Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Difference between human and computer

Description

Difference between human and computer


কম্পিউটার এবং মানুষের কাজের তুলনা

কম্পিউটার মানুষের তৈরি। তথাপি কম্পিউটার এবং মানুষের কাজ করার মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য রয়েছে। মানুষ এবং কম্পিউটারের কাজের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য তথা তুলনামূলক আলোচনা নিচের ছকের মধ্যে উপস্থাপন করা হলো-

কম্পিউটার

মানুষ

1. কম্পিউটার দ্রুত কাজ করতে পারে

1. মানুষও চাইলে দ্রুত কাজ করতে পারে

2. কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা আছে

2মানুষেরও কাজ করার ক্ষমতা আছে

3. এটি জটিল হিসেব নিকাশ করতে পারে

3. মানুষও জটিল হিসেব নিকাশ করতে পারে

4. কম্পিউটারের ব্যবহারিক বহুমুখীতা আছে

4. মানুষের কার্য ধরণ বহুমুখী

5. কম্পিউটার প্রয়োজনীয় তথ্য মেমোরীতে সংরক্ষণ করতে পারে

5. মানুষও জীবনের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি মেমোরীতে রাখতে পারে

6. এটি জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে

6. মানুষও জটিল সমস্যার সমাধন করতে পারে


কম্পিউটার এবং মানুষের মৌলিক পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য

কম্পিউটার

মানুষ

1. কম্পিউটারের আবেগ অনুভূতি নেই

1. মানুষের আবেগ অনুভূতি আছে

2. কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র

2. মানুষ আল্লাহর সৃষ্ট জীব

3. কম্পিউটারের কোন ক্লান্তি নেই

3. মানুষের ক্লান্তি আছে

4. এর নিজস্ব কোন বুদ্ধি বিবেচনা এবং আগ্রহ নেই

4. মানুষের নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনা এবং আগ্রহ প্রবণতা রয়েছে

5. এর কোন উদ্ভাবনী ক্ষমতা নেই

5. এর উদ্ভাবনী ক্ষমতা আছে

6. এটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারে না বরং প্রোগ্রাম মোতাবেক কাজ করে

6. মানুষ নিজে কম্পিউটারের জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকে

7. এটি প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারে না

7. মানুষ তার ইচ্ছে অনুযায়ী যে কোন বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনর পরিবর্ধন করতে পারে

8. এটি যে কোন জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান দিতে পারে

8. মানুষ কখনই কম্পিউটারের মতো দ্রুত কাজ করতে পারে না

9. এটি বিপদজনক পরিবেশে কাজ করতে পারে

9. মানুষ জীবনের ঝুকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চায় না

10. কম্পিউটার চলাচল করতে পারে না

10. মানুষ জীবনের তারুণ্যে স্বেচ্ছায় চলাচল করতে পারে


কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটরের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য

কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটরের পার্থক্য অর্থগতভাবে কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটরের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। উভয়টি দিয়েই গণনা করা যায়। উভয়টির আভিধানিক অর্থ হলো হিসেব নিকাশ যন্ত্র। তবে বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহারের ব্যাপকতায় এদের কার্যক্রমের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। কম্পিউটার এবং ক্যালকুলেটরের মধ্যস্থ পার্থক্য নিচে উল্লেখ করা হলো

ক্যালকুলেটর

কম্পিউটার

1. ক্যালকুলেটরের আকার ছোট

1. কম্পিউটারের আকার বড়

2. এর সাহায্যে শুধু মাত্র গণনা করা যায়

2. এর কার্য ক্ষমতা বৈচিত্র্যতাপূর্ণ

3. এর সাহায্যে ভিডিও দেখা যায় না

3. এর সাহায্যে ভিডিও দেখা যায়

4. এর সাহায্যে -মেইল করা যায় না

4. এর সাহায্যে -মেইল করা যায়

5. ইন্টারনেট কার্যে এর ব্যবহার নেই

5. ইন্টারনেটের কার্যে এর ব্যবহার আছে

6. একে মহাশূণ্যে গবেষণায় ব্যবহার করা হয় না

6. একে মহাশূণ্যে গবেষণায় ব্যবহার করা যায়

7. ক্যালকুলেটরের ডিজিট সংখ্যা সীমাবদ্ধ

7. কম্পিউটারের ডিজিট সংখ্যা সীমাবদ্ধ নয়

8. এর প্রোগ্রামিং ক্ষমতা সীমাবদ্ধ

8. এর প্রোগ্রামিং ক্ষমতা সীমাবদ্ধ নয়

9. এর তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা কম

9. এর তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি

10. এর যন্ত্রাংশের পরিমাণ কম

10. এর যন্ত্রাংশের পরিমাণ বেশি

11. এর বহন বা স্থানান্তর সহজ

11. এর বহন বা স্থানান্তর ক্যালকুলেটরের চাইতে কঠিন

12. এটি হিসেবের কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়

12. এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বহুবিদ কাজে ব্যবহৃত হয়


কম্পিউটার ভিত্তিক অপরাধ এবং গোপনীয়তা সমস্যা

বর্তমানে সামাজিক রূপরেখা তথা সমাজ জীবনের পরিবর্তন আনয়নে কম্পিউটারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যেভাবে কম্পিউটারের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামীতে প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রয়োগ ছাড়া সমাজ জীবন অচল এবং অকল্পনীয় হয়ে উঠবে। কম্পিউটারের ব্যবহার মানব জীবনকে এতো নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে যা বলে শেষ করা যাবে না।

মানুষের সমাজ জীবন কম্পিউটারের সম্পর্কঃ মানুষের সমাজ জীবনে কম্পিউটারের সম্পর্ক অতি নিবিড়। বর্তমান সভ্যতায় কম্পিউটার নানাবিধ কার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা গবেষণা, কল কারখানা, শিল্প, ব্যবসা, যোগাযোগ, পরিবহন, দপ্তর, অফিস আদালত, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। কম্পিউটার বর্তমানে মানুষের জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কম্পিউটারের ব্যবহারে সারা পৃথিবী আজ ’’গে¬াবাল ভিলেজে’’ পরিণত হয়েছে। মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কম্পিউটারের অবিস্মরণীয় অবদান প্রতিফলিত হয়েছে। কাজেই সমাজ জীবন কম্পিউটার আজ নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছে। এতে করে মানুষ আজ যান্ত্রিক সভ্যতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। মানুষে মানুষের সম্প্রীতি অনেক ক্ষেত্রেই হ্রাস পাচ্ছে। অর্থাৎ বলা যায়- কম্পিউটার মানুষের সামাজিক সম্পর্কের বন্ধনকে আলগা করে দিচ্ছে। তবে ক্ষেত্রে গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে এজন্য মানুষের মানসিকতাই বিশেষভাবে দায়ী। কারণ মানুষ নিজের অনুভূতিকে ধরে রেখে যন্ত্রের কাছে পরাজিত হলো অথবা নিজের অস্তি ত্বকে অনুভব করল না এজন্য তো কম্পিউটার দায়ী নয়। কম্পিউটার তো মানুষের সৃষ্টি। কাজেই মানুষকে নিজেই নিজের জীব শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে হবে।

কম্পিউটার ভিত্তিক অপরাধঃ বর্তমান বিশ্বে একটি লক্ষণীয় অপরাধ হচ্ছে কম্পিউটার অপরাধ। কম্পিউটারের যান্ত্রিক মেমোরিতে সংরক্ষিত মূল্যবান ডাটার কিছু অংশ যদি কেউ ভুলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে তবে তা উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সাধারণত সংরক্ষিত ডাটা ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করাই হলো কম্পিউটার অপরাধ। বিশেষ করে ব্যাংকিং কার্যে কম্পিউটারের কোড ভেঙ্গে কেউ যদি ব্যাংকের গচ্ছিত বিরাট অংশের টাকা অপসারণ করে ভিন্ন একাউন্টে স্থানান্তরিত করে আত্মসাত করে, তবে তা হয় কম্পিউটারের মারাত্মক অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। কম্পিউটার অপরাধের মধ্যে গোপনীয় কোড নম্বর চুরি করা অত্যন্ত মারাত্মক। কারণ এক্ষেত্রে টাকা আত্মসাতকারি কিংবা অপরাধীর হদিস পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। কম্পিউটার ব্যবহারের ব্যাপকতা ধরনের অপরাধের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজন মানুষের চরিত্রের উন্নয়ন, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ শিক্ষার সম্প্রসারণ। কম্পিউটার অপরাধের মধ্যে আর একটি দিক হলো ইন্টারনেট, -মেইল এর মাধ্যমে বেনামে কেউকে জীবন মৃত্যুর হুমকী দেয়া এক্ষেত্রে বেনামী অপরাধকারী ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যায় এবং অন্য ব্যক্তি ফেঁসে যায়। এছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে ভ্রান্ত তথ্যাদি প্রেরণ করে বেনামে ব্যক্তিকে বিপদে ফেলা যায়। কাউকে অনর্থক হয়রানি করা যায়। এজন্যই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইন-কানুন প্রয়োগ করে কম্পিউটার অপরাধ দমন করা যায়।

গোপনীয়তা প্রকাশঃ কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অথবা ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্যাদি অনেক সময় দক্ষ অপারেটরের অপারেটিং এর মাধ্যমে গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যেতে পারে। বন্ধু হয়ে কম্পিউটার ব্রাউজিং এর মাধ্যমে অথবা জন্ম -মেলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দপ্তর কিংবা ব্যক্তিগত তথ্যাদি সম্বন্ধে অবগত হয়ে তা অন্যত্র ফাঁস করে দেয়া সম্ভব হয়। বর্তমান বিশ্বে উন্নত দেশ গুলোর প্রায় প্রত্যেকই কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। তারা মনে করে ব্যক্তির গোপনীয়তা ফাঁস করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার একটি মারাত্মক হুমকী স্বরূপ। ইলেকট্রনিক মেলের মাধ্যমে সংবাদের গোপনীয়তা রক্ষা পায় না। গোপন সংবাদটি সর্বক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়ে যায়। মার্কিন মুল¬ুকের ৫৪% জনগণ মনে করেন টার্মিনাল ব্যবহার করে কম্পিউটার মেমোরি হতে সংবাদ সহজেই ফাঁস করে দেয়া সম্ভব। এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কম্পিউটারের মাধ্যমে ডাটা চুরির প্রবণতাও কম নয়। কম্পিউটারের অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করার জন্য কম্পিউটার প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি কম্পিউটার ব্যবহারে গোপনীয়তা রক্ষার কঠিন আইন প্রণয়ন করা অপরিহার্য।


CPU - সিপিইউ কি

কম্পিউটারের যে অংশ ডাটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করে তাকে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ বলে সিপিইউ কম্পিউটারের মস্তিষ্ক বা ব্রেইন স্বরূপ কম্পিউটারের কাজ করার গতি এবং ক্ষমতা সিপিইউ-এর ওপর নির্ভরশীল   


CPU-এর প্রধান কাজগুলো কি আলোচনা কর

 সিপিইউ-এর প্রধান কাজগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো 

1. কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ সময় নির্ধারণ সংকেত - Timing & Control Signals - প্রদান করা

2. মেমোরি ইনপুট / আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডাটার আদান-প্রদান করা - Transferring data 

3. মেমোরি থেকে ডাটা ইন্সট্রাকশন নেয়া - Fetching instruction & data 

4. ইন্সট্রাকশন ডিকোড করা

5. গাণিতিক যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা - Arithmetic & Logical Operation 

6. কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষিত প্রোগ্রাম নির্বাহ করা

7. ইনপুট আউটপুট অংশগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি


কম্পিউটার এর প্রাণশক্তি কোনটি 

কম্পিউটারের প্রাণশক্তি হচ্ছে সিপিইউ - CPU . কম্পিউটারের কাজ করার গতি ক্ষমতা সিপিইউর উপর নির্ভরশীল


সিপিইউ কোন কোন অংশ নিয়ে গঠিত? বর্ণনা কর 

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত যথাঃ-

রেজিস্টার সমূহ - Register Set: প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে ডাটা সংরক্ষনের জন্য সিপিইউ-এর ভেতরে ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে গঠিত রেজিস্টারসমূহ দরকার হয় রেজিস্টারগুলো অ্যাকিউমুলেটর রেজিস্টার , ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার , অ্যাড্রেস রেজিস্টার , সাধারণ রেজিস্টার , বিশেষ ব্যবহার কার্য রেজিস্টার ইত্যাদি

গাণিতিক যুক্তি অংশ - Arithmetic & Logic Unit-ALU : অ্যারিথম্যাটিক অ্যান্ড লজিক্যাল ইউনিট কম্পিউটারের ইনস্ট্রাকশনগুলো নির্বাহ - Execution করার জন্য মাইক্রো অপারেশনগুলো পালন করে এটি কম্পিউটারের গাণিতিক যুক্তিমূলক কাজ বা সিদ্ধান্তমূলক কাজ করে

নিয়ন্ত্রণ অংশ - Control Unit : কন্ট্রোল সিপিইউ-এর রেজিস্ট্রেশনসমূহ এবং গাণিতিক যুক্তি অংশের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান তদারকি করে এবং গাণিতিক অংশ কি কাজ করবে তার ইনস্ট্রাকশন প্রদান করে তাছাড়া কম্পিউটারের সব অংশের নিয়ন্ত্রণ সময় নির্ধারণ সংকেত প্রদান করে