Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

RAM

Description

RAM


RAM এর পূর্ণরূপ হল র‌্যান্ডম এক্সেস মেমোরি (Random Access Memory) এটিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন System Memory, Primary Memory বা Main Memory. এটি কম্পিউটারের মাদারবোর্ড (Motherboard) এর সাথে যুক্ত থাকে এটি মূলত CPU আভ্যন্তরীণ মেমোরি হিসেবে কাজ করে 

কোন তথ্য বা নির্দেশ যখন কোন কম্পিউটাররে দেওয়া হয় তখন সেই তথ্য RAM এর মধ্যে প্রবেশ করে এটি একটি অস্থায়ী মেমোরি যেখানে তথ্য বা ডাটা কম্পিউটার চালু অবস্থায় সঞ্চিত থাকে এবং সমস্ত রকম কাজের জন্য তাকে ব্যবহার করা যায় কম্পিউটার যতক্ষণ চালু থাকে ততক্ষণ এই অংশে তথ্য উপস্থিত থাকে, বন্ধ করার পরেই সমস্ত তথ্য মুছে যায় কারণ RAM হল একটি অস্থায়ী মেমোরি 


র‌্যামের প্রকারভেদ

র‍্যাম সাধারণত দুই (২) ভাগে ভাগ করা হয়েছে –

১. স্ট্যাটিক র‍্যাম (Static RAM) বা SRAM

২. ডায়নামিক র‍্যাম (Dynamic RAM) বা DRAM


১. স্ট্যাটিক র‍্যাম (Static RAM) বা SRAM:- SRAM এর পূর্ণরূপ হল Static Random Access Memory । এতে ডেটা সংরক্ষণের জন্য flip-flop প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা বাইনারি বিট (০ বা ১) ধারণ করে এবং ধারণকৃত ডাটা ততক্ষণ মেমোরিতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। SRAM অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় এটা ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, এলসিডি ডিসপ্লে, রাউটার  এবং উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস গুলোতে Static RAM ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।  আধুনিক কম্পিউটারে SRAM কে সাধারণত ক্যাশ মেমরি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

Static RAM অন্যান্য Ram এর তুলনায় অনেক পুরোনো । এটি সর্বপ্রথম বাজারে এসেছিল ১৯৯০ সালে । আর সেই সময়  থেকে এখন পর্যন্ত Static Ram এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে । যার কারনে এখনও বিপুল পরিমানে এই Ram টি ব্যবহার করা হচ্ছে


২. ডায়নামিক র‍্যাম (Dynamic RAM) বা DRAM:- DRAM এর পূর্ণরূপ হল Dynamic random access memory । এটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি (main memory) হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  কম্পিউটারে যে র‍্যাম ব্যবহার করে থাকি সেটাই হলো ডায়নামিক র‍্যাম।

সাধারণত মসফেট (MOSFET- Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor) ও ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে এ ধরনের র‌্যাম তৈরি করা হয়। ক্যাপাসিটরে চার্জ থাকলে 1 অবস্থা না থাকলে 0 অবস্থা বুঝায়। বিদ্যৎপ্রবাহ থাকা অবস্থায় ক্যাপাসিটরের চার্জ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কয়েক মিলি সেকেন্ড পর পর ড্রাম কন্ট্রোলারের সাহায্যে প্রত্যেক মেমোরি কোষে লেখা তথ্য নতুন করে লিখতে হয়। কম্পিউটারের পরিভাষায় একে মেমোরি রিফ্রেশিং বলা হয়। এ সকল র‌্যামে তথ্য মুছে বার বার লিখা যায়। নতুন তথ্য লেখার সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন তথ্য নিজে থেকেই মুছে যায়। মাইক্রোকম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হিসাবে সাধারণত (DRAM) ব্যবহার করা হয়।

মেইনফ্রেম, মিনিফ্রেম এবং মাইক্রোকম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হিসেবে ডাইনামিক র‍্যাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডাইনামিক চিপগুলো DIMM ( Dual In-line Memory Module) মডিউল এর মাধ্যমে মাদারবোর্ডের স্লটে বসানো থাকে।

ডায়নামিক Ram ব্যাবহারিক দিক থেকে অনেক পৃরোনো, যার সূচনা হয়েছিল প্রায় ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময়ে আর সেই সময়ে DRAM এর অনেক প্রচলন ছিল । কেননা, এই ধরনের Ram গুলো নানা রকম ডিভাইসে  ব্যবহার করা হতো । যেমন, নেটওয়ার্কি হার্ডওয়ার, ভিডিও গেমিং কনসোল এ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে DRAM ব্যবহার করা হয়ে ধাকে


ডির‍্যামের প্রকারভেদ

অ্যাসিঙ্ক্রোনাস ডির‍্যাম (Asynchronous DRAM বা ADRAM):- সবার প্রথমে আমরা যে র‌্যাম টি ব্যবহার করতাম সেটি হচ্ছে, Asynchronous DRAM। এই র‌্যামটির সঙ্গে সমস্যা এটা ছিল যে, এই র‌্যাম টিকে সিপিইউ এর ক্লকের সঙ্গে Synchronous করা ছিল না। Asynchronous DRAM এ ঠিক কখন ডাটা আসে সিপিইউ এটা নিখুঁতভাবে বুঝতে পারে না, আর এই কারণে তার পারফরমেন্স এর উপর প্রভাব ফেলে। যে কারণে প্রসেসিং-এ আমরা একটু লেটেন্সি দেখতে পেতাম।

অ্যাসিঙ্ক্রোনাস DRAM হল এক ধরনের RAM যার ঘড়ির গতি প্রসেসরের ঘড়ির গতির সাথে মেলে না। সহজ কথায়, ডেটা স্থানান্তর গতির ক্ষেত্রে এই ধরনের র‌্যাম প্রসেসরের সাথে মেলে না

সিঙ্ক্রোনাস ডির্যাম (Synchronous DRAM বা SDRAM):- ডেটা আদান-প্রদানে ছন্দ মেলাতে না পারার সমস্যা সমাধানের জন্য এই RAM উদ্ভাবন করা হয়েছিল। এই ্যামগুলি প্রসেসরের ঘড়ির গতির সাথে মিল রাখতে সক্ষম ।

Synchronous DRAM বা সংক্ষেপে SDRAM বলা হয়। এ র‌্যাম কে সিপিইউ এর কোন ক্লক এর সঙ্গে Synchronous করা হয়, যার কারণে সিপিইউ বুঝতে পারে আসলে কখন র‌্যাম এর ডেটা কখন ইনপুট-আউটপুট হবে। যার কারণে সিপিইউ আরো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং প্রসেসিং-এ আমরা কোন লেটেন্সি দেখতে পাই না। এর পরবর্তীতে র‌্যাম টেকনোলজিতে একটি পরিবর্তন চলে আসে, যেটিকে বলা হয় DDR SDRAM বা Double Data Rate-Synchronous Dynamic Random Access Memory। এই টেকনোলজিতে আমরা একই ক্লক স্পিডে দ্বিগুন ডাটা ট্রান্সফার করতে পারি। 



কাজের ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে RAM কে মূলত ৬ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে

১. Static RAM বা SRAM (স্ট্যাটিক র‍্যাম)

২. Dynamic RAM বা DRAM (ডায়নামিক র‍্যাম)

৩. SDRAM (Synchronous Dynamic RAM - সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম)

৪. SDR DRAM (Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM) - সিঙ্গেল ডেটা রেট সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম )

৫. DDR, SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4, DDR5 (Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM - ডাবল ডেটা রেট সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম )

৬. GDDR SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5 (Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM)


৩. SDRAM (Synchronous Dynamic RAM - সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম)

Synchronous DRAM বা সংক্ষেপে SDRAM বলা হয়। এ র‌্যাম কে সিপিইউ এর কোন ক্লক এর সঙ্গে Synchronous করা হয়, যার কারণে সিপিইউ বুঝতে পারে আসলে কখন র‌্যাম এর ডেটা কখন ইনপুট-আউটপুট হবে। যার কারণে সিপিইউ আরো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং প্রসেসিং-এ আমরা কোন লেটেন্সি দেখতে পাই না। এর পরবর্তীতে র‌্যাম টেকনোলজিতে একটি পরিবর্তন চলে আসে, যেটিকে বলা হয় DDR SDRAM বা Double Data Rate-Synchronous Dynamic Random Access Memory। এই টেকনোলজিতে আমরা একই ক্লক স্পিডে দ্বিগুন ডাটা ট্রান্সফার করতে পারি। 


৪. SDR SDRAM (Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM) - সিঙ্গেল ডেটা রেট সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম )

Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM (SDR SDRAM): ১৯৯৩ সালের দিকে এই SDR SDRAM গুলো মার্কেটে আসছিলো আর বর্তমানেও আছে। এই ধরনের র‍্যাম গুলো কম্পিউটার মেমোরি এবং ভিডিও গেমিং কনসোলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে, এই SDR SDRAM গুলো কিছু উন্নতমানের।


৫. DDR, SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4, DDR5 (Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM - ডাবল ডেটা রেট সিনক্রোনাস ডায়নামিক র‍্যাম)

সচরাচর আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি সেই কম্পিউটার গুলোর জন্য স্টোরেজ হিসেবে Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (DDR1, DDR2, DDR3, DDR4, DDR5) হলো অন্যতম । কারন, এটি হলো অনেক আধুনিক বা আপগ্রেড RAM যা সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সর্বসাধারন এর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় । আর এই ধরনের RAM দিয়ে অনেক দ্রুততার সাথে কাজ করা যায় বলে এখন পর্যন্ত এই RAM গুলো ব্যাপক পরিমানে ব্যবহার হয়ে আসছে


৬. GDDR SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5 (Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM)

আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি । সেই কম্পিউটার গুলোতে এক ধরনের Video Graphics ব্যবহার করা হয়ে থাকে । আর এই ভিডিও গ্রাফিক্সের কাজের সুবিধার জন্য বিশেষ এক ধরনের RAM ব্যবহার করা হয় । তার নাম হলো Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM, GDDR1, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5) সাধারনত ভিডিও গ্রাফিক্স রেন্ডারিং থেকে শুরু করে ডেডিকেটেড সিপিইউ এর কাজে এই RAM গুলো অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয় ।


ডিডিআর এসডির‍্যাম (DDR SDRAM)

SDRAM এর পরবর্তী রূপটিকে ‘DDR SDRAM’ বলা হয়। এখানে DDR মানে Double Data Rate এই ডাবল ডেটা রেট র‍্যামগুলি একক ডেটা রেট র‍্যামের চেয়ে দ্বিগুণ ডেটা স্থানান্তর করতে পারে। কারণ এই RAM র‍্যামের প্রতিটি ঘড়ি চক্রে একবারের পরিবর্তে দুইবার ডেটা আদান-প্রদান করে। এই RAM গুলি প্রথম বাজারে এসেছিল 2000 সালের দিকে। এবং এখনও আমরা এই DDR SDRAM ব্যবহার করছি। কিন্তু বাস্তবে সে সময়ের প্রযুক্তি আর এখনকার প্রযুক্তি এক নয়। বাজারে DDR SDRAM এর প্রথম সংস্করণ ছিল DDR1 । এই DDR SDRAM এর সংস্করণ বা ভার্সন হলো

১. ডিডিআর ১ (DDR1)

২. ডিডিআর ২ (DDR2)

৩. ডিডিআর ৩ (DDR3)

৪. ডিডিআর ৪ (DDR4)

৫. ডিডিআর ৫(DDR5)