Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

History of Computer

Description

History of Computer


কম্পিউটার -এর আবিষ্কারক কে? - Who Is The Inventor Of Computer

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মূলনীতি নির্ধারণ করেন। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির অভাবে ব্যাবেজের এই মূলনীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবুও তাঁর এই যুগান্তকারী চিন্তাভাবনা এবং প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। ১৮৮৭ সালে ডাক্তার হারমান হলেরিথ আমেরিকার আদমশুমারীর কাজ দ্রুত সম্পাদনের জন্য চার্লস ব্যাবেজের মূলনীতি নিয়ে গবেষনা শুরু করেন। পরে ১৯১১ সালে দুটি কোম্পানীর সহযোগীতায় তিনি কমপিউটিং, টেবুলেটিং রেকর্ডিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরে বিশ্ব বিখ্যাত IBM (International Business Machine) - রূপান্তরিত হয়


কম্পিউটার ইতিহাস 

কম্পিউটারের অবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি গবেষনার স্বাক্ষর প্রগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র উদ্ভাবিত ছিল বিভিন্ন ধরনের কৌশল বা প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলা যায় প্রাচিন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি পাথর, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে / চীনে গননার কাজ করার জন্য অ্যাবাকাস যন্ত্রটি তৈরি হয় অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননার কাজ করা হতো অ্যাবাকাস নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয় অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা


সময়কাল : ১৬১৭ সাল 

১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার John Napier গননা কাজের জন্য ছাপা বা দাগ কাটাকাটি / দন্ড ব্যবহার করেন এসব দন্ড নেপিয়ার এর অস্থি নামে পরিচিত

সময়কাল : ১৬৪২ সাল 

১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল Blaise Pascal সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন

সময়কাল : ১৬৭১ সাল 

১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিস Gottfried Von Leibniz প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা দন্ড ব্যবহার করে গুণ ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন তিনি যন্ত্রটির নামদেন রিকোনিং যন্ত্র Reckoning Machine যন্ত্রটি তত্ত্বগত দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক অসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোলমার Tomas De Colmar রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন এর পর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ Charles Babbage ১৮২২ সালে তিনি লগারিদমসহ গাণিতিক হিসাব নিকাশ অধিক সহজ করার লক্ষে একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেন যন্ত্রটির নাম ছিল ডিফারেন্স ইঞ্জিন Difference Engine.কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি তার পক্ষে তৈরি করা সম্ভব হয় নি তারপর দীর্ঘ প্রায় যুগ পর ১৮৩৩ সালে তিনি নতুন একটি যন্ত্র আবিষ্কারের চিন্তা করেন যার নাম ছিল অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন Analytical Engine.তার এই যন্ত্রে আধুনিক কম্পিউটারের মতো সিস্টেম, স্মৃতি, গাণিতিক অংশ, নিয়ন্ত্রিত অংশ ইনপুট-আউটপুটের ব্যবস্থা ছিল কিন্তু তখন প্রযুক্তি উন্নত না থাকায় তিনি এটির কাজ শেষ করে যেতে পারেননি তবে তারই সিস্টেম ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে আজকের এই আধুনিক কম্পিউটার এই জন্যই চালর্স ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়


কম্পিউটার বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা কর

 ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানা যায় প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে চীনাদের তৈরি অ্যাবাকাস নামক গণনাকারী যন্ত্রটিই প্রথম গণনাকারী যন্ত্র ।যাকে কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ বলা হয় ।তখন থেকে আজ অবধি অনেক পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে ।আধুনিক কম্পিউটারের রুপরেখা তৈরি করেন ব্রিটিশ গণিত বিশারদ চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮৩৩ সালে তিনি পূর্ব প্রজন্মের সব যন্ত্রগণকের জন্য স্মৃতিভান্ডারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অ্যানালিটিকেল নামক একটি যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন বিভিন্ন কারনে তার প্রচেষ্টা বাস্তব রুপদানে সমর্থ না হলেও তাঁর পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয়েছে ।এ কারনে চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের আদি পিতা বা কম্পিউটারের জনক বলা হয়ে থাকে ১৮৮৭ সালে .হারম্যন হলেরিথ যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি কাজে ব্যবহারের জন্য ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ব্যবস্থায় পাঞ্চকার্ডের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্র আবিষ্কার করেন ।এ যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত আদমশুমারি রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল ।১৮৯৬ সালে হলেরিথ যন্ত্র তৈরির জন্য হলেরিথ টেবুলেটিং মেশিন কোম্পানি নাম দিয়ে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন ।পরবর্তীতে জাতীয় আরো কয়েকটি কোম্পানি মিলে বিখ্যাত কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন কর্পোরেশন সংক্ষেপে IBM-এর জন্ম হয় ।মার্কিন যুক্তরাষ্টের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক হাওয়ার্ড এইচ আইকেন আইবিএম-এর চারজন প্রকৌশলীর সহযোগিতায় ১৯৪৪ সালে Mark-1 নামে প্রথম সয়ংক্রিয় সাধারনণ ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করেন ।১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্টের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক . জন মউসলি এবং তার এক ছাত্র প্রেসপার একার্ট ENIAC নামে তৈরি করেন প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরীয় গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান সংরক্ষিত প্রোগ্রাম-Internal Stored Program ধারণাটি উদ্ভাবন করেন তিনিই প্রথম কম্পিউটরের তথ্য নির্দেশ সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করেন এরপর জন মউসলি প্রেসপার একটা নিজেদের কোম্পানিতে ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে ইউনিভ্যাক- UNIVAC-Universal Automatic Calculator তৈরি করেন এটিই সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভিত্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর (Transistor)আবিষ্কৃত হওয়ার পর কম্পিউটরে ভালবের বদলে ট্রানজিস্টরের ব্যবহার শুরু হয় ট্রানজিস্টর ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো আকারে ছোট হয়ে যেতে শুরু করে কম্পিউটারগুলো আগের কম্পিউটার অপেক্ষা উন্নত ছিল ট্রানজিস্টরের পর আসে আইসি-IC-এর ব্যবহার সিলিকন বা সেমিকন্ডাক্টার-এর একটি ক্ষুদ্র অংশে একাধিক ট্রানজিস্টর সন্নিবেশিত করা হলে তাকে বলা হয় আইসি বা সমন্বিত সার্কিট-Integrated Circute-IC. আইসি ব্যবহার করে তৈরি হলো নতুন প্রজন্মের কম্পিউটার কম্পিউটরের সবচেয়ে বড় বিপ্লব ঘটে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালে আমেরিকার ইন্টেল -Intel নামক কোম্পানি সর্বপ্রথম মাইক্রোপ্রসেসর-Microprocessor তৈরি করে ফলে কম্পিউটরের দাম কমে যায়, ব্যবহারের সুবিধা বেড়ে যায় এবং কাজের ক্ষমতা হাজার হাজার গুণ বেড়ে যায় মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটারকেই আধুনিক মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটার বলা হয়


কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ইতিহাস

কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ইতিহাস অনেক পুরানো। কম্পিউটারের উদ্ভব এবং বিস্তারের পেছনে মানুষের শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যহত ছিল। এখনও মানুষ আরো উন্নত আরো বেশি কার্যক্ষম কম্পিউটার কিভাবে উদ্ভাবন করা যায় তার প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। মূলতঃ প্রাচীন গণনা যন্ত্র হতেই এর উদ্ভাবনী শুরু হয়।

মানুষের প্রয়োজনীয় গণনা কার্যক্রম হতেই কম্পিউটার উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা শুরু হয়। প্রাচীনকালে মানুষ গণনার জন্য নুড়ি, ঝিনুক, দড়ির গিট, ছড়ির গিট ইত্যাদিকে গণনার কার্যে ব্যবহার করত। প্রাচীন রোমনরা সরু চোঁঙে নুড়ি পাথর ফেলে গণনা করত এবং তা স্থানান্তরিত করত। রোমান ভাষায় এসব নুড়িপাথরকে বলা হতো ক্যালকুলি (ঈধষপঁষর) আর ক্যালকুলি হতে ইংরেজি ক্যালকুলেটর শব্দটি উদ্ভব হয়েছে। এর কয়েক হাজার বছর পরে উদ্ভাবিত হয়েছে অ্যাবাকাস নামে গণনার যন্ত্র। অ্যাবাকাস একটি প্রাচীন গণনার যন্ত্র। এটাকেই কম্পিউটার ইতিহাসের প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। মূলতঃ অ্যাবাকাস হতেই কম্পিউটার ইতিহাসের ক্রম অগ্রযাত্রা শুরু হয়। অ্যাবাকাস ছিল ফ্রেমে আটকানো স্থান পরিবর্তন যোগ্য গুটির সমন্বয়। খ্রীষ্ট পূর্ব ৫০০ অব্দে মিশর কিংবা চীনে সর্বপ্রথম এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল। ১৬১৪ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ নেপিয়ার লগারিদম সারণী আবিষ্কার করে কাঠির ব্যবহার করে গণনার একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন যাকে নেপিয়ারের হাড় (ঘধঢ়রবৎং ইড়হব) বলা হতো। নিউটন তার উন্নয়ন সাধন করেন। অন্যদিকে ফরাসী যুবক বে¬ইজ ১৬৪২ সালে উদ্ভাবন করেন প্যাস্কাল নামক একটি গণনার যন্ত্র। তারপর ১৬৭০ সালে জার্মান গণিতবিদ গট ফ্রাইড ভন লিবমিজ উদ্ভাবন করেন লিবমিজ নামক গণনার যন্ত্র। যার সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি করা সম্ভব হয়েছে। তারপর ১৭৮৬ সালে জার্মানীর মূলার উদ্ভাবন করে আরো উন্নত গণনার যন্ত্র ডিফারেন্স ইঞ্জিন। যাকে প্রথম ক্যালকুলেটর হিসেবে ধরা হয়। পরবর্তীতে চালর্স ব্যাবেজ ১৮১২ সালে পরিপূর্ণ গণনার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। যাকে আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বরূপ হিসেবে ধরা যায়। ১৮৮৭ সালে মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ ডঃ হারম্যান হলেরিথ আদম শুমারী কার্যে পাঞ্চকার্ড ব্যবহার করে কম্পিউটারের অগ্রযাত্রাকে আরো বেশি সুষমান্ডিত করেন। তার নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘‘টেবুলেটিং কোম্পানী’’ যার মাধ্যমে কম্পিউটার শিল্পের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির সূত্রপাত ঘটে। পরে কোম্পানী এবং আরো কয়েকটি কোম্পানী মিলে কম্পিউটার উদ্ভাবন এবং বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে গঠিত হয় ওইগ বা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন নামে একটি বৃহৎ কোম্পানী। তখন থেকেই বাজারে এসে যায় এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিন নামে নতুন ধরনের গণনার যন্ত্র। ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভার্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জন মর্ডসলি এবং তার ছাত্র প্রেসপার একার্ট ঊঘওঅঈ নামে একটি গণনার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এর ওজন ছিল ৩০টন এবং ভ্যাকুম টিউব ছিল ১৯০০টি। যন্ত্রটি চালানোর জন্য বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন হতো ১৩০ কিঃ ওয়াঃ আর জায়গার প্রয়োজন ছিল ১৫০০ বর্গফুট। ১৯৫০ পর্যন্ত এর ব্যবহার চালু ছিল। জন মাউসলি এবং প্রেসপার একার্ট ১৯৫১ সালে আবার উদ্ভাবন করেন টঘওঠঅঈ. যার ব্যবহার ক্ষমতা ছিল অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। এটিই হলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। এতে ক্রিস্টাল ডায়োড সুইচ এবং ভ্যাকুয়াম টিউব সুইচ ব্যবহার করা হয়। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর সাহায্যে পড়া, গণনা এবং তথ্য লেখার কাজ করা যায়। প্রকৃতপক্ষে তখন হতেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম্পিউটার তৈরি করতে থাকে এবং বাজার জাত করে। ১৯৭১ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় কোম্পানী আরো বেশি উৎপাদনক্ষম এবং কার্যক্ষম কম্পিউটার উৎপাদন বাজারজাত করতে শুরু করে। এদিকে এশিয়ার অর্থনৈতিক কিং জাপানও এক্ষেত্রে মোটেও পিছিয়ে নেই। তারাও বিভিন্ন মডেলের বহুল কার্যক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার উৎপাদন বাজারজাত করণে বিশ্বকে দখল করে নিয়েছে। তাদের উৎপাদিত কম্পিউটারগুলো দামে সস্তা অত্যন্ত দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং মজবুত। বিশ্বের মানুষ জাপানের কম্পিউটারের প্রতি আরো বেশি ঝোঁকে পড়ে। কম্পিউটারের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস নাতিদীর্ঘ। তথাপি জানার জন্য এখানে সংক্ষিপ্তরূপে কম্পিউটারের ইতিহাস উপস্থাপন করা হলো। বর্তমানে অত্যন্ত ছোট চিপস ব্যবহার করে অত্যাধুনিক এবং ছোট আকারের কম্পিউটার উদ্ভাবিত করছে। এখন আর কম্পিউটার শুধু গণনার যন্ত্র নয়। এর ব্যবহার অত্যন্ত বৈচিত্র্যমুখী হয়েছে। যার কল্যাণকর দিক অসীম।


কম্পিউটারের অগ্রগতির পেছনে চালর্স ব্যাবেজ কম্পিউটারের জনক এর অবদান

কম্পিউটার বিশ্বের উন্নতির সাথে যে মহান ব্যক্তির নাম জড়িয়ে রয়েছে তিনি হলেন চালর্স ব্যাবেজ। কম্পিউটারের আধুনিকায়নের সাথে চালর্স ব্যাবেজ এর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি মূলতঃ একজন ইংরেজ গণিতবিদ। তিনিই সর্বপ্রথম শক্তিশালী গণনার যন্ত্রের উদ্ভাবন করেন। যার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার উদ্ভাবন সহজ হয়। চালর্স ব্যাবেজঃ চালর্স ব্যাবেজ ছিলেন ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। তিনি ১৭৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সারাজীবন গবেষণা করে একটি শক্তিশালী গণনার যন্ত্র আবিষ্কার করেন যার নাম ছিল ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন বা বিয়োগ ফল ভিত্তিক গণনার যন্ত্র। তিনি এতে পাঞ্চকার্ডের ব্যবহার করে কম্পিউটারের আধুনিকায়নের সূত্রপাত ঘটান। তাই তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। চালর্স ব্যাবেজ তার গবেষণা কার্যের জন্য বৃটিশ সরকার কর্তৃক বিশাল অনুদান পেয়েছিলেন। চালর্স ব্যাবেজের অবদানঃ ১৮১২ সালে চালর্স ব্যাবেজ লগারিদমের সূত্রকে প্রয়োগ করে কম্পিউটারের ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্চিন উদ্ভাবন করেন। এতে তিনি এক সারি প্যাসকেল ধরণের গণনার যন্ত্র এমনভাবে সংযুক্ত করেন যে একটির Output বা ফলাফল অপরটির Input বা যোগান হিসেবে কাজ করবে। চালর্স ব্যাবেজ জীবনের দশ বছর গবেষণা করে যে ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেছিলেন তার কার্যক্ষমতা যথার্থ না হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি নতুন ধরণের যন্ত্র আবিষ্কার মনোযোগী হন। তাঁর গবেষণা কার্যক্রম ছিল সুদীর্ঘ। চালর্স ব্যাবেজ জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত যে যন্ত্র উদ্ভাবন কাটিয়েছেন সেটি হলো অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন বা বিশে¬ষনী যন্ত্র। চালর্স ব্যাবেজের উদ্ভাবিত চিন্তাশক্তি কিংবা মেশিন পরিকল্পনা আধুনিক কম্পিউটারের মূলনীতির উপর সুপ্রতিষ্ঠিতি পায়। অর্থাৎ তার পরিকল্পনার সূত্র ধরেই কম্পিউটার বিশ্বের আধুনিকায়ন সম্ভব হয়েছে। এজন্যই চালর্স ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। চালর্স ব্যাবেজ তার মেশিন পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের মতো নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক অংশ, স্মৃতি অংশ, গ্রহণমুখ অংশ, নির্গমনমুখ অংশ চিহ্নিত করেছিলেন। যদিও ব্যাবেজের পরিকল্পনা ছিল উন্নত এবং বৈজ্ঞানিক তথাপি তখনও যুগান্তকারী প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়নি বিধায় তার পরিকল্পনাকে তখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে তখনকার অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ব্যাবেজ পরিকল্পনাকে ব্যাবেজের মূর্খতা (Babbage’s Folly) বলে উপহাস করেছিল। সরকারও তার গবেষণার অনুদান বন্ধ করেছিল। প্রকৃত পক্ষে চালর্স ব্যাবেজের চিন্তা এবং পরিকল্পনা ছিল শত বছরের আগাম চিন্তা। অর্থাৎ কম্পিউটার জগতের শত বছর পরে কিরূপ উন্নত প্রযুক্তির সংযোজন হতে পারে তারই প্রতিফলন করেছিলেন ব্যাবেজ তার কম্পিউটার পরিকল্পনায়। তবে তাঁর চিন্তা প্রসূত পরিকল্পনা তার মৃত্যুর পর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছিল। তাঁর অসংখ্য চিত্র এবং নকশা আধুনিক কম্পিউটার বিকাশের প্রেরণা যুগিয়েছে। ব্যাবেজের চিন্তার একশ বছর পর কম্পিউটারের যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে সেরূপ কম্পিউটার চিন্তা তিনি একশ বছর আগে করেছিলেন। তাই তিনি আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। কম্পিউটারের উন্নয়নে অনেক বিজ্ঞানীর নামই বিশেষভাবে জড়িত রয়েছে। তবে চালর্স ব্যাবেজের অবদান অনস্বীকার্য। যদিও বিজ্ঞানী জীবদ্দশায় এর স্বীকৃতি পেয়ে যেতে পারেননি। পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি সারা জীবন একটি মাত্র যন্ত্র উদ্ভাবনেই কাটিয়েছেন, তবু সফল হতে পারেন নি। তাই তিনি জীবদ্দশায় সতীর্থদের উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন


এ্যাবাকাস - Abacus

গণনার জন্য সর্বপ্রথম অঙ্কভিত্তিক যে যন্ত্রটির নাম জানা যায় তা হলো এ্যাবাকাস ।প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব্ ৪৫০/৫০০ অব্দে চীন/মিশরে গণনার জন্য এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয় এ্যাবাকাস দেখতে একটি ট্রে-এর মতো একটি আয়তকার কাঠের ট্রেতে উল্লম্বভাবে নয়-দশটি তার আটকানো থাকে ট্রেটির মাঝখানে একটি পার্টিশন দিয়ে ওপর নিচ অংশে বিভক্ত ।প্রত্যেক তারের উপরের অংশে দুটি নিচের অংশে পাচঁটি ছিদ্র করা গুটি ঢুকানো থাকে

প্রাচীন গণনা যন্ত্রের নাম হলো অ্যাবাকাস। একে প্রথমে ডিজিটাল গণনা যন্ত্র বলা হতো। এটি ক্যালকুলেটর এর মতোই গণনা যন্ত্র। ধারণা করা হয় আজ হতে ২৫০০ বছর পূর্বে চীন অথবা মিশরে অ্যাবাকাস ধরনের গণনার যন্ত্র ব্যবহার করা হতো। তবে বিশ্বের গণনার যন্ত্রটি অ্যাবাকাস নামেই পরিচিত ছিল। চীন, জাপান, রাশিয়ায় এখনও গণনার যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস ব্যবহার করা হয় এবং এর সাহায্যে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করা হয়। জাপানে অ্যাবাকাসকে বলে সারোবান এবং রাশিয়ায় বলে স্কোচিরা। অ্যাবাকাস হলো ফ্রেমাবদ্ধ দন্ডের মধ্যে গুটি সংযুক্ত একটি গণনার যন্ত্র। অ্যাবাকাসের রয়েছে বা ৯টি দন্ড। প্রতিটি দন্ড দুই দিক দিয়ে ফ্রেমে আবদ্ধ এবং মাঝখানে অন্য একটি ফ্রেম দিয়ে চাপা দেয়া যাতে করে উপরের গুটি সহজে নীচে এবং নীচের গুটি সহজেই উপরে যেতে পারে না। কিন্তু ব্যবহারকারী নির্ধারিত কৌশলে গুটির উপরে নীচে সংযোগ কমাতে বাড়াতে পারেন এবং স্থানচ্যুত করতে পারেন। পরবর্তীতে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ নেপিয়ার প্রাচীন অ্যাবাকাশ যন্ত্রের উন্নয়ন সাধন করেন। অনেক পরে বিজ্ঞানী নিউটন অ্যাবাকাস গণনা যন্ত্রে প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন।


নেপিয়ারের হাড় - Napier Bone

ভাগ গুণের কাজের সহায়তার জন্য যন্ত্রের প্রচলন করেন জন নেপিয়ার নামক একজন স্কটিশ গণিতবিদ তিনি ১৬১৭ সালে হিসাবে সহায়তার জন্য দাগ কাটা সংখ্যা বসানো কাঠি ব্যবহার করে এক ধরনের যন্ত্রের প্রচলন করেন ।কাঠি দিয়ে তৈরি হওয়ার যন্ত্রটির নাম হয়েছে নেপিয়ার হাড় (Napier Bone) নেপিয়ারের যন্ত্রে দশটি দন্ড আছে । প্রতেক দন্ডে দশটি সংখ্যা আছে 


স্লাইড রুল - Slide rule

নেপিয়ারের লগারিদমের সারণী ব্যবহার করে উইলিয়াম অটরেট - William Oughtred ১৬৩০ সালে প্রথম বৃত্তাকার স্লাইড রূল আবিষ্কার করেন


প্যাস্কালেন - Pascalene

১৬৪২ সালে ফরাসি ব্লেইজ প্যাস্কেল - Blaise Pascal একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন তিনি যন্ত্রে গিয়ারের সাহায্যে চাকা চালানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন যুগের সূচনা করেন


ক্যালকুলেটর - Calculator

সভ্যতার শুরুতে মানুষ গুনার কার্যে আঙ্গুল, পাথর কিংবা বষ করা পশুর হাড়গুর ব্যবহার করতো। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন ধরনের নুড়িকে গুনার কার্যে ব্যবহার করেছে। এক সময় মানুষ দড়ির গিট বা ঝিনুককে গুনার কার্যে ব্যবহার করতে অভ্যস্থ হলো প্রাচীন রোমানরা সরু গর্তে বা চোঙ্গে নুড়ি ফেলে বৃহৎ গুনার কাজ সারত। রোমান ভাষায় ছোট পাথর বা নুড়িকে বলা হয় ক্যালকুলি। আর ক্যালকুলি শব্দ হতেই আধুনিক ক্যালকুলেটর এর উদ্ভব হয়েছে। আধুনিক ক্যালকুলেটর উদ্ভাবনে বৃটিশ এবং জার্মানদের অবদান সর্বাপেক্ষা বেশি। তারাই বিশ্ব বাজারে আধুনিক ক্যালকুলেটর সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে


পাঞ্চকার্ড - Punched Card

কম্পিউটার জগতে পঞ্চকার্ডের ধারণা অনেকটাই পুরনো। এটি গণনার কার্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফরাসী বস্ত্র শিল্পে সর্ব প্রথম পঞ্চকার্ডের ব্যবহার সংযুক্ত হয়। এক্ষেত্রে ফরাসী বস্ত্রশিল্পী যোসেফ স্যারীর নাম বিশেষভাবে উলে¬খযোগ্য। তিনি কাপড়ের নকশা নিয়ন্ত্রণে ছিদ্রযুক্ত পঞ্চকার্ডের ব্যবহার চালু করেন। তারপর কম্পিউটার বিজ্ঞানী ব্যাবেজ এর পঞ্চকার্ডকে কম্পিউটার আদিরূপ এ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে কম্পিউটারে পঞ্চকার্ডের ব্যবহার দারূণ ভাবে প্রচলিত হয়। আধুনিক কম্পিউটারের কার্যকরী পদক্ষেপ শুরু হয় প্রথম বৈদ্যুতিক পঞ্চকার্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্য দ্রততর করার জন্য পরিসংখ্যানবিদ ডঃ হেরম্যান হলেবিথি ১৮৯০ সালে সর্ব প্রথম পঞ্চ কার্ডের ব্যবহার করেন। এরপর হতে কম্পিউটার গণনার কার্যে পঞ্চকার্ড ব্যবহারের প্রথা ব্যাপকভাবে চালু হয়


ডিফারেন্স ইঞ্জিন -  Difference Engine

স্বয়ংক্রিয় গণনায় যন্ত্রের নাম ডিফারেন্স ইঞ্জিন। জার্মান বিজ্ঞানী মূলার ১৭৮৬ সালে ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন নামে একটি ক্যালকুলেটরের পরিকল্পনা করেন। তার প্রায় দুই যুগ পরে বৃটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ গণনার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র হিসেবে ডিফারেন্স ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন। ১৮১২ সালে চার্লস ব্যাবেজ লগারিদমিক হিসাবসহ গাণিতিক হিসাবের জন্য উন্নত ডিফারেন্স ইঞ্জিন তৈরি করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। ১৮২৩ সালে ডিবি তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিন এর সাথে ক্রিকোণমিতি এবং অন্যান্য গাণিতিক হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করে মুদ্রি্ত ফলাফল প্রাপ্তির বাস্তবায়ন করেন। এতে করে গণনা যন্ত্রের প্রভূত উন্নতি হয় এবং বৃটিশ সরকার তার জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করেন। তিনি পরিপূর্ণভাবে ডিফারেন্স ইঞ্জিন এর কাজ শেষ করেন। তিনি এর আরো উন্নয়ন সাধন করে ১৮৬২ সালে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে যন্ত্রটির ব্যবহার করে দেখান। যন্ত্রের মূল ভিত্তি ছিল কোন সমীকরণের X এর বিভিন্ন মানের জন্য Y এর বিভিন্ন মানের বিয়োগফল ভিত্তিক ছক তৈরি করা


মার্ক-১ কম্পিউটার Mark-1 Computer 

১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক হাওয়ার্ড এইচ আইকেন IBM এর চারজন প্রকোশলীর সহযোগীতায় তৈরি করেন প্রথম স্বয়ংক্রিয় সাধারন ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ডিজিটাল কম্পিউটার Mark-1 এটিই হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার মার্ক- তাদের এই গবেষনা চলে ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ইলেকট্রো ম্যাকনিক্যাল যন্ত্র এর আয়তন ছিল লম্বায় প্রায় ৫১ ফুট, উচ্চতায় ছিল ৪৮ ফুট, ওজন ছিল প্রায় টন এই কম্পিউটারে প্রায় হাজার ইলেকট্রিক সুইচ ব্যবহার করা হয়েছিল এতে প্রায় লক্ষাধিক যন্ত্রপাতির জন্য প্রায় ৫০০ মাইল তার ব্যবহার হয়েছিল এর জীবন কাল ছিল প্রায় ১৫ বছর মার্ক- গণিতের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যেত এগুলো হল- যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ টেবিল বা সারণী সংশ্লিষ্ট Table Reference . মার্ক- দ্বারা দুটি সংখ্যার যোগ গুন করতে সময় লাগত যথাক্রমে . . সেকেন্ড বর্তমানে এটি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান জাদুঘরে আছে


এ.বি.সি. কম্পিউটার - The ABC Computer

ABC Computer এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Atanasoft Berry Computer. এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেট কলেজের অধ্যাপক জন এটানাসফ John Atanasoft এবং তার ছাত্র ক্লিফ বেরি Cliff Berry যৌথভাবে ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করে তৈরি করেন একটি ইলেকট্রিক গণনাকারী যন্ত্র তারা এই গণনাকারী যন্ত্রের নাম দিলেন ABC Computer. তাদের নাম অনুসারেই এই গণনাকারী যন্ত্রের নাম রাখা হল ABC Computer . তারা এটি তৈরি করেন ১৯৪২ সালে যার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে এতে তথ্য জমা রাখার জন্য ক্যাপাসিটর ইন্টারন্যাল লজিক Internal Logic এর জন্য ৪৫টি ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করা হয়েছিল 


ইনিয়াক কম্পিউটার - The ENIAC 

ENIAC একটি সংক্ষিপ্ত নাম যার পুরো নাম হল Electronic Numerical Integrator and Calculator. এটির গবেষনা কাল শুরু ১৯৪৩ সাল থেকে, শেষ হয় ১৯৪৬ সালে ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জন মউসলি এবং তার ছাত্র প্রেসপার একার্ড, মিলে তৈরি করেন প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার ENIAC. এটি তৈরিতে প্রায় ৩০ হাজার ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করা হয়েছিল এর ফলে এর ওজন প্রায় টন এটি চালাতে বিদ্যুৎ খরচ হত ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোওয়াট এতে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০০ টি যোগ ৩৫৭ টি গুণ করা যেত এটিতে প্রোগ্রাম সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা ছিল না ইনিয়াক কম্পিউটারের জন্য জায়গা দরকার ছিল প্রায় হাজার বর্গফুটের মতো যার কারনে এটি স্থনান্তর করা যেত না এটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সামরিক কাজে


এডভ্যাক কম্পিউটার The EDVAC Computer 

EDVAC: এর পূর্ণরূপ হল Electronic Discrete Variable Automatic Computer. এর কাজ শুরু হয় ১৯৪৬ সালে আর কাজ শেষ হয় ১৯৫২ তে এই কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এটিতে প্রোগ্রাম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এটির গতি কাজের ক্ষমতা ছিল খুবই সীমিত পরবর্তীতে হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান গাণিতবিদ ডঃ জন ভন নিউম্যান Dr. John Von Neuman, ENIAC এর সমস্যা সমাধানের জন্য একটি যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেন তার পরিকল্পনাতে ছিল, প্রোগ্রাম সংরক্ষণ থেকে পুনঃ চালনা করা, দশমিকের পরিবর্তে বাইনারি সংখ্যার ব্যবহার, কম্পিউটারের ভিতরে ডেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা তার এই প্রস্তাবকে বলা হয় সংরক্ষিত প্রোগ্রাম Stored Program. তার এই প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে US Army- Electronic Discrete Variable Automatic Computer বা EDVAC তৈরি করে ডঃ জন ভন নিউম্যান কে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়


আধুনিক কম্পিউটারের জনকঃ জন ভন নিউম্যান - Father of modern computer: John Von Neumann

জন ভন নিউম্যান - John Von Neumann


ইউনিভ্যাক কম্পিউটার UNIVAC Computer 

UNIVAC প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটারগুলোর অন্যতম এর পূর্ণরূপ হল Universal Automatic computer. ইউনিভ্যাক কম্পিউটারের গবেষণার কাজ শুরু হয় ১৯৪৬ সালে, তাদের এই গবেষণার কাজ সমাপ্তি হয় ১৯৫১ সালে ইউনিভ্যাক কম্পিউটার হল বিশ্বের প্রথম বানিজ্যিক ভাবে নির্মিত ইলেকট্রনিক কম্পিউটার এটি তৈরিতে প্রায় ৫০০০ ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহৃত হয়েছিল এর মূল বৈশিষ্ট হল প্রতিসেকেন্ডে ৮৩৩০ বার যোগ ৫৫৫ বার গুণ করতে পারত ENIAC এর তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ হত, গতি ছিল তুলনামূলক ভাবে বেশি যার ফলে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রনিক কর্পোরেশন UNIVAC কম্পিউটার ১৯৫১ সালে UNIVAC-1 নামে বানিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে পরবর্তীতে আইবিএম কোম্পানী ১৯৫৩ সালে উক্ত কম্পিউটার IBM-650 মডেল হিসেবে বাজারজাত করে


ইনিয়াক -  ENIAC

প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হচ্ছে ENIAC এর পূর্ণ নাম Electronic Numerical Intergrator and Calculator আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মসলি তার প্রিয় ছাত্র জন প্রেসপার একটি দীর্ঘ সাত বছর 1939-1946 একটানা কাজ করে 1946 সালে এনিয়াক Electronic Numerical Intergrator and Calculator নামে একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেন


ইউনিভ্যাক UNIVAC-1

ইউনিভ্যাক একটি ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার Univac এর পূর্ণ নাম হচ্ছে-Universal Automatic Compute রোমিং র‌্যান্ড নামে একাট কোম্পানি 1951 সালে ইউনিভ্যাক-1 তৈরি করেন আমেরিকার আদমশুমারি কার্যালয় কম্পিউটারটি ক্রয় করে এটিই প্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার যা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত হয়


এডস্যাক - EDSAC

১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মরিস উইলকিস - Moaurice Wilkes এর নেতৃত্বাধীন একদল বিজ্ঞানী প্রথম নিউম্যানের ধারনাকে কাজে লাগিয়ে EDSAC - Electronic Delay Storaged Automatic Calculator তৈরি করেন এডস্যাক কম্পিউটারকেই প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রামবিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার ধরা হয়


ট্রানজিস্টর - Transistor

দুটি অর্ধপরিবাহী ডায়োডকে পাশাপাশি যুক্ত করে একটি অর্ধপরিবাহী ট্রায়োড তৈরি করা হয় একে ট্রানজিস্টর বলে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে ১৯৪৮ সালে জন বারডিন - John Bardeen, উইলিয়াম শকলে - William Shockley এবং ওয়াল্টার ব্রাটেইন - Walter Brattain ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন ট্রানজিস্টর আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রনিক্সে বিপ্লব শুরু হয় ট্রানজিস্টর তৈরিতে একটি অর্ধপরিবাহী - Semiconductor এর প্রয়োজন হয় এতে অর্ধপরিবাহী হিসাবে সিলিকন বা জার্মেনিয়াম ব্যবহৃত হয় ট্রানজিস্টর মূলত এমপ্লিফায়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় কম্পিউটারের মূল মেমোরি সিলিকন দিয়ে তৈরি হয়


অ্যামপ্লিফায়ার - Amplifier

এটি এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা কৌশল যার ইনপুট বর্তনীতে দুর্বল সংকেত প্রয়োগ করে বহিঃ বর্তনী হতে বহুগুণ বিবর্ধিত সংকেত পাওয়া যায়

TX-O

Transistor Experimental Computer: এটি ট্রানজিস্টরভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার

PDP-8

ডিজিটাল ইকুপমেন্ট কর্পোরেশন বা ড্যাক - DEC - Digital Equipment Corporation ১৯৬৫ সালে উপস্থাপন করে PDP-8 নামক ট্রানজিস্টরভিত্তিক প্রথম মিনিকম্পিউটার


আই সি - I.C

আই সি-I.C Integrated Circuit -  আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ১৯৫৮ সালে জ্যাক কেলবি - Jack Kilby নামক একজন বিজ্ঞানী Transistor,Registor এবং Capacitor সমন্বিত করে একটি সার্কিট তৈরি করেন যা Integrated Circuit বা I.C নামে পরিচিত লাভ করে আইসি ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের আকার ছোট হয় এবং এর ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে কম্পিউটারের মূল্য এবং হিসাব-নিকাশের সময় B2500 এবং B3500 : ১৯৬৮ বায়োস কোম্পানি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটভিত্তিক প্রথম কম্পিউটার B2500 এবং B3500 এর উপস্থাপন করে IBM System 360 : IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার


মাইক্রোপ্রসেসর - Microprocessor

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রযুক্তির উত্তরোত্তর উন্নতির সঙ্গে কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ বা প্রসেসরের সকল উপাদানকে একটি মাত্র সিলিকন চিপের মধ্যে একীভূত করা সম্ভব হয় এই চিপকে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয় যুক্তরাষ্টের ইনটেল কর্পোরেশন . টেড হফ - Dr. Ted Hoff এর তত্ত্বাবধানে ১৯৭১ সালে প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে যার নাম ইনটেল-৪০০৪ ইনটেল-৪০০৪ ছিল বাণিজ্যিকভাবে প্রাপ্ত বিশ্বের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর


এনালাইটিক ইঞ্জিন

বিজ্ঞানী চালর্স ব্যাবেজ জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত যে যন্ত্রটি আবিস্কারের জন্য বিবেচিত ছিলেন তা হলো এনালাইটিক ইঞ্জিন বা বিশে¬ষণী যন্ত্র। চার্লস ব্যাবেজের উদ্ভাবিত কম্পিউটার পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করেই আজকের কম্পিউটার বিশ্বের এতো বেশী সমৃদ্ধি এসেছে। অর্থাৎ তার কম্পিউটার পরিকল্পনার সূত্র ধরেই অত্যাধুনিক কম্পিউটারের উদ্ভাবন ঘটানো হযেছে। এজন্যই চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়েছে। চার্লস ব্যাবেজ এ্যানাইটিক ইঞ্জিন নামে যে উন্নত মানের কম্পিউটারের মেকানিক্যাল পরিকল্পনা করেছিলেন তা পরবর্তীতে বিশ্বে কম্পিউটার বিপ¬ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। তার প্রদর্শিত কম্পিউটার পরিকল্পনায় যে অংশ গুলোর ধারণা দেয়া হয়েছিল সেগুলোর সাথে আধুনিক কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের দারুন সাদৃশ্য রয়েছে। পরিকল্পনা মতে এ্যানালাইটিক ইঞ্জিনে প্রধানত সেন্টার, মিল এবং কন্ট্রোল নামক তিনটি অংশ থাকার কথা। তাতে পঞ্চকার্ডের সাহায্যে সেন্টারে সমস্ত তথ্য, নির্দেশ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের গণনার ফলাফল থাকবে। মিল গিয়ারের সাহায্যে পঞ্চকার্ড হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গণনা করবে। কন্ট্রোল মিলকে নির্দেশ দেবে কখন কি কাজ করবে। চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মতো তার মেশিনে নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক অংশ, স্মৃতি অংশ, গ্রহণমুখ নির্গমন মুখ অংশগুলো চিহ্নিত করেন। পঞ্চকার্ড দিয়ে মেশিনের সাথে সংযোগসহ মেশিনের অভ্যন্তরীণ কার্য নিয়ন্ত্রণের জন্যও তিনি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দেন। স্মৃতি অংশে পঞ্চাশ অংক দৈর্ঘ্যের ১০০০ সংখ্যা সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চাশ অংকের দুইটি সংখ্যার যোগ বা বিয়োগের জন্য এক সেকেন্ড এবং গুণের জন্য মিনিট সময় লাগার কথা। ব্যাবেজের ধারণা খুবই আধুনিক ছিল। তার মৌলিক চিন্তা প্রসূত পরিকল্পনাকে অনুসরণ করেই আজকের কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক কম্পিউটার আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে। যার প্রভাব এখনও অব্যহত রয়েছে। কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি এসবের স্বীকৃতি পাননি


ইলেকট্রিক কম্পিউটার

১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জন মাইসলি এবং তার সহকর্মী প্রেসপার একাউ ENIAC (Electronic Numerical Integrator And Calculator) নামে যে কম্পিউটার আবিস্কার করেন তাহাই হলো ইলেকট্রিক কম্পিউটার। এর ওজন ছিল ৩০ টন এবং ভ্যাকুম টিউব ছিল ১৯০০টি। যন্ত্রটি পরিচালনা করতে বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন ছিল ১৩০ কিঃ ওয়াট। আর জায়গার প্রয়োজন ছিল ১৫০০ বর্গফুট। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এর ব্যবহার প্রচলিত ছিল। এর সাহায্যে দশ অংকের দুটি সংখ্যার গুণ করতে সময় লাগত সেকেন্ডের এক হাজার ভাগের তিন ভাগ এবং যোগ করতে লাগত ২০০ ম্যাইক্রো সেকেন্ড আর ভাগ করতে সময় লাগত ম্যাইক্রোমিলিয়ন সেকেন্ড। পরবর্তীতে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মরিস ১৯৪৯ সালে তার আরো বেশি উন্নত প্রোগ্রাম সেট করেন। তারপরে বিজ্ঞানী মাউসলি, , বার্কস, গোল্ডস্টাইন, এবং জন বিউম্যান প্রমুখের প্রচেষ্টায় EDVAC নামে ক্ষেপনাস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কম্পিউটার উদ্ভাবিত হয়। পরবর্তীতে UNIVAC নামে ইলেক্ট্রনিক ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার প্রবর্তিত হয়। উলে¬খ্য UNIVAC হলো সর্ব প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। কম্পিউটারে ক্রিস্টাল ডায়োড সুইচ এবং ভ্যাকুম টিউব সার্কিট ব্যবহার করা হয়েছে। এর সবচেয়ে উলে¬খযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি একই সঙ্গে পড়া, গণনা, এবং তথ্য লেখার কাজ করতে পারতো। প্রকৃত পক্ষে তখন হতেই বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কম্পিউটার তৈরি এবং বাণিজ্য করতে থাকে। তার পরে ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রর ইলটেল কোম্পানী বিশ্ব বাজারে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার রপ্তানী করতে থাকে। অন্যদিকে জাপান ষাটের দশক হতেই বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার উৎপাদন বাণিজ্য করতে থাকে। আজকাল এক ইঞ্চি চওড়া, দেড় ইঞ্চি লম্বা এবং সিকি ইঞ্চি পুরু চিপস ব্যবহার করে অনেক ছোট অথচ দ্রুত কাজ করার গতি সম্পন্ন কম্পিউটার উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে


বিবর্তনে একের পর এক যে সব যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটেছে, সেগুলি কী কী

বিবর্তনে একের পর এক যে সব যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটেছে, সেগুলি হল

. অ্যাবাকাস

. প্যাসকালের যান্ত্রিক গণক

. চার্লস ব্যাবেজের ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন

. বৈদ্যুতিন সংখ্যা গণক বা ইলেকট্রনিক নিউমেরিক ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড ক্যালকুলেটর (ENIAC)

. সর্বজনীন স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার বা ইউনির্ভাসাল অটোম্যাটিক কম্পিউটার (UNIVAC)