Loading...

+01727175782 - 01711024372

Goodinsee

Goodinsee
Women

Data Communication

Description

Data Communication


কমিউনিকেশন সিস্টেমস (Communication Systems)

Communication বা যোগাযোগ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন ‘Communicate’ থেকে, যার অর্থ আদান-প্রদান। মূলত যে পদ্ধতিতে তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের সাহায্যে স্থানান্তর করা হয় তাকেই Communication System বা যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে। এই তথ্য আদান-প্রদানের জন্য টেলিফোন, মোবাইল, কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ইত্যাদি বিভিন্ন Electronic Device সমূহ ব্যবহার করা হয়

Data Communication System

Signal Processing বা সংকেত প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কোনো ডেটা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকেই Data Communication System বলে। এক্ষেত্রে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য পাঁচটি প্রধান উপাদান প্রয়োজন – 

1. Source : যে ডিভাইস হতে ডেটা পাঠানো হয় সেটি হলো Source বা উৎস। যেমনকম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি

2. Transmitter : Transmitter বা প্রেরক যন্ত্র মূলত উৎস হতে কোনো ডেটা নিয়ে তা কমিউনিকেশন মাধ্যমে পাঠায়। যেমনমডেম 

3. Transmission System : মূলত যে মাধ্যম দিয়ে ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একে Communication Medium বলা হয়। যেমনঅপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি

4. Receiver : Transmission System এর মাধ্যমে ডেটা যেখানে পাঠানো হয় সেটি হলো Receiver বা গ্রাহক। এটি ডেটা গ্রহণ করে গন্তব্যস্থানে পাঠায়। যেমনমডেম 

5. Destination :  সর্বশেষ যে ডিভাইস প্রেরিত তথ্য গ্রহণ করে। যেমনকম্পিউটার, সার্ভার ইত্যাদি


ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম কী? বা যোগাযোগ ব্যবস্থা কী?  

কমিউনিকেশন শব্দের অর্থ যোগাযোগ এবং সিস্টেম অর্থ ব্যবস্থা বা পদ্ধতি। অর্থাৎ যে সিস্টেম এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে উপাত্ত বা তথ্যকে স্থানান্তরিত করে তাকে ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে

অন্যভাবে বলা যায়ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম বা যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো কমিউনিকেশন ডিভাইসসমূহ এবং নেটওয়ার্কগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ব্যবস্থা যা বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে নির্ভরযোগ্যভাবে  উপাত্ত বা তথ্য প্রেরণ করতে ব্যবহৃত হয়

বিভিন্ন ধরণের কমিউনিকেশন সিস্টেম রয়েছে। যেমন:

১. টেলিফোন কমিউনিকেশন সিস্টেম

২. মোবাইল কমিউনিকেশন সিস্টেম

৩. কম্পিউটার ভিত্তিক কমিউনিকেশন সিস্টেম

৪. ইন্টারনেট ভিত্তিক কমিউনিকেশন সিস্টেম



ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের মৌলিক উপাদানসমূহ 

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে টি মৌলিক উপাদান বা অংশ রয়েছে। যথাঃ

১. উৎস (Source)

২. প্রেরক (Transmitter)

৩. মাধ্যম (Medium)

৪. প্রাপক (Receiver)

৫. গন্তব্য (Destination)

উৎস(Source): যে ডিভাইস হতে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন: ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, কম্পিউটার কী-বোর্ড  কম্পিউটার, টেলিফোন মোবাইল ফোন ইত্যাদি

প্রেরক(Transmitter): ডেটাকে উৎস থেকে একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রাপকের কাছে প্রেরণ করতে হয়। এক্ষেত্রে উৎস মাধ্যমের মাঝে একটি প্রেরক থাকতে হয়। যে যন্ত্র উৎসের ডেটাকে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রেরণের উপযোগী করে রুপান্তর করে এবং ডেটার নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনে একে এনকোড করে তাকে প্রেরক বলে। যেমন: মডেম, রাউটার, টিভি ষ্টেশন, রেডিও ষ্টেশন, টেলিফোন মোবাইল ফোন কম্পানির এক্সচেঞ্জার ইত্যাদি

 মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের/মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করাকে এনকোড বলে

মাধ্যম(Medium): মাধ্যম প্রেরক প্রাপক যন্ত্রকে যুক্ত করে। অর্থাৎ যার মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তর হয় তাকে মাধ্যম বা কমিউনিকেশন চ্যানেল বলে। মাধ্যম দুই ধরণের হতে পারে। যেমন: তার মাধ্যম (কোএক্সিয়াল ক্যাবল, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, টেলিফোন লাইন) এবং তারবিহীন মাধ্যম (রেডিও ওয়েব, মাইক্রোওয়েব, ইনফ্রারেড)

প্রাপক(Receiver): কমিউনিকেশন সিস্টেমে যার কাছে ডেটা পাঠানো হয় তাকে প্রাপক বলে। প্রাপকের কাজ হচ্ছে মাধ্যম থেকে ডেটা সিগন্যাল গ্রহন করা এবং সিগন্যালকে গন্তব্য ডিভাইসের উপযোগী সিগন্যালে রূপান্তর করা। যেমন: মডেম, রাউটার, টিভি ষ্টেশন, রেডিও ষ্টেশন, টেলিফোন মোবাইল ফোন কম্পানির এক্সচেঞ্জার ইত্যাদি।

কম্পিউটারের/মেশিনের ভাষাকে মানুষের ভাষায় রূপান্তর করাকে ডিকোড বলে।

গন্তব্য(Destination): যার উদ্দেশ্যে বা যে যন্ত্রে ডেটা পাঠানো হয় অর্থাৎ ট্রান্সমিশনের পর ডেটা সর্বশেষ যে যন্ত্রে পৌঁছে তাকে গন্তব্য বলে। যেমন- কম্পিউটার, সার্ভার, টেলিফোন মোবাইল ফোন ইত্যাদি।