Goodinsee
পৃথিবীতে
সব কিছুর জন্মের পেছনে কিছু ইতিহাস থাকে।
ঠিক তেমনি গুগলের উৎপত্তির পেছনেও বিরাট ইতিহাস রয়েছে
Stanford University যা
ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত। এই ইউনিভার্সিটিতে Larry Page এবং Sergey Brin নামে দুজন শিক্ষার্থী
ছিলো।
যারা
মূলত PHD (পিএইচডি) তে অধ্যায়নরত ছিলো।
ঠিক এই সময়ে Larry page এবং
Sergey Brin নামের এই দুই শিক্ষার্থী
একটি সার্চ ইন্জিন তৈরি করার কথা
চিন্তা করে।
এরপর
এই দুই শিক্ষার্থী মিলে
একটা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন। যার
নাম দেয়া হয় BackRub. শুরুর
দিকে Backrub ছিলো একটি প্রজেক্ট।
যা শুধু রিসার্চ করার
জন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো।
সেই
সময়ে Backrub এর কোনো নিজস্ব
ডোমেইনও ছিলোনা। তাই এই সার্চ
ইঞ্জিনের জন্য স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির
অধীনে ব্যবহার করা হতো। যার
ঠিকানা ছিলো, google.stanford.edu এবং z.stanford.edu.
পরবর্তীতে
সেই Backrub সার্চ ইঞ্জিনের নাম পরিবর্তন করে
রাখা হয় Googol. কিন্তু এই নামের বানান
এর মধ্যে কিছু ভুল ছিলো।
আসলে Googol শব্দের অর্থ হলো, একটি
সংখ্যার পেছনে ১০০শ টি শূন্য।
যা বিশাল কোনো তথ্য প্রদানের
ইঙ্গিত প্রদান করে থাকে।
তবে
এই ভুল বানান বেশিদিন
স্থায়ী হয়নি। ১৯৯৭ সালে ১৫
ই সেপ্টেম্বর নতুন ডোমেইন (www.google.com) কিনে পুনরায়
নামকরন করা হয় Google.
শুরুর
দিকে গুগলের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অফিস
ছিলোনা। তাই গুগলকে পরিচালনা
করার জন্য তাদের একটি
বন্ধুর গ্যারেজকে ব্যবহার করা হয়েছিলো। সেই
বন্ধুর নাম ছিলো সুজান
ওজচিচকি।
গুগল
একটি প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছিলো ১৯৯৮
সালের ৪ সেপ্টেম্বর। যার
মূল প্রতিষ্ঠতা ছিলো ল্যারি পেইজ
ও সের্গেই ব্রিন।
এরপর
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে
তারা তাদের প্রতিষ্ঠানকে যুগোপযোগী করতে সক্ষম হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নিজের
কোম্পানির বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টকে কিনে নিয়েছে গুগল।
সততার সাথে বিজ্ঞাপন প্রচার
করে নিজের অবস্থানকেও সুদৃঢ় করতে পেরেছে।
গুগল
প্রডাক্টের মধ্যে কিছু প্রডাক্ট আছে,
যেগুলো সর্ব সাধারনের জন্য
উন্মুক্ত। আবার কিছু কিছু
প্রডাক্ট আছে যে গুগল
ব্যবসা করার জন্য তৈরি
করেছে। এবং কিছু
প্রডাক্ট তাদের কোম্পানির ডেভলোপ করার জন্য তৈরি
করেছে
গুগল
এর যতোগুলো প্রডাক্ট রয়েছে। সেই সবগুলো প্রডাক্টকে
৩ টি ভাগে বিভক্ত
করা হয়। যেমনঃ
1. For Everyone
2. For Business
3. For Developers
Google Product For Everyone
গুগল এমন কিছু প্রডাক্ট তৈরি করেছে যা সব ধরনের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। অর্থ্যাৎ এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত
Gmail
বর্তমানে
আমরা সবাই কমবেশি কোনো
File বা তথ্য আদান-প্রদানের
জন্য জিমেইল ব্যবহার করে থাকি। যা
সম্পূর্ন বিনামূল্যে Webmail এর সুবিধা দিয়ে
থাকে। এই জিমেইলের সর্বপ্রথম
সূচনা হয়েছিলো ২০০৪ সালে।
এরপর
২০০৭ সালে সর্বসাধারনের জন্য
উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিলো।
বিশ্বের প্রায় ১০৫ টি ভাষাতে
জিমেইল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Google Translate
এটি
হলো এক প্রকার অনুবাদক
সফটওয়্যার। যেখানে আপনি কোনো একটি
ভাষার Text কে আপনার প্রয়োজনীয়
ভাষাতে অনুবাদ করতে পারবেন। এই
অনুবাদক বিশ্বের ১০৯ টি ভাষাকে
অনুবাদ করতে সক্ষম।
Google Map
এটি
হলো একটি ওয়েব ভিওিক
মানচিএ। যেখানে আপনি বিশ্বের যেকোনো
স্থানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও এক স্থান থেকে
অন্য স্থানে যেতে কতটা সময়
লাগবে। এইসব বিষয়গুলো আগে
জানতে পারবেন।
Google Play Store
গুগলের
এই প্রডাক্টটি সেইসব মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। যাদের
হাতে Android mobile আছে। আমরা মোবাইল
ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্ন
Apps এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এইসব Apps গুলো আপনি প্লে স্টোর থেকে মাত্র এক ক্লিকে ডাউনলোড করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, Google play store এ আপনি যে এপস পাবেন। সেগুলো সম্পূর্ণ ভাইরাস ফ্রী।
YouTube
ইউটিউব
হলো মার্কিন অনলাইন ভিওিক একটি ভিডিও শেয়ারিং
প্ল্যাটফর্ম। যার প্রতিষ্ঠতা ছিলো,
চড হারলি, স্টিভ চেন, এবং বাংলাদেশি
বংশধর জাওয়েদ করিম।ইউটিউব এর যাএা শুরু
হয়েছিলো ২০০৫ সালে। এরপর
১.৬৫ মার্কিন ডলারে
২০০৮ সালে YouTube কে কিনে নিয়েছিলো
গুগল।
Google Photos
এর মূল কাজ হলো,আপনার প্রয়োজনীয় photo কে শেয়ার করা
এবং জমা করে রাখার
একটি সফটওয়্যার। এর শুরু হয়েছিলো
২০১৫ সালে।
শুরুর
দিকে Google Photos এ ব্যবহারকারীর জন্য
আনলিমিটেড Storage প্রদান করেছিলো। কিন্তুু ২০২১ সালের নতুন
আপডেটে তা লিমিটেড করা
হয়।
Chrome Browser
গুগল ক্রম একটি অসাধারণ ওয়েব ব্রাউজার। যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো ওয়েবসাইটকে ভিজিট করতে পারবেন। এই ব্রাউজারকে প্রত্যক্ষভাবে Develop করে গুগল নিজেই। এই Browser টি সর্বপ্রথম পাবলিশ করা হয়েছিলো ২০০৮ সালে।
Google Drive
গুগল
ড্রাইভ হলো একটি ভার্চুয়াল
মেমোরি। যেখানে আপনি আপনার যাবতীয়
তথ্য জমা করে রাখতে
পারবেন। যেমন, Audio,Video, Photo,
Application ইত্যাদি।
এটি
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা
হয়েছিলো ২০১২ সালে। সবচেয়ে
মজার বিষয় হলো, আপনার
প্রতিটা Gmail Account থেকে সর্বোচ্চ 15GB করে
ভার্চুয়াল মেমোরি পেয়ে যাবেন সম্পূর্ণ
বিনামূল্যে।
Google Earth
গুগল আর্থ কিছুটা Google Map এর মতোই। তবে Google Earth এ আপনি পৃথিবীর যেকোনো স্থানের বর্তমান পরিস্থিতি জানার পাশাপাশি, সেই স্থানকে 3D Image এও দেখতে পারবেন। যা সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত।
Find My Device
কখনও
যদি আপনার শখের Android ফোনটি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি
হয়ে যায়। তাহলে আপনার
ফোনটির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দিবে Google Find My Device.
এটি
মূলত আপনার ফোনকে রিমোটলি ট্রাক করবে। তবে তার আগে
আপনার ফোনে আপনার পারসোনাল
Gmail Account দিয়ে লগ ইন করা
থাকতে হবে। এবং সেই
জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের, বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
Google Classroom
করোনা চলাকালীন সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে Google Classroom. করোনার সময় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও।শিক্ষার্থীরা এই এপসটির সাহায্য অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পেরেছে। আর এই এপসটির মূল কাজ হলো, অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করা।
গুগলপ্লেক্স’। যেটি ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত।
সবচেয়ে
মজার বিষয় হলো, গুগলের
জন্মদিন রয়েছে ৬টি ৷ কিন্তুু
গুগল পরবর্তীতে সিন্ধান্ত নেয় শুধুমাএ ২৭
সেপ্টেম্বর কে তারা চুড়ান্ত
জন্মদিন হিসেবে উৎযাপন করবে।