Goodinsee
ডিস্ক
অপারেটিং সিস্টেম-ডস - Disk Operating
System
ডস হচ্ছে একটি টেক্সট ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম । প্রোগ্রামটির পুরো নাম হচ্ছে Disk Operating System যাহা সংক্ষেপে ডস নমে পরিচিত । কম্পিউটার সংগঠনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রন, কম্পিউটারের মেমরিতে তথ্য সংরক্ষন ব্যবস্থাপনা, অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামসমূহকে পরিচালনা করার পদ্ধতি,কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারকারীর সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কার্যাবলী ডস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । এ প্রোগ্রামটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীন কার্য পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে কম্পিউটার পরিচালনায় সহায়তা করে । আইবিএম পার্সোনাল কম্পিউটার এবং কমপ্যাটিবল কম্পিউটারসমূহে ব্যবহার করার জন্য ১৯৮০ সালে আইবিএম কোম্পানী এবং মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যৌথভাবে এই অপারেটিং সিস্টেমটি রচনা করে । বর্তমানে কম্পিউটারে ডস আর ব্যবহৃত হচ্ছে না
What is Startup File?
অপারেটিং সিস্টেমের যেসব ফাইল লোডিং এর মাধ্যমে কম্পিউটার চালু হয় সেগুলো হচ্ছে স্টার্ট আপ ফাইল। এবং কম্পিউটারের যে স্মৃতিতে এই স্টার্ট আপ ফাইলগুলো সংরক্ষিত থাকে তা হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম।
What is Windows? Windows কি?
Windows হলো Microsoft Corporation কর্তৃক বাজারজাতকৃত একটি শক্তিশালী Operating System. Windows Operating System -এর অধীনে অনেকগুলো Application Software থাকে যা সে পরিচালনা করে থাকে। DOS (Disk Operating System) -এর অধীনে যে সব Application Software থাকে সেগুলো আমরা DOS Command এর মাধ্যমে পরিচালনা করি। DOS Command -এর জটিলতা দূর করার জন্য Microsoft Corporation Windows Operating System টি বের করেন। এখানে Application Software গুলো পরিচালনাসহ সকল কাজ Mouse ও Keyboard এর সমন্বয়ে খুব সহজে করা যায়।
What is Computer’s Booting Process?
কম্পিউটার অন করার পর যে কাল সঙ্গীনে কম্পিউটারে হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সম্পর্কিত বিভিন্ন রকম তথ্য আসতে থাকে তাই কম্পিউটারের বুটিং প্রসেস। এই সময়ে স্টার্ট আপ ডিস্ক হতে তথ্য এবং বায়োস, Autoexec.bat, Config.sys ইত্যাদি ফাইলগুলো লোড হয়।
Windows Screen - এর
বিভিন্ন অংশ
উইন্ডোজ বা ডেস্কটপ স্ক্রিন :- কম্পিউটারের ওপেনিং স্ক্রিনকে ডেস্কটপ বা উইন্ডোজ স্ক্রিন বলা হয় । কম্পিউটার On করার পর মনিটরের পর্দায় প্রথমে যে স্ক্রিনটি দেখা যায় সেই স্ক্রিনটিই হলো উইন্ডোজ বা ডেস্কটপ স্ক্রিন
কম্পিউটারের Power
On করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পর যদি কম্পিউটারটি Windows
Operating System এর মাধ্যমে চলে তবে অল্পক্ষনের মধ্যে আপনি উইন্ডোজের Screen দেখতে পাবেন। তবে আপনাকে জানতে হবে উইন্ডোজ স্ক্রিনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উইন্ডো স্ক্রিনের এই বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নে তুলে ধরা হল
ডেস্কটপ
আইকনের ব্যবহার
আইকন শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রতিক বা চিত্র । উইন্ডোজ চালু হওয়ার পরে স্ক্রিনে বিভিন্ন ধরনের আইকন প্রদর্শিতহয় । কোন আইকনে ডাবল-ক্লিক করে তা ওপেন করা যায় । উইন্ডোজ চালু হওয়ার পরে ডেস্কটপে সাধারণত আইকনসমূহের মধ্যে My Computer, My
Documents, Recycle Bin, Connect to Internet, Internet Explorer, Microsoft
Outlook ইত্যাদি আইকনগুলো থাকে
1. My Computer: এর মধ্যে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভ, ফোল্ডার, কন্টোল প্যানেল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যারের তথ্যসমূহ সংরক্ষিত থাকে । হার্ডওয়্যার বা সফটওয়ার Access করার জন্যও My Computer ব্যবহার করা হয় ।
2. My Document: ডিফল্ট সেটিং হিসেবে এই আইকনটি স্ক্রিনের My Computer এর নিচেই অবস্থান করে। এর মধ্যে
আমরা যে সব Document জনিত কার্যাবলী সম্পাদন করি তা এসে সংরক্ষন হয় । My Document-এ ডাবল-ক্লিক করে ফোল্ডারটি ওপেন করা যায়, সেখান থেকে এ সকল ডকুমেন্টসমূহ ব্যবহার করা যায় ।
3. Recycle Bin: Recycle Bin হচ্ছে উইন্ডোজ এর একটি স্থায়ী অবজেক্ট । কোন ফাইল, ফোল্ডার, বা অন্য কোন আইটেম মছে ফেলা হলে তা Recycle Bin এ জমা থাকে । Recycle Bin থেকে আবার সে ফাইলগুলো স্থায়ী ভাবে মুছে ফেলা যায় কিংবা আগের ডাইরেকটরিতে ফিরিয়ে আনা যায় ।
4. My Network places: বর্তমান ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । My Network places আইকনটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট এবং LAN, WAN নেটওয়ার্ক সেটআপ করা যায় ।
5. Internet Explorer: Internet Explorer দ্বারা ইন্টারনেটে ব্রাউজিং করা যায় । Internet Explorer আইকনে ডাবল-ক্লিক করলেই ব্রাউজারটি চালু হবে
6. Taskbar: Windows স্ক্রিনের নিচের দিকে অনুভুমিকভাবে (Horizontally) বিদ্যমান Bar টির নাম Windows Task
Bar. ইহা অনেকের কাছে আবার স্টাটাস বার হিসেবেও পরিচিত। এর সবার ডান দিকে থকে টাস্ক আইকন। কম্পিউটার চালু হবার
সময়েই এগুলো লোড হয়। এর সাথে কম্পিউটারের ঘড়িও অবস্থান করে। এর দ্বারা বর্তমান সময় জনা যায়। টাস্ক বারে উইন্ডো আইকনগুলো ছোট আকারে থাকে । এখান থেকে যে কোন আইকনে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামটিতে যাওয়া যায় ।
7. Start Button: Windows Taskbar এর বাম দিকে ‘‘START’’ লেখা একটি বাটন পাবেন। এর দ্বারা Operating
System এর যেকোন কার্য সম্পাদন করা যায়। কম্পিউটারে ইনস্টল করা প্রোগ্রামও এর দ্বারা চালু করা যায়। Start Button থেকে কোন প্রোগ্রাম ওপেন করা, কম্পিউটার বন্ধ করা, বিভিন্ন প্রকার কনফিগারেশন করাসহ উইন্ডোজ প্রোগ্রামের বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদান করা যায় ।
বর্ণ
ভিত্তিক (CUI:
Character User Interface)
বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমঃ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বর্ণ বা টেক্সট ব্যবহার করে কম্পিউটার পরিচালনা করা হলে তাকে বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Text Based
Operating System) বলা হয়। এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে কী বোর্ড হতে বিভিন্ন বর্ণ, সংখ্যা, প্রতীক ইত্যাদি টাইপ করে কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হয়। টেক্সট ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে গেলে ব্যবহারকারীকে আগে থেকেই কমান্ড জানা থাকতে হয় এবং সিনটেক্স অনুযায়ী তা প্রয়োগ করতে হয়। মাইক্রো কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে DOS.
বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধাঃ
১. বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন বর্ণ, সংখ্যা প্রতীক টাইপ করে কম্পিউটার বোতামে চাপ দিলেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ চলে আসে।
২. এতে সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
৩. DOS এর ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটারেরা অপারেটিং সিস্টেম হলো বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম যার ব্যবহারিক সুফল অনেক বেশি।
বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধাবলিঃ
১. বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে কার্য হাসিল করতে সময় বেশি লাগে।
২. ব্যবহারকারীর যথার্থ কার্য দক্ষতা না থাকলে এক্ষেত্রে ইস্পিত উদ্দেশ্য হাসিল হয় না।
৩. যে সব বর্ণ টাইপ করতে হবে তাদের কোনটি এদিক ওদিক হলে কম্পিউটার কার্য সাড়া দেয় না।
৪. বর্ণের মাঝে যথার্থ ফাঁক রাখা বাঞ্ছনীয় নতুবা ফল ভিন্নতর হয়।
চিত্র
ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (GUI: Graphical User
Interface)
সাধারণত কম্পিউটারে গ্রাফিক্স বা চিত্রের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। এতে চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন কাজের জন্য আইকন এবং পুল ডাউন মেনু থাকে। যার ফলে মাউস কিংবা কী বোর্ড ব্যবহার করে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। এক্ষেত্রে কম্পিউটার চালু করার পর পর্দায় বিভিন্ন প্রো্রগ্রামের আইকন বা প্রতীকী চিত্র উঠে আসে। যার ফলে প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের আইকোনের উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ডাবল ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি চালু হয়ে যায়। চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হলো উইন্ডোজ-৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, এনটি.৮০ এবং ম্যাক OS ইত্যাদি।
সুবিধাবলিঃ ১. এক্ষেত্রে টেক্সবেসড অপারেটিং সিস্টেমের কমান্ড মুখস্ত করতে হয় না। ২. এখনে বর্ণের মাঝে ফাঁক রাখার বিড়ম্বনা পোহাতে হয় না। ৩. এক্ষেত্রে শুধু মাউস ব্যবহার করে কম্পিউটার পরিচালনা করা যায়। ৪. চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারীকে কমান্ডের অভ্যন্তরীণ গঠন জানার প্রয়োজন হয় না। ৫. এক্ষেত্রে কোনরূপ কমান্ড মেনু মুখস্ত করার প্রবণতা থাকে না।
অসুবিধাবলিঃ ১. চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারীকে কমান্ড মেনু সম্পর্কে জানা থাকতে হয়। ২. কী বোর্ড সম্পর্কিত ধারণা গ্রহণের গুরুত্ব কমে যায়। ৩. কম্পিউটারের কার্যক্রমে মাউস ভিত্তিক নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়। ৪. যথার্থ প্রোগ্রাম ওপেন করতে না পারলে ব্যবহারকারীর বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।