডাটা গ্রহণ করে

3. ডাটা প্রসেস করে

4. মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রকাশ করে


কম্পিউটারের মৌলিক ধারণা

আধুনিক বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞানের একটি অবিস্মরণীয় উদ্ভাবন হলো কম্পিউটার। বর্তমান সভ্যতার এমন কোন কার্য পরিসর নেই, যেখানে সার্থকভাবে কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয় না। প্রগতিশীল মানব জীবনের প্রত্যেকটি ধাপের সাথেই কম্পিউটার জড়িত। মানব সভ্যতার এক বিশেষ আর্শীবাদ হলো কম্পিউটার।

কম্পিউটারঃ মানব সভ্যতার চূড়ান্ত পর্বে কম্পিউটার হলো একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিশেষ। অর্থাৎ কম্পিউটার হলো বহুমুখী কাজের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে উপাত্ত গ্রহণ, বিন্যাস বিশ্রেষণ করার পর উপাত্তকে ডিস্কে বা স্মৃতিতে জমা রাখা হয় প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় এবং -মেইল, ইন্টারনেট কার্য সম্পন্ন করে। কম্পিউটার একটি ইংরেজি শব্দ। এটি গ্রীক শব্দ Compute থেকে Computer রূপে উদ্ভব হয়েছে। গ্রীক Compute অর্থ হলো গণনাকারী ইলেকট্রিক যন্ত্র। সুতরাং অর্থগতভাবে বলা যায়-সুশৃঙ্খল এবং সুসংবদ্ধ তথ্য সমন্বিত হিসেব নিকাশের ইলেকট্রিক যন্ত্র হলো Computer মূলতঃ কম্পিউটার হলো বিদ্যুৎ চালিত একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে বিশাল তথ্য ভান্ডার সংগ্রহ করে তার বিন্যাস, বিশ্রেষণ, ব্যাখ্যা, সংযোজন, বিয়োজন করে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সুসম্পন্ন করা হয়। ইংরেজিতে বলা যায়-Computer is a automatic problem solving machine whose main purpose is data processing or processing information and which is represented electrically. বর্তমান বিশ্বের সিভিলাইন সমাজে এর সাহায্যে কম্পোজ করা, গানশোনা, হিসাব-নিকাশ করা, ডাটা সংগ্রহ, বিন্যাস করা, প্রোগ্রাম তৈরি করা, টিভি দেখা, সময় দেখা, ভিডিও গেইম করা, -মেইল এবং ইন্টারনেট ইত্যাদি কার্যক্রম যথার্থভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে


কম্পিউটারের মৌলিক ক্ষমতা

কম্পিউটারের নিজে থেকে কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই। এটি একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিধায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কতিপয় কাজ করতে পারে। তবে কম্পিউটার মানুষের মতো নয় এবং মানুষের বিকল্পও নয়। মানুষ তথা ব্যবহারকারী যেভাবে কম্পিউটারকে নির্দেশ দান করবেন সেভাবে কম্পিউটার কাজ করে থাকে। এখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তাই হলো বড় কম্পিউটার। মানুষের সৃষ্টি হলো কম্পিউটার। ব্যবহারকারীর নির্দেশনায় কম্পিউটার কাজ করে থাকে, তথ্য ফলাফল স্মৃতিতে ধরে রাখে, উপাত্তের ব্যাখ্যা বিশ্রেষণ করে এবং প্রয়োজনে পুনরায় ব্যক্ত করে। তথাপি অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের চাইতে কম্পিউটারের কিছু আলাদা বিশেষত্ব আছে যাদেরকে কম্পিউটারের মৌলিক ক্ষমতা হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ কম্পিউটারের মৌলিক ক্ষমতা হিসেবে নিচের দৃষ্টিভঙ্গিগুলোকেই বিবেচনা করা যায়। যেমন-

1. কাজের গতির দ্রুততা

2. নির্ভুল কাজ করার ক্ষমতা

3. দ্রুত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা

4. ক্লান্তিহীনতা প্রেরণ ক্ষমতা

5. বিশাল স্মৃতির ভান্ডার সংরক্ষণ

6. অনুভূতিহীন এবং নির্বোধ ইলেকট্রনিক যন্ত্র

7. বিশ্বায়ন প্রবণতা

8. তথ্যের দ্রুত বিশ্রেষণ উপস্থাপন ক্ষমতা


কম্পিউটারের ব্যবহারিক গুরুত্ব 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার একটি বিস্ময়কর ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সিভিলাইজ সমাজে জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই আমাদের মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে কম্পিউটারের ব্যবহারিক গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন এর তাৎপর্যও বেড়েই চলছে। মানব সমাজে কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বা এর ব্যবহারিক গুরুত্বের কয়েকটি দিক নিম্নে আলোচনা করা হলো-

1. শিক্ষাদানের ক্ষেত্রেঃ বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষকরে শিক্ষা গবেষণা, শিক্ষাদান, তথ্য পরিবেশন, তথ্যাদির সংযোজন, সংরক্ষণ, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, গোপনীয়তা রক্ষা, - মেইল ইন্টারনেট তথ্যাদির প্রেরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার উন্নয়ন আরো বেশি গতিশীলতা পাচ্ছে।

2. চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার আরেক বিস্ময় সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে রোগের লক্ষণ সংরক্ষণ সনাক্তকরণ, রোগ নির্ণয়, রোগের প্রতিকার, ঔষধপত্র সনাক্তকরণ ইত্যাদি কার্যে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। ছাড়া রোগীর যাবতীয় তথ্যাদিও সংরক্ষণ এবং গবেষণাকার্যে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।

3. যোগাযোগের ক্ষেত্রেঃ বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার। এর মাধ্যমে -মেল, ইন্টারনেট করে মূহুর্তের মধ্যেই বিশ্বের এক প্রান্তের খবর অন্য প্রান্তে চলে যাচ্ছে। এছাড়া স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি আজ বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিণত করেছে।

4. অফিস ব্যবস্থাপনায়ঃ বিভিন্ন শিল্প কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিংবা প্রশাসনিক অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস ব্যবস্থাপনায় কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যক্তি কার্যে কম্পিউটারের ব্যবহার অফিস ব্যবস্থাপনাকে অনেক বেশি প্রগতিশীল করেছে। এর মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা সম্ভব হয়েছে। 

5. দৈনন্দিন হিসাব নিকাশঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন হিসেব নিকাশ তথা গাণিতিক সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। গাণিতিক এবং পরিসংখ্যানিক তথ্যাদির ব্যাখ্যা বিশ্রেষণ এবং সমাধান করণে কম্পিউটারের ব্যবহারের দারুন আমাদের জীবন হয়েছে আরো বেশি গতিশীল, সহজতর এবং কাঙ্খিত। কাজেই এর ব্যবহারিক গুরুত্ব অনেক বেশি।

6. তথ্য ব্যবস্থাপনাঃ বর্তমান যুগকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির যুগ। যুগে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যের ব্যবস্থাপনা হয়ে থাকে। যার ফলে আমরা আমাদের প্রয়োজনের সময়ে অতি দ্রুত তথ্যাদির সংযোজন উপস্থাপন করতে পারি।

7. প্রকাশনা শিল্পেঃ বর্তমানে প্রকাশনা শিল্পকে কম্পিউটার অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে। পান্ডুলিপি কম্পোজ, ডাটা প্রসেসিং, কাটিং, পেস্টিং, নতুনত্ব আনয়ন, কালার প্রসেসিং এবং প্রিন্টিং ইত্যাদি যাবতীয় কার্যে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে পুস্তক প্রকাশ করা সহজ এবং দ্রুততর হয়েছে। 

8. প্রোগ্রাম তৈরিতেঃ মানুষের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। বিশেষকরে বিনোদন, ব্যাংকিং, খেলা, তথ্যাদির সংরক্ষণ, ভিডিও প্রদর্শনের প্রোগ্রাম তৈরিতে কম্পিউটার অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটির ব্যবহারে জীবন হয়েছে ধন্য।

9. ফলাফল প্রকাশ সনদ প্রদানেঃ বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং দ্রুত সনদ প্রদানে কম্পিউটারের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ে তাদের সনদ কিংবা ফলাফল শীট হাতের কাছে পাচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়ন কার্য আরো বেশি গতিশীল হচ্ছে। সংযোজন হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির।

10. ফাইল সংরক্ষণঃ বিভিন্ন অফিস আদালতের জরুরি কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণে কম্পিউটারের অবদান অনস্বীকার্য। এটি নিরাপদ দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে গোপণীয় তথ্যাদির সংরক্ষণে কম্পিউটার হলো গোপন এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে আমাদের জীবন হয়েছে প্রগতিশীল। বিশ্বটা হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজ। এক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার মানব জীবনকে আরো বেশি প্রগতিশীল করেছে। অর্থাৎ, যান্ত্রিক সভ্যতায় মানবজীবনকে বিকশিত করণে কম্পিউটারের অবদান অনস্বীকার্য।