Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Bandwidth

Description

Bandwidth


ব্যান্ডউইথ বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে প্রেরণ করা যেতে পারে এমন ডেটার পরিমাণকে বোঝায়। এটি সাধারণত বিট প্রতি সেকেন্ডে (বিপিএস) বা বাইট প্রতি সেকেন্ডে (বিপিএস) পরিমাপ করা হয়। সহজ ভাষায়, ব্যান্ডউইথ নির্ধারণ করে যে ইন্টারনেটে কত দ্রুত ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়। ব্যান্ডউইথ যত বেশি হবে ইন্টারনেট সংযোগ তত দ্রুত হবে

তথ্যের পরিমাণ একস্থান থেকে অন্যস্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে প্রতি একক সময়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন হার বা Bandwidth বলে

Bandwidth  হলো ডেটা স্থানান্তরের হার। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে  Bandwidth বলে। Bandwidth সাধারণত bps বা Bit per Second  হিসেব করা হয়



ব্যান্ডউইথ একক হিসাব (Units of Bandwidth Measurement) 

প্রতি সেকেন্ডে একক বিট ডেটা স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে bps (bit per second) বলে। তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হলাে বিট (Bit)। Bit এর পুরাে নাম Bynary Digit। এক বিট সমান বাইনারি তথ্য 0 বা 1। ৮ বিটে এক বাইট (Byte) সমান এক ক্যারেক্টার । 

bps অর্থ হলাে bit per second (1 বিট = 1 বা o) 

kbps হলাে kilobits per second (1024 বিটে =1 কিলােবিট) 

Mbps হলাে megabits per second (1024 কিলােবিট =1 মেগাবিট)

Gbps হলাে gigabits per second (1024 মেগাবিট =1 গিগাবিট)

Tbps হলাে Terabits per second (1024 গিগাবিট =1 টেরাবিট) 

Pbps হলাে Petabit per second (1024 টেরাবিট=1 পেটাবিট)


কমিউনিকেশন গতির শ্রেণিবিভাগ ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। . ন্যারােব্যান্ড (Narrowband) . ভয়েসব্যান্ড (Voiceband) . ব্রডব্যান্ড (Broadband)

ন্যারােব্যান্ড (Narrowband)

ন্যারােব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ব্যান্ড ধীরগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ঢোলফোনির ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডটির ব্যবহার অধিক লক্ষ্য করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ন্যারােব্যান্ড সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০০ হার্টজ (Hz) ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে থাকে। যেহেতু শব্দ তরঙ্গ ন্যারাে রেজের। পরিবাহিত হয়ে থাকে তাই ন্যারােব্যান্ডকে অডিও স্পেকটামের সাথে সমন্বিতভাবে শব্দ ধারণে ব্যবহার করা যায়। এজন্য একে সাব-ভয়েসব্যান্ডও বলা হয়

একসময় টেলিগ্রাফে টেক্সট ম্যাসেজ প্রদানে ন্যারােব্যান্ড ব্যবহৃত হতাে। তবে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে খুবই সংক্ষিপ্ত দূরত্বে এবং হাই কোয়ালিটি ভয়েস ডেটা প্রয়ােজন নেই এমন যােগাযােগের জন্য ন্যারােব্যান্ড ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স পারস্পরিক কমিউনিকেশন, ওয়াকি-টকি, ব্লুটুথ, জিগবি, টু ওয়ে রেডিও ইত্যাদি। 

 

ভয়েসব্যান্ডে (Voiceband)

ভয়েসব্যান্ডের গতি সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে ব্যান্ডে প্রায় 300 থেকে 3400 হার্টজ (Hz) ফ্রিকোয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং সাধারণত 4 কিলােহার্টজ ক্যারিয়ার স্পেসিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে, কীবাের্ড থেকে কমপিউটারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েসব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোনাে ডিভাইসের ব্যান্ডউইথ 300 bps এর অধিক হতে 9 kbps পর্যন্ত হলে তা সাধারণভাবে ভয়েসব্যান্ড হিসেবে গণ্য হতে পারে, কেননা ভয়েসব্যান্ডের সীমা 9600 bps হওয়ায় তা প্রায় 9 kbps (1 kb = 1024 bits) সমতলা হবে। ভয়েসব্যান্ডকে ভয়েস ফ্রিকোয়েন্সি নামেও অভিহিত করা হয়। আগে ইন্টারনেট একসেস করার জন্য যে ডায়াল-আপ মডেমটি ব্যবহার করা হতাে সেটি ভয়েসব্যান্ডের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। এই ডায়ালতাপ। ভয়েসব্যান্ড মডেমগুলাের ব্যান্ডউইথ 56 kbps.

 

ব্রডব্যান্ড (Broadband)

উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ এবং অধিক তথ্য বহনের ক্ষমতা থাকে। ব্যান্ডের গতি 1 mbps (মেগাবিট/সেকেন্ড) বা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ডিজিটাল। সাবস্ক্রাইবার লাইন বা ডিএসএল, রেডিওলিঙ্ক, অপটিক্যাল ফাইবার, মাইক্রোওয়েভ এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা স্থানান্তরে ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। ডেটা কমিউনিকেশন স্পিডের তারতম্যের ফলে বিভিন্ন ব্যান্ডের উদ্ভব হয়। আর এসব ব্যান্ড আবার বিভিন্ন গতিসম্পন্ন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহার হয়ে থাকে। নিচে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে



ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট (Broadband Internet)

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হলাে উচ্চগতির ইন্টারনেট কানেকশন। ব্যবহারকারীর অবস্থা, মূল্য, এটি টেলিফোন নাকি ওয়্যারলেস মিডিয়া কার সাথে সংযুক্ত এসব ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন কয়েক রকম হতে পারে। যথা

১. ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন (DSL)

২. ওয়্যারলেস (Wireless)

৩. স্যাটেলাইট (Satellite)

৪. ক্যাবল মডেম (Cable Modem)

৫. ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ার লাইন (BPL)

 

ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন (DSL):

এটি একটি তারভিত্তিক ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি যা ট্র্যাডিশনাল টেলিফোন লাইনের ভেতর দিয়ে দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে। এর ব্যান্ডউইথ ১০ কেবিপিএস থেকে মিলিয়ন এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত টেলিফোনের লাইন আছে এমন বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিএসএল ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করা হয়। এর ডেটা ট্রান্সফার স্পিড উৎস থেকে গন্তব্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে। 

 

ক্যাবল মডেম (Cable Modem):

ডিশ কানেকশন দেয়া কো-অক্সিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেয়াকে ক্যাবল মডেম ব্রডব্যান্ড কানেকশন বলা হয়। সাধারণত ক্যাবল টিভি অপারেটরগণ ধরনের কানেকশন প্রােভাইড করে থাকে। 

 

ফাইবার (Fiber):

অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করে দেয়া ইন্টারনেট কানেকশনকে ব্রডব্যান্ড ফাইবার কানেকশন বলে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা আলাের গতিতে চলাচল করে বিধায় সাধারণ ডিএসএল বা ক্যাবল মডেম কানেকশনের তুলনায় এই ব্রডব্যান্ড কানেকশনে ১০ থেকে ১০০ এমবিপিএস বেশি গতিতে ডেটা স্থানান্তর হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি সার্ভিস।

 

ওয়্যারলেস (Wireless):

তারবিহীন ব্রডব্যান্ড কানেকশনকে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সার্ভিস প্রােভাইডার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে রেডিওলিংকের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড কানেকশন ফিক্সড বা মােবাইল উভয় রকমই হতে পারে। সাধারণত রিমােট এরিয়া এবং ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে কানেকশন বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

স্যাটেলাইট (Satellite):

পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে ভূ-কক্ষপথে স্থাপিত স্যাটেলাইট যেভাবে টেলিফোন এবং টেলিভিশন। সার্ভিসের জন্য ডেটালিংক প্রদান করে ঠিক একইভাবে এটি ব্রডব্যান্ড কানেকশনের জন্যও লিংক প্রদান করে। এটি ওয়্যারলেস কানেকশনের বিকল্প একটি রূপ হিসেবে চিহ্নিত। যে সমস্ত অঞ্চলে ফিজিক্যাল কানেকশন স্থাপন করা দুরূহ সেসব অঞ্চলে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড কানেকশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযােগ প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ারলাইন (BPL):

হাই বা লাে ভােল্টেজ বৈদ্যুতিক কানেকশনের মধ্য দিয়ে ব্রডব্যান্ড কানেকশন প্রদান করার সিস্টেমকে ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ার লাইন বা BPL বলা হয়ে থাকে। ধরনের কানেকশন খুবই উপযােগী, কেননা সর্বত্রই বৈদ্যুতিক লাইন পাওয়া যায়। তাই এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ডের জন্য নতুন কোনাে কানেকশন বা মাধ্যম ইনস্টল করেই সহজে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করা যায়। 

 

মােবাইল ব্রডব্যান্ড (Mobile Broadband) :

তারবিহীন মােবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি একসেস করা হয়ে থাকে 3G/4G এবং এলটিই (LTE) সক্রিয় স্মার্টফোন বা মােবাইল সিম সংযুক্ত মডেমের মাধ্যমে। এর স্পিড নির্ভর করে ডেটা ক্যারিয়ার | ব্যবহারকারীর দূরত্বের উপর। সবচেয়ে দ্রুতগতির তারবিহীন প্রযুক্তি LTE ইন্টারনেট ব্রাউজিং বা ডাউনলােডিং/আপলােডিং '_এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 150Mbps পর্যন্ত স্পিড প্রদান করতে সক্ষম।

 


ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধাসমূহ

কানেকশনের সাহায্যে ইন্টারনেট থেকে ছবি, ভিডিও প্রভৃতি দ্রুত ডাউনলােড করা যায়। অনলাইন গেমিং কেবলমাত্র ব্রডব্যান্ড কানেকশন দ্বারাই সম্ভব হয়। 

ব্রডব্যান্ড কানেকশন যে মাধ্যম দিয়ে প্রদান করা হয়, এটি সেই মাধ্যমের অন্যান্য ডেটা সার্ভিসকে প্রভাবিত করে না। ক্যাবল মডেম কানেকশন দিয়ে একই সাথে টিভি অনুষ্ঠান দেখা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং নির্বিঘ্নে করা যাবে। 

এর মাধ্যমে সর্বদা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা যায় বিধায় এটি খুবই সুবিধাজনক।

 ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে আনলিমিটেড একসেস পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যের টেলিফোন বা ভিডিও ফোনের সেবা যেমন ভিওআইপি সেবা পাওয়া যায়।