Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Access Introduction

Description

Access Introduction


মাইক্রোসফ্ একসিস কী

উত্তর :- মাইক্রোসফট এক্সেস হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস এপ্লিকেশনের একটি পার্ট। Microsoft Access একটি ডাটাবেস প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট  এক্সেসকে সংক্ষেপে বলা হয় (DBMS), এর পূর্ণরুপ হচ্ছে, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম - Database Management System

মাইক্রোসফট এক্সেস ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা সহজ  আকর্ষণীয় ফর্ম ডিজাইন করা যায় , উপাত্ত বাছাই করার বিভিন্ন সহজ কৌশল অর্থাৎ এক বা একাধিক টেবিলে সংরক্ষিত লক্ষ লক্ষ ডাটা থেকে শুধু প্রয়োজনীয় ডাটাগুলো নিয়ে পছন্দমত সাজানো যায় এবং চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা যায়


ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  (DBMS)

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা ডেটাবেজ তৈরি, পরিবর্তন, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণঃ MySQL, PostgreSQL, Microsoft Access, SQL Server, FileMaker, Oracle, dBASE, Clipper, and FoxPro.  ইত্যাদি।


DBMS এর কাজসমূহ

১. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেজ তৈরি করা 

২. নতুন ডেটা/রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা 

৩. ডেটার ভূল অনুসন্ধান করা ও সংশোধন করা 

৪. অপ্রয়োজনীয় ডেটা/রেকর্ড বাদ দেওয়া

৫. সম্পাদনার কাজ সম্পন্ন করা 

৬. প্রয়োজনীয় ডেটা অনুসন্ধান করা 

৭. প্রয়োজন অনুয়ায়ী সম্পুর্ন ডেটাবেজকে যেকোন ফিল্ডের ভিত্তিতে বিন্যস্ত করা 

৮. রিপোর্ট তৈরি করা ও প্রয়োজনীয় ডেটাবেজের প্রিন্ট নেওয়া

৯. ডেটাবেজের বিভিন্ন উপাত্ত সংরক্ষণ করা 

১০. ডেটাবেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা 

১১. ডেটাবেজের রেকর্ডের আধুনিকীকরণ করা 

১২. ডেটার সত্যতা ও বৈধতা যাচাই করা 


DBMS এর সুবিধাসমূহ

১. ডেটার বাহুল্য কমায়

২. রেকর্ডের ভিত্তিতে আধুনিকীকরণ করা যায়

৩. সহজে ডেটাবেজ থেকে নির্দিষ্ট রেকর্ড অনুসন্ধান করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট তৈরি করা যায়

৪. ডেটার সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করা যায়

৫. ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় অর্থাৎ ডেটার অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করা যায়

৬. ডেটা রিডানডেন্সি দূর করা যায়

৭. প্রোগ্রাম ডেটা নির্ভরশীলতা দূর করে

৮. সহজেই ডেটা শেয়ার করা যায়


DBMS এর সুবিধাসমূহ

১. ভুল ডেটার কারণে অনেক সময় ডেটাবেজ প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি ধীরগতি সম্পন্ন হয়

২. কিছু ভুল ডেটা সম্পূর্ণ ডেটাবেজকে প্রভাবিত করতে পারে

৩. অভিজ্ঞ জনশক্তির প্রয়োজন হয়

৪. অধিক ব্যয় সাপেক্ষ


RDBMS: এর পূর্ণনাম Relational Database Management System। RDBMS সাধারণত ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যেমন- Oracle, MySQL (Free software), Microsoft SQL Server, PostgreSQL (Free software), IBM DB2, Microsoft Access ইত্যাদি


RDBMS এর বৈশিষ্ট্য সমুহ

১. RDBMS এর সাহায্যে সহজেই টেবিল তৈরি ও ডেটা ইনপুট দেওয়া যায় এবং একাধিক টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়

২. RDBMS এর সাহায্যে একটি ডেটাবেজ একসাথে একাদিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে এবং এক ডেটাবেজের সাথে অন্য ডেটাবেজের তথ্য আদান-প্রদান করা যায়

৩.  RDBMS এর সাহায্যে ডেটাবেজ টেবিলের ডেটাগুলোকে সাজিয়ে উপস্থাপন করা যায়, ডেটা গুলোর বিভিন্ন ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায়  এবং ডেটার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় গ্রাফ ও চার্ট তৈরি করা যায়

৪. উইন্ডোজের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায় এবং ডেটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়

৫. অন্য কোন প্রোগ্রাম থেকে ডেটা ইমপোর্ট করে ডেটাবেজে ব্যবহার করা যায় এবং ডেটাবেজের ডেটার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারও তৈরি করা যায়


RDBMS এর ব্যবহার সমুহ

১. বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য

২. অন-লাইন বিমান, ট্রেন, বাস এবং বিভিন্ন খেলা বা ইভেন্ট এর টিকিট ব্যবস্থাপনার জন্য

৩. ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেনের হিসাব-নিকাশ রাখা এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে

৪. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য

৫. বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য

৬. রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে

৭. দেশের জনসংখ্যার তথ্য, আদমশুমারি ও ভোটার লিস্ট তৈরির জন্য

৮. ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরো অনেক ক্ষেত্রে RDBMS এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে


DBMS ও RDBMS এর মধ্যে পার্থক্যসমুহ


DBMS
RDBMS

DBMS এর পূর্ণরুপ Database Management System

RDBMS এর পূর্ণরুপ Relational Database Management System

DBMS ডেটা ফাইল হিসেবে সংরক্ষণ করে

RDBMS ডেটা টেবুলার ফর্মে সংরক্ষণ করে

ডেটা এলিমেন্ট এককভাবে অ্যাকসেস করতে হয়

একাধিক ডেটা এলিমেন্ট একসাথে একই সময় অ্যাকসেস করা যায়

ডেটা সমূহের মধ্যে কোন রিলেশন থাকে না

ডেটা সমূহ টেবিলে সংরক্ষণ হয়  এবং টেবিলগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত

DBMS ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ সাপোর্ট করে না

RDBMS ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটাবেজ সাপোর্ট করে

অল্প সংখ্যক ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ছোট অরগানাইজেশনে ব্যবহৃত হয়

অধিক সংখ্যক ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন  বড় অরগানাইজেশনে ব্যবহৃত হয়

DBMS সিঙ্গেল ইউজার সাপোর্ট করে

RDBMS একাধিক ইউজার সাপোর্ট করে

DBMS এ ডেটার লো-লেভেল সিকিউরিটি থাকে

RDBMS এ ডেটার মাল্টি-লেভেল সিকিউরিটি থাকে

উদাহরণ-  XML, Microsoft Access ইত্যাদি

উদাহরণ-  MySQL, PostgreSQL, SQL Server, Oracle, ইত্যাদি


ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর(DBA)  যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপর ডেটাবেজের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অর্পিত থাকে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে। সংক্ষেপে বলা যায়, ডেটাবেজের সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিকে ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে


ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের  কাজ

১. ডেটাবেজ সার্ভার এবং অ্যাপ্লিকেশন টুলস ইন্সটল এবং আপগ্রেড করা

২. ডেটাবেজ সিস্টেমের জন্য সিস্টেম স্টোরেজ বরাদ্দ এবং প্রয়োজনীয় স্টোরেজের জন্য পরিকল্পনা  করা

৩. প্রয়োজনে ডেটাবেজ গঠন সংশোধন করা

৪. সিস্টেমের নিরাপত্তা বজায় রাখা

৫. ডেটাবেজ ব্যবহারকারীর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ

৬. ডেটাবেজ মনিটরিং এবং ডেটাবেজের কর্মক্ষমতা অপ্টিমাইজ করা

৭. ডেটাবেজ ব্যাকআপ এবং ডেটাবেজের তথ্য পুনরুদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা

৮. ডেটাবেজ ব্যাকআপ এবং পুনরুদ্ধার

৯. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেজ অনুসন্ধান করে বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি

১০. তথ্য প্রতিলিপি ব্যবস্থাপনা এবং পর্যবেক্ষণ


RDBMS: Relational Database management system:-

১. একটি ডাটাবেসে একাধিক টেবিল থাকতে পারে 

২. কোন একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করাকে রিলেশনশীপ বলা হয় 

৩. রিলেশন তৈরি করা টেবিল থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা নিয়ে আলাদা ডাটা টেবিল তৈরি করা যায় 

৪. রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেসকে রিলেশনাল ডাটাবেস বলা হয় 

৫. আধুনিক ডাটাবেস সফটওয়্যার বলতে সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বুঝায় 


RDBMS এর Software:-

1. Oracle

2. Mysql

3. MS-SQL Server

4. MS-Access

5. DB2

6. Informix

7. Sybase

8. Jived


DBMS এবং RDMMS এর Same কাজ RDMMS এর মাধ্যমে আমরা যে Database তৈরি করব সেই Database এর Table গুলো থাকবে তার মধ্যে একটার সাথে আর একটার সম্পর্ক থাকবে । DBMS এর Table এর মধ্যে এক Table এর সাথে আর এক Table এর সম্পর্ক থাকে না । ছোট Company এর জন্য DBMS বড় Company এর জন্য RDMMS


RDBMS-রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য-Characteristics of RDBMS :-

1. সহজে টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা যায়

2. ডাটা টেবিলের সাথে অন্য এক বা একাধিক ডাটা টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়

3. অসংখ্য ডাটার মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় ডাটাকে খুঁজে বের করা যায়

4. ডাটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডাটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়

5. সহজে এক ডাটাবেস থেকে অন্য ডাটাবেসের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা যায়

6. সংখ্যাবাচক ডাটাসমূহের সূক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা যায়

7. সহজে নানা ফরমেটের রিপোর্ট তৈরি করা যায়  তা মুদ্রণ করা যায়

8. প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে লেবেল তৈরি করা যায় এবং ছাপানো যায়

9. এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়

10. বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায়

11. প্রোগ্রামকে বাইনারি কোডে রূপান্তর করে ফাইল তৈরি করা যায়

12. মেনু বিল্ডারের সাহায্যে অনায়াসেই মেনু তৈরি করা যায়

13. আকর্ষণীয় ডাটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়

14. অন্যান্য ডাটাবেস প্রোগ্রাম থেকে তথ্য বা ডাটা এনে ব্যবহার করা যায়

15. সহজে এ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়


RDBMS-রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার-Application of RDBMS :-

রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহারের চাহিদা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । নিম্নে রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহারের কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো 


1. ব্যাংক  বীমার গ্রাহকদের হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণ করা যায়

2. হাসপাতালে রোগীদের রেকর্ড সংরক্ষণ

3. রেলওয়েতে টিকিটিং  রেলগাড়ীর সিডিউলিং করা

4. এয়ার লাইন্সে টিকিটিং  ফ্লাইটের সিডিউলিং করা

5. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি

6. বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রেকর্ড সংরক্ষণ

7. ইলেকট্রোনিক কমার্সে - -কমার্স

8. জনসংখ্যা তথ্য সংরক্ষণ

9. কোন প্রতিষ্ঠানের ইনভেন্টরী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  তৈরি

10. সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেস তৈরি

11. আদমশুমারী  ভোটার তালিকা তৈরি করার ক্ষেত্র

12. হাসপাতালে রোগি এবং  সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ  ব্যবস্থাপনার কাজে

13. ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণবিশ্লেষণ কজে

14. ব্যাপক তথ্য সংরক্ষণ  প্রক্রিয়াকরণ কজে

15. বড় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলি  পরিচালনা করার কাজে